এত শিশুর মৃত্যু কখনো দেখেনি বিশ্ব এক যুদ্ধে
বেসামরিকদের মৃত্যু, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের অনবরত হামলায় বেড়েই চলছে। এর মধ্যে সংখ্যাই বেশি শিশু। আধুনিক সময়ের কোনো যুদ্ধে এত অল্প সময়ে এত শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।
ফিলিস্তিনিদের মুক্তিকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস, গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে। সেইসঙ্গে ইসরায়েল সীমান্ত ভেদ করে দেশটিতে তাণ্ডব চালায় হামাসের যোদ্ধারা। এতে ইসরায়েলে এক হাজার ৪০০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তিন হাজারের বেশি। এরপরেই গাজায় পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় নিহত হয়েছে ১০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ হাজার। যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক।
এখন পর্যন্ত গাজায় শিশু নিহতের খবর মিলেছে ৪ হাজার ১০৪ জন। শিশুদের নিয়ে কাজ করা আন্তর্জাতিক সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন জানিয়েছে, গত তিন বছরে বিশ্বজুড়ে চলা সংঘাতে যত শিশুর মৃত্যু হয়েছে, গাজায় এক মাসের সংঘাতে শিশুর মৃত্যু সংখ্যা তার চেয়েও বেশি।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সমন্বয়ক সংস্থা জানিয়েছে গাজায় ৪ হাজার ১০৪ জন শিশু নিহত হয়েছে। অন্তত ১০০ শিশু প্রতিদিনই প্রাণ হারাচ্ছে।
ইউক্রেন
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। গাজা উপত্যকার মানবিক পরিস্থিতির আগে বিশ্বজুড়ে আলোচনায় ছিল এই যুদ্ধ। ২০ মাসের এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত প্রচুর বেসামরিক মারা গেছেন। ৫১০ জন শিশুর মৃত্যুর সংখ্যা।
ইরাক
যুক্তরাষ্ট্র ২০০৩ সালে ইরাকে সামরিক অভিযান চালায়। ২০০৮ সাল থেকে সেখানে শিশুদের ওপর হামলা চালানো হয় অভিযোগ তুলে পর্যবেক্ষণ শুরু করে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। ২০২২ সালে ১৪ বছরের এই যুদ্ধ শেষ হয়। এই সময়ে শিশুর মৃত্যু হয় ৩ হাজার ১১৯ জন।
সিরিয়া
২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের পদত্যাগ দাবিতে সিরিয়ায় সংঘাত শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ১২ বছরের যুদ্ধে দেশটিতে শিশুর মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার।
ইয়েমেন
মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ ইয়েমেন ২০১৫ সালে থেকে সামরিক অভিযান শুরু করে সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। সাড়ে সাত বছরের এই যুদ্ধে শিশু মারা গেছে ৩ হাজার ৭৭৪ জন।
আফগানিস্তান
যুক্তরাষ্ট্র ২০০১ সালে আফগানিস্তান সামরিক অভিযান শুরু করে। ১১ বছরের যুদ্ধে সেখানে প্রাণ হারায় শিশু ৮ হাজার ৯৯ জন। গড়ে প্রতিদিন দুইজন শিশুর মৃত্যু হয়েছে সেখানে।