ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে শঙ্কা নেই টানাপোড়েনের
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে কোনো টানাপোড়েনের শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিষয়ে আমাদের কোনো উদ্বেগ নেই। বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচন বানচালের চেষ্টা যারা করবে, দেশটি তাদের ভিসা দেবে না।
বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষণার পর স্থানীয় সময় শনিবার ম্যানহাটানে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। খবর ইউএনবি।
আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আগামী ৫০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চান যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।’
এর আগে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাঠানো এক চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের অংশীদারিত্ব আগামী ৫০ বছর এবং তারও বেশি সময় ধরে অব্যাহত থাকবে বলে আমি আশাবাদী।’ দেশটির বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া বলেছেন, ‘ভিসা নীতি ঘোষণা বিশ্বব্যাপী অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকারকে পুনর্ব্যক্ত করে। বাংলাদেশিদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে গণতান্ত্রিক নির্বাচন নিশ্চিতে সরকার, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের অংশীদারদের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে।’
সম্প্রতি নিজ বাসায় সাংবাদিকদের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানান, বাংলাদেশের হারানোর কিছু নেই এবং ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন নন। কারণ তারা কোনো ভুল করছেন না। তিনি আরও বলেন, সরকার যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়েছে– আগামী নির্বাচনের আগে আর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণ নেই।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, তারা বাংলাদেশে ভিসা নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হওয়া ব্যক্তিদের নাম বা সংখ্যা প্রকাশ করবে না। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার শুক্রবার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী ভিসা রেকর্ড গোপনীয়। সাক্ষ্য-প্রমাণ পর্যালোচনার পর আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের সদস্যদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি।