৭ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন ওয়েবসাইটের সমস্যা সমাধানের নির্দেশ
ওয়েবসাইটের কারিগরি ত্রুটির কারণে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের জন্য ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সেবাগ্রহীতাদের। ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস (এপিআই) জনিত সমস্যার কারণে দুর্ভোগ বেড়েছে। সরকার অক্টোবরের শুরু থেকেই সাইটটির সেবা পুরোদমে চালু করতে চায়। তাই দ্রুত এসব সমস্যার সমাধন করতে বলা হয়েছে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যলয়কে। ৭ দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সিতে জমা দিতে হবে।
রোববার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক পর্যালোচনা সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এতে সভাপতিত্ব করেন। ৩৪টি ক্রিটিক্যাল ইনফরমেশন ইনফাস্ট্রাকচার (সিআইআই) প্রতিষ্ঠানের গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গত জুলাই মাসে কারিগরি ত্রুটির কারণে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ওয়েবসাইটের লাখ লাখ তথ্য চুরি যায়। এরপর সেবা বন্ধ রেখে সাইটির ত্রুটি মেরামতের কাজ শুরু হয়। পরবর্তীতে সাইটটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলেও পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু করা যায়নি। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, অনলাইনে জন্ম ও মৃত্যুর নিবন্ধনের সেবা চালু আছে। তবে নিবন্ধন সার্টিফিকেট সংশোধনের সুযোগ বন্ধ রয়েছে। নিবন্ধন ফি অনলাইনে গ্রহণের সুবিধা চালু করতে সাইটের কিছু সেবা বন্ধ রয়েছে। নিজস্ব জনবল কম থাকায় কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। তারপরও দ্রুত সময়ের মধ্যে সাইটটি চালু করার প্রচেষ্টা চলছে।
সূত্র জানিয়েছে, রোববারের সভায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোগুলোর (সিআইআই) সাইবার নিরাপত্তা ইস্যু, সিআইআই প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো, আইসিটি খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি, নিয়মিত আইটি অডিট কার্যক্রম সম্পাদন, সিকিউরিটি অপারেশন সেন্টার (এসওসি) ও নেটওয়ার্ক অপারেশন সেন্টার (এনওসি) গঠনসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনার পর কয়েকটি গূরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, সিআইআই প্রতিষ্ঠান প্রধানদের অংশগ্রহণে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিবের সভাপতিত্বে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে বিশেষ সভা আয়োজন করা। প্রতিটি সিআইআই-তে সাইবার সিকিউরিটি ডিজাইন ল্যাব প্রতিষ্ঠায় ডিএসএ থেকে কারিগরি দিক নির্দেশনা আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে প্রেরণ করা হবে। সিআইআই প্রতিষ্ঠানগুলোর টেকনিক্যাল কর্মকর্তাদের সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে যথাযথ প্রশিক্ষণ ও আন্তর্জাতিক মানের সার্টিফিকেশন গ্রহণের উদ্যোগ নিতে হবে।