জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার থাইল্যান্ডে
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক : মেয়াদ শেষের তিন দিন আগে জাতীয় জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের ইঙ্গিত থাইল্যান্ডে। প্রায় দু’মাসব্যাপী জরুরি অবস্থা শেষ পর্যন্ত প্রত্যাহার করে নিতে চলেছে অন্তর্বর্তী থাই প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতার মোকাবিলায় নয়া নিরাপত্তা আইন বলবৎ হচ্ছে দেশে।
প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার ইস্তফার দাবিতে গত নভেম্বর থেকে রাজনৈতিক অস্থিরতার কবলে থাইল্যান্ড। প্রধানমন্ত্রীকে বহিষ্কার করে মনোনীত ‘পিপলস কাউন্সিল’ গঠনের দাবি বিরোধীদের। প্রবল সরকার বিরোধী হিংসাত্মক আন্দোলন দমন করতে গত ২২ জানুয়ারি দু’মাসের জন্য দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সিনাওয়াত্রা। সরকার বিরোধী আন্দোলনের মোকাবিলায় গঠিত ‘সেন্টার ফর পিস অ্যান্ড অর্ডার’ বা সিএমপিও-র সুপারিশের ভিত্তিতে সরকার এই সিদ্ধান্ত নেয়। আগামী ২২ মার্চ সরকারি এই ঘোষণার মেয়াদ শেষ হচ্ছে।
এর আগে মঙ্গলবার ব্যাঙ্ককে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিএমপিও-র প্রধান উপদেষ্টা সুরাপোং তোভিচাকচেইকুল বিবৃতিতে জানিয়েছেন, জাতীয় জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা হবে। তবে, জাতীয় জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করে নিলেও এর পরিপূরক হিসাবে ‘অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা আইন’ বা আইএসএ জারি করতে চলেছে সিনাওয়াত্রা সরকার। নতুন এই আইন কার্যকর হলে সিএমপিও অবলুপ্ত হবে। তার পরিবর্তে গঠিত হবে সেন্টার ফর দ্য অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফ পিস অ্যান্ড অর্ডার (সিএপিও)। নতুন এই প্রতিষ্ঠানের গঠন বা এক্তিয়ার অপরিবর্তিত থাকবে।– সংবাদ সংস্থা।