নির্বাচনী ইশতেহারে ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা দাবি
৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ চাকরিতে নিয়োগ প্রদানে ৮০ শতাংশ আঞ্চলিক তথা জেলা কোটা বাস্তবায়নের প্রসঙ্গটি সবদলের নির্বাচনী ইশতেহারে সন্নিবেশিত করা, গণহত্যার তালিকা প্রণয়নসহ সাতদফা দাবি জানিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড। শুক্রবার বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘বাংলাদেশ সুরক্ষা’ বিষয়ক সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন। বিকেল ৩টায় প্রজন্ম চত্ত্বর শাহবাগে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আইনজীবী ব্যারিস্টার আমির-উল-ইসলাম, সংবিধান প্রণেতা মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, ভাষা সৈনিক বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন অর রশিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সামাদ পিন্টু, মুক্তিযুদ্ধ সংহতি পরিষদের চেয়ারম্যান এ.বি সিদ্দিক মোল্লা ও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অভিযুক্ত পরিবারের সদস্যরা বক্তৃতা করেন।
তারা আরও দাবি জানান, বঙ্গবন্ধুর শোষণমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে সব অনিয়ম-দুর্নীতি দূরীকরণ, মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস পাঠ্যপুস্তক কারিকুলামে অন্তর্ভূক্তকরণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম (ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্স) নিশ্চিতে রুলস অব বিজনেস সংশোধন করা।
বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার পর দেশ অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়। দীর্ঘ ২১ বছর পর বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রথম দফা ১৯৯৬ সালে ও পরে ২০০৯ সালে দেশের হাল ধরায় বাংলাদেশের মানুষ স্বস্তি পায় এবং সর্বস্তরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়। দেশের জন্য, মানুষের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে মনে রাখতে হবে ষড়যন্ত্রকারীরা চুপ করে বসে নেই। দেশকে আবারও অন্ধকার পথে ঠেলে দেয়ার নানা চক্রান্তে লিপ্ত একটি গোষ্ঠী।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের পক্ষ থেকে এসব দাবী সম্বলিত একটি স্মারকলিপি প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সহকারি প্রোগ্রামার সাবের জুয়েল সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম রেজা, সংগঠনের নেতা শেখ নজরুল ইসলাম, কামরুল হাসান চৌধুরী বিপু, জান-ই-মারজানা ও আব্দুল হাকিম তানভীরের কাছ থেকে স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।