গাজায় ভয়াবহ ইসরাইলি হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ৩৫
অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের রাফা শহরে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে নারী ও শিশুসহ অন্তত ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বহু মানুষ। খবর আল জাজিরার।
এক বিবৃতিতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, রাফায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের বেশিরভাগই বাস্তুচ্যুত নারী ও শিশু যাদের ওপর ‘গণহত্যার হাতিয়ার’ দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। এসব মানুষ আগে থেকেই পানি, খাদ্য, ওষুধ, বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি থেকে বঞ্চিত ছিল।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, রাফা শহরের ইসরায়েলি বাহিনী একটি পরিকল্পিত নিরাপদ অঞ্চলে বাস্তুচ্যুত লোকদের ক্যাম্পে বোমা হামলা চালিয়েছে বলে কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। তাদের মতে, এই হামলায় কমপক্ষে ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
গত বছরের অক্টোবর মাসের ৭ তারিখে ইসরায়েলে এই দশকের সবচেয়ে বড় হামলা চালায় হামাস। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা আগ্রাসনে এ পর্যন্ত ৩৫ হাজার ৯৮৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। জাতিসংঘ-সহ বিভিন্ন দেশ ও সংস্থা এই গণহত্যা বন্ধের আহ্বান জানালেও ইসরায়েল এসবে তোয়াক্কা না করে হামলা চালিয়েই যাচ্ছে।
হামলার শুরুর পর ইসরায়েলি ঘোষণার প্রেক্ষিতে রাফাহ এলাকায় অবস্থান নেয় কয়েক লাখ ফিলিস্তিনি। পরে ইসরায়েল সেখানেও অভিযান চালানোর ঘোষণা দিলে ফিলিস্তিনিরা রাফা ছেড়ে সরে অন্যত্র যান।
মূলত চলতি মাসের শুরুতে রাফা সীমান্তের ফিলিস্তিনি অংশ দখলে নেয় ইসরায়েল। এরপর থেকে তারা সীমান্ত ক্রসিংটি বন্ধ করে দেয়। এতে অবরুদ্ধ এই অঞ্চলে মানবিক খারাপ ভয়াবহ আকার ধারণ করে। শুধু রাফায় নয়, গাজা উপত্যকাজুড়ে ফিলিস্তিনিদের ওপর বিপর্যয় নেমে এসেছে।
বিভাগ : আন্তর্জাতিক