নির্বাচনী শৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে ১ লাখ ৮৯ হাজার পুলিশ
আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন ঘিরে বিশৃঙ্খলা রুখে দেওয়া ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সারাদেশে পুলিশের ১ লাখ ৮৯ হাজার সদস্য কর্মরত। দেশের সব ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতেও তারা সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে। শনিবার পুলিশ সদরদপ্তরে নির্বাচনী আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।
এ সময় পুলিশ সদরদপ্তরের ডিআইজি (অপারেশনস) আনোয়ার হোসেন বলেন, নির্বাচনী এলাকার যে কোনো অভিযোগ পুলিশ গুরুত্বের সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করছে। আমাদের কাছে সব প্রার্থী সমান। নির্বাচনী প্রচারে সব প্রার্থীর সমান সুযোগ নিশ্চিতের নির্দেশনা দেওয়া আছে। জামিনের আসামিরা বিশেষ নজরদারিতে রয়েছে। কেন্দ্রে প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা যেভাবে নির্দেশনা দেবেন, পুলিশ সেভাবেই কাজ করবে।
তিনি বলেন, কোনো কোনো দুর্গম এলাকার কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ, সেখানে বাড়তি ফোর্স থাকবে। পুলিশ অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কাজ করছে। রেলে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে রেল পুলিশের মাধ্যমে আইপি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধীদের ২৬ হাজার নেতাকর্মী গ্রেপ্তারের দাবি প্রসঙ্গে ডিআইজি আনোয়ার বলেন, নিয়মিত মামলা, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন অভিযোগে প্রতিদিন ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৯০০ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। রাজনৈতিক কারণে কাউকেই গ্রেপ্তার করা হয় না। তবে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে কেউ যানবাহনে আগুন, ভাঙচুর, নাশকতা করলে, সুনির্দিষ্ট মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। নির্বাচন প্রতিরোধ ও নির্বাচনী কার্যক্রমে বাধা দেওয়া অপরাধ। ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অধিকার কারও নেই।
তিনি আরও বলেন, পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে আমাদের নির্দেশনা রয়েছে। নির্বাচন কমিশনের আদেশ অনুযায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের অনেককে বদলি কিংবা প্রত্যাহার করা হয়েছে।