নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন আইজি প্রিজন্স ও সুরক্ষা সচিব
আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না করার ঘটনায় আপিল বিভাগে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন আইজি প্রিজন্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হক ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী।
আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চে হাজির হয়ে তারা লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আপিল বিভাগ তাদেরকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে পূর্ণাঙ্গভাবে আদেশ বাস্তবায়নের জন্য ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। ওদিন পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে সোমবার সকাল ৯টা ১৩ মিনিটে আইজি প্রিজন্স ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব আপিল বিভাগে প্রবেশ করেন। আদালতে কর্মকর্তাদের পক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এবং আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন মোহাম্মাদ ইব্রাহিম খলীল।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী ব্যারিস্টার ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘গত ২০ নভেম্বর এ দুই কর্মকর্তাকে তলব করে আপিল বিভাগ। আজকে তারা সে রায়ের আংশিক কার্যকর করে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। শুনানিতে রায় আংশিক কার্যকর করা হয়েছে; আদালতকে জানালে আদালত পূর্ণাঙ্গ রায় বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি আবার মামলাটির তারিখ ধার্য করে দিয়েছে। এই কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।’
ঘটনার বিবরণ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘গত বছরের ৭ এপ্রিল আপিল বিভাগ রিভিউ আবেদনের রায়ে ছয়জন কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দিয়ে সিনিয়র জেল সুপার পদে পদোন্নতি দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এ ছয়জন হলেন- মো. গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া, ইকবাল কবির চৌধুরী, মো. আনোয়ারুজ্জামান, মনির আহমেদ, মো. বজলুর রশিদ আকন্দ ও মো. নুরুননবী ভূঁইয়া।
‘দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও আপিল বিভাগের রায় বাস্তবায়ন না করায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সচিব আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী ও আইজি প্রিজন্স ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ এস এম আনিসুল হকের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়।’
আইনজীবী ব্যারিস্টার ইব্রাহিম খলিল বলেন, এ আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৬ নভেম্বর পদোন্নতির রায় বাস্তবায়নের জন্য বিবাদীদের দুই সপ্তাহ সময় দেয় আপিল বিভাগ। এরপর দুই সপ্তাহ পার হয়ে যাওয়ায় সে রায় বাস্তবায়ন না করায় আদালত তাদের তলব করে।