ভিন্ন প্রক্রিয়ায় মূল্যায়ন, প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষা থাকছে না
এ বছর বৃত্তির জন্য পরীক্ষা প্রাথমিকে না রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মূল্যায়ন ভিন্ন প্রক্রিয়ায় করে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়া হবে।
২০২৩ সালে প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক আলোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন্ মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) বিকেলে।
তিনি বলেন, থাকছে না বৃত্তি পরীক্ষা। শিক্ষার্থীদের ভিন্ন প্রক্রিয়ায় মূল্যায়ন করে দেয়া হবে বৃত্তি।
তবে কী কী মানদণ্ড থাকবে বৃত্তি দেয়ার ক্ষেত্রে, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলেও জানান মাহবুবুর রহমান তুহিন।
সর্বশেষ বৃত্তি পরীক্ষা ২০০৮ সালে নেয়া হয়। এর পরের বছর ২০০৯ সালে পিইসি পরীক্ষা চালু হয়। এ পরীক্ষার ফলাফলের উপর ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়া ব্যাক্তিকে বৃত্তি দেয়া হতো।
পিইসি পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করায়, প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা ২০২২ সালে ১৩ বছর পর আবারো পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়। যে সকল ছাত্র-ছাত্রী পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় ২৫ শতাংশের বেশি নম্বর পেয়েছিল, তারা বৃত্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছিল।
শিক্ষার্থীরা কোচিংমুখী হয়ে পড়ায় প্রতিযোগিতা বেড়ে যাওয়ার কারনে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের কোচিংনির্ভরতা কমানোর লক্ষ্যে প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষাও বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিলো।