ফের বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
পানি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিলেও পাঁচ উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়ে চরের বসতবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। উজানের ঢলে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমা ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ বলে জানিয়েছেন ।
শনিবার (২৬ আগস্ট) সকাল ৬টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার। যা বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শুক্রবার ( ২৫ আগস্ট) সকালে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হতে থাকে যা আজও অব্যাহত রয়েছে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানির পরিমাপ কর্মচারী নুরুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) থেকে পানি ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমার কাছাকাছি ছিল।
এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর, খুনিয়াগাছ বাগডোরা, আদিতমারী উপজেলার কালমাটি, খুনিয়াগাছ ও হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না গড্ডিমারি এলাকার নদীতীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের কয়েকশত পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন। এ নিয়ে নদী পাড়ের মানুষ তৃতীয় দফায় বন্যার কবলে পড়েছে।
তিস্তায় পানি বাড়ায় নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। চরাঞ্চল মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই রান্না করতে না পেরে শুকনো খাবার খেয়ে আছেন। এদিকে পানির নিচের তলিয়ে গেছে আমন ক্ষেত। পাশাপাশি গবাদি পশুপাখি নিয়ে বিপদে আছেন নদীপাড়ের মানুষ। অন্যদিকে পানির নিছে তলিয়ে পড়ছে মৌসুমি ফসল ধান ও শাক-সবজি।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ বলেন, নদী পাড়ের মানুষের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।