রাজশাহীর ঝুঁকিপূর্ণ ৬১টি কেন্দ্রে সেনা মোতায়েন
নিজস্ব প্রতিবেদক : চতুর্থ ধাপে রোববার রাজশাহীর তানোর, পুঠিয়া ও বাগমারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ তিন উপজেলার ১৯৪টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ৬১টি ভোট কেন্দ্রে মোতায়েন করা হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য।
এরই মধ্যে শুক্রবার সন্ধ্যায় তিন উপজেলায় স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে পাঁচ দিনের জন্য সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল থেকে নির্বাচনী এলাকায় টহল শুরু করেছে সেনা ও বিজিবি সদস্যরা।
সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন সম্পন্ন করতে এরই মধ্যে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার বিকেলের মধ্যেই প্রতিটি কেন্দ্রে নির্বাচন সামগ্রী পৌঁছে যাবে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা এড়াতে এরই মধ্যে নির্বাচনী এলাকায় পর্যাপ্ত সংখ্যক সেনা ও বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। র্যাব-পুলিশের পাশপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে তারা। এছাড়া নির্বাচনী আচরণ বিধি দেখভালের জন্য প্রতি উপজেলায় একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
নির্বাচনে শনিবার থেকে আরও তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেটের নেতৃত্বে আরো চারটি করে ভ্রাম্যমাণ দল কাজ শুরু করবে। এ নিয়ে কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা।
এদিকে, জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, ওই তিন উপজেলার ১৯৪টি ভোট কেন্দ্রকে ঘিরে এরই মধ্যে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ৬১টি কেন্দ্রকে দেয়া হচ্ছে বিশেষ গুরুত্ব। কেন্দ্রগুলো হচ্ছে তানোরের ৫১টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১৬টি, পুঠিয়ার ৫৯টি ভোট কেন্দ্রর মধ্যে ১৮টি এবং বাগমারার ৮৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৭টি।
সহিংসতা এড়াতে এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় পুলিশী টহল জোরদার করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, পুঠিয়া উপজেলায় ২৩টি ভোট কেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বলে দাবি করে সেগুলোতে বিশেষভাবে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আল মামুন। গত বৃহস্পতিবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে লিখিতভাবে দাবি জানান তিনি।
নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, রাজশাহীর এ তিন উপজেলায় মোট ভোটার ৫ লাখ ২৭ হাজার ৪৬৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৩০ হাজার ২০৭ জন এবং নারী ভোটার ২ লাখ ৬৭ হাজার ২৫৯ জন। মোট ১৯৪টি ভোট কেন্দ্রে একযোগে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ তিন উপজেলায় মোট ভোট কক্ষ রয়েছে ৯৮৮টি। নির্বাচনে ১৯৪ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ওই সব কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবেন। থাকবেন ৯৮৮ জন সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও ২ হাজার ১৭৬ জন পোলিং অফিসার।
এ তিন উপজেলায় তিন পদে প্রার্থী রয়েছে ২৯ জন। এর মধ্যে তানোরে চেয়ারম্যান পদে দুইজন এবং পুরুষ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন ও পাঁচজন। ওই তিন পদে পুঠিয়ায় যথাক্রমে ছয়জন, তিনজন ও দুইজন এবং বাগমারায় চেয়ারম্যান পদে চারজন এবং পুরুষ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুইজন করে।