ইবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার সরকারের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে মারধর, শ্বশুরের টাকায় চাকরির দেনা পরিশোধ, স্ত্রীকে অমানবিক নির্যাতনসহ সংসার না করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তার শাস্তির দাবি জানিয়েছে স্ত্রী জয়া সাহা এবং তার পরিবার।
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে বিচ্ছেদ চান না দু’জনই। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস কর্নারে সংবাদ সম্মেলন করে এ শাস্তির দাবি জানান স্ত্রী ও তার পরিবার।
জানা যায়, নির্যাতনের শিকার অধ্যাপকের স্ত্রী জয়া সাহা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাস করেছেন এবং নাটোর জেলার উপরবাজার উপজেলার রতন কুমার সাহার বড় কন্যা। এদিকে সঞ্জয় কুমার পাবনা জেলার চুয়াডাঙ্গা গ্রামের সুশান্ত কুমার সাহার পুত্র। ২০১৫ সালে সঞ্জয় এবং জয়া সাহার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের একটি সাড়ে চার বছরের পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই সংসারে চলে নানা টানাপোড়েন। গত বছরের জুন মাসে স্ত্রীকে জোরপূর্বক শ্বশুর বাড়ি রেখে আসে সঞ্জয়। এরপর থেকে তাদের মধ্যে যোগাযোগ হয়নি। তারা দু’জনই মামলা-মোকদ্দমা লড়ছেন বলে জানা গেছে।
লিখিত বক্তব্যে জয়া সাহা বলেন, বিয়ের পর সময় যতই গড়তে থাকে ধীরে ধীরে আমার স্বামীর ভয়াবহ রূপ বেড়িয়ে আসতে থাকে। সঞ্জয় আমার উপর নির্যাতন করত, যার জন্য আজ আমার জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
জয়া সাহার পিতা রতন কুমার সাহা বলেন, ‘আমার মেয়েকে বিয়ের পর থেকে অমানবিক নির্যাতন করেছে। এক বছর আগে মেয়েকে আমার বাড়ি রেখে যায়। এরপর আর যোগাযোগ করেনি।’
সহযোগী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার সরকার বলেন, ‘আমি স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিতে মোকদ্দমা করেছি। আমি তার সঙ্গে সংসার করতে চাই। এর বেশি কিছু মন্তব্য করতে চাই না।’