মাশরাফির ঋণ ও স্থায়ী আমানত বেড়েছে, কমেছে আয়
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় মাশরাফি বিন মর্তুজার কোম্পানির শেয়ার, স্থায়ী আমানত হিসেবে কোথাও বিনিয়োগ ছিল না। তবে এবার শেয়ার ও স্থায়ী আমানতে তার বিনিয়োগ বেড়েছে। ২০১৮ সালে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়কের দায়-দেনা না থাকলেও এবার গৃহঋণ বাবদ প্রায় ৯০ লাখ টাকা ঋণ দেখিয়েছেন তিনি। আর সংসদ সদস্য হওয়ার পর পাঁচ বছরে মাশরাফির আয় কমেছে।
এসব তথ্য পাওয়া গেছে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাশরাফির হলফনামায়। তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় পেশা হিসেবে ‘ক্রিকেটার’ উল্লেখ করলেও এবার লিখেছেন ‘রাজনীতিবিদ’।
মাশরাফির হলফনামায় দেখা গেছে, বার্ষিক আয় হিসেবে শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত থেকে ১৪ লাখ ১ হাজার ৯৫৩ টাকা, চাকরি থেকে ২৩ লাখ ৩ হাজার ২০ টাকা ও অন্যান্য হিসেবে ৫১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৮৫ টাকা দেখিয়েছেন। অর্থাৎ মাশরাফির বার্ষিক আয় ৮৮ লাখ ৫৪ হাজার ৪৫৮ টাকা। তবে ২০১৮ সালে প্রথমবার নির্বাচন করার সময় তার বার্ষিক আয় ছিল ১ কোটি ৯৯ লাখ ১৮ হাজার ৭০০ টাকা। ফলে পাঁচ বছরে মাশরাফির আয় কমেছে ১ কোটি ১০ লাখ ৬৪ হাজার ২৪২ টাকা।
এর আগে ২০১৮ সালে নির্বাচনের সময় নড়াইল এক্সপ্রেস খ্যাত এই তারকার কোনো দেনা না থাকলেও বর্তমানে সিটি ব্যাংকে তার গৃহঋণ বাবদ ৮৯ লাখ ৭ হাজার ৭৭৫ টাকা ঋণ আছে। তবে গতবার কোম্পানির শেয়ার বা স্থায়ী আমানত বিনিয়োগ না থাকলেও এবার তিনি শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে বছরে ১৪ লাখ ১ হাজার ৯৫৩ টাকা আয় দেখিয়েছেন।
গতবার অস্থাবর সম্পদের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে জমা হিসেবে ৬ কোটি ৩৭ লাখ ২৯ হাজার ৫১ টাকা থাকলেও এখন আছে ১ কোটি ৩ লাখ ৭০ হাজার ৮৬০ টাকা। নগদ আছে ১ কোটি ৮০ লাখ ৫৪ হাজার ৪০২ টাকা। গত নির্বাচনের সময় নগদ ছিল ১ কোটি ৩৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
এদিকে হলফনামার তথ্যমতে, অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে মাশরাফির ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার বন্ড, ঋণপত্র ও কোম্পানির শেয়ার আছে। সঞ্চয়পত্র ও স্থায়ী আমানত আছে ২ কোটি ৪৫ লাখ ৮৩ হাজার ৩৬৯ টাকার। ইলেকট্রনিকসামগ্রী বাবদ ১৫ লাখ ৫০ হাজার, আসবাবপত্র বাবদ ১৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেখিয়েছেন। সোনা আছে ৫০ তোলা। এ ছাড়া দুটি মাইক্রোবাস, একটি কারও একটি এসইউভি গাড়ি আছে তার। স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে কৃষিজমি আছে ৩ দশমিক ৬১ একর। একটি ছয়তলা বাড়ি, ২ হাজার ৮০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট এবং পূর্বাচলে একটি প্লট আছে।
আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী মাশরাফি বিন মর্তুজাসহ ছয়জন দলীয় প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির শেখ হাফিজুর রহমান এবার নির্বাচন করবেন। তিনি জোটের প্রার্থী হিসেবে ২০১৪ সালে দশম সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ ছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকছেন জাতীয় পার্টির খন্দকার ফায়েকুজ্জামান, জাকের পার্টির মো. মিজানুর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের মো. মাহাবুবুর রহমান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মো. মনিরুল ইসলাম ও গণফ্রন্টের মো. লতিফুর রহমান।