বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Sunday, December 22, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জানা-অজানা » বিশ্বের অজানা ১৫টি মজার তথ্য

বিশ্বের অজানা ১৫টি মজার তথ্য 

1

বিশ্বজুড়ে জানা-অজানা কত তথ্যই রয়েছে। অজানা তথ্য জানা কৌতুহলী মানুষের অভাব নেই। অনেকেই এসব তথ্য জেনে চমকে উঠেন। আসলেই এমনটা হয়! এটাও সম্ভব! পৃথিবীজুড়ে এতো কিছু হয়! এমন অবাকসূচক অনুভূতিও প্রকাশ করেন। এসব তথ্য জানলে মানুষের সাধারণ জ্ঞানও বাড়ে। অন্যের সঙ্গে গল্পে বসলে এই মজার তথ্যগুলো শেয়ারও করতে পারেন। নিজেকে জ্ঞানী ব্যক্তি হিসেবে উপস্থাপন করারও সুযোগ থাকে।

বিশ্বের অজানা মজার ১৫টি তথ্য নিয়েই থাকছে আজকের আয়োজন_

  • হিমবাহ হচ্ছে তুষারের নদী। যা হালকা বরফ এবং গ্রীষ্মকালেও খুব বেশি গলে যায় না। তাই তুষারের নদী চিরকাল টিকে থাকে। এই হিমবাহ বিশ্বের প্রায় ৬৯ ভাগ সুপেয় পানি ধরে রেখেছে।
  • পৃথিবীতে বাতাস প্রবাহিত হয় নির্দিষ্ট গতিতে। যার মধ্যে সবচেয়ে দ্রুত প্রবাহিত বাতাসের গতি ২৫৩ মাইল।
  • আমেরিকায় অবস্থিত রয়েছে হাওয়াই রাজ্য। ১৯৫৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে হাওয়াই  অন্তর্ভুক্ত হয়। এই রাজ্য থেকে বিশ্বের সবচেয়ে চমৎকার রংধনু দেখা যায়।
  • গ্রীনল্যান্ডে বরফের ১.৪ কিলোমিটার নিচে জীবাশ্ম আকারে বৃক্ষরাজি আছে।
  • পৃথিবীর বুকে জীববৈচিত্র্যের অন্যতম স্থান সমুদ্রের তলদেশ। ২০২০ সালে সমুদ্র তলদেশে প্রায় ৪০০ প্রজাতির নতুন জলজ প্রাণীর সন্ধান পাওয়া গেছে।
  • হিমালয় পর্বতমালা এশিয়ার এমন একটি পর্বতমালা যা তিব্বতীয় মালভূমি থেকে ভারতীয় উপমহাদেশকে পৃথক করেছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেখা যায়, বর্তমানে হিমালয়ের উচ্চতা ২৯০৩১.৬৯ ফিট। ১৮৫৬ সালের এর উচ্চতা ছিল ছিল ২৯০০২ ফিট।
  • বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা হয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের রঙও বদলে গেছে।
  • বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে চারটি শিশুর জন্ম হয়।
  • বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয় পানীয়ের মধ্যে একটি হচ্ছে কোকাকোলা। তবে আপনি জানেন কি, উত্তর কোরিয়া ও কিউবা এই দুই দেশে কোকা কোলা বিক্রয় হয় না।
  • ক্যালিফোর্নিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্য। ১৮৫০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ৩১তম অঙ্গরাজ্য হিসেবে এটি অন্তর্ভুক্ত হয়। জনসংখ্যায় ক্যালিফোর্নিয়া যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম অঙ্গরাজ্য। আয়তনে এটি যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় অঙ্গরাজ্য। তবে আপনি জানেন কি, বিশ্বের সব মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাড়ালে ক্যলিফোর্নিয়ায় জায়গা হয়ে যাবে।
  • অন্যান্য সময়ের তুলনায় বর্তমানে বিশ্বে জমজ সন্তান জন্ম দেওয়ার মাত্রা বেড়েছে।
  • ঝাল পরিমাপক যন্ত্র স্কোভাইল স্কেলের তথ্য অনুযায়ী, ড্রাগন ব্রেথ মরিচে ঝালের মাত্রা ২.৪৮ মিলিয়ন পানির ফোটার সমপরিমাণ। এই মরিচ এতটা ঝাল, যা মৃত্যুর কারণও হতে পারে।
  • বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ইন্দোনেশিয়ার জনগণ সবচেয়ে খাটো আকৃতির হয়ে থাকে।
  • জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত প্যারিস চুক্তিতে একদিনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক দেশ স্বাক্ষর করেছে।
  • অ্যান্টার্কটিকায় এখন পর্যন্ত রেকর্ড করা সবচেয়ে ঠান্ডা তাপমাত্রা ছিল -১৪৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট।

 

লাদাখে তুষার-ভাস্কর্য

2

করোনা মহামারিতে বিশ্বজুড়ে পর্যটন স্থানে ছিল শূন্যতা। মহামারির প্রকোট কিছুটা কমে আসতেই পর্যটন স্থানগুলো প্রাণ ফিরে পাচ্ছে। সেখানে পদচারনা বাড়ছে পর্যটকদের। অন্যদিকে প্রশাসনও পর্যটন স্থানকে আরও আকর্ষণীয় করার পদক্ষেপ নিচ্ছে। পর্যটকের সংখ্যা বাড়িয়ে পর্যটন খাতকে উন্নত করতে ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানকে নতুনভাবে সাজানো হয়েছে।

বিশ্বে পর্যটন স্থানগুলোর মধ্যে জনপ্রিয় ভারতের লাদাখ। সেই স্থানও এবার নতুন করে সাজানোর পরিকল্পনা করছে  স্থানীয় প্রশাসন। দ্রুত লাদাখে শুরু হতে যাচ্ছে তুষার ভাস্কর্য।

লাদাখের লেফটেন্যান্ট গভর্নর আর কে মাথুরজানান, শীতের মৌসুমে তুষার ভাস্কর্য চালু করা হবে। এই এলাকায় তুষার শিল্প প্রতিষ্ঠিত করা হবে। আশা করা যাচ্ছে, কয়েক বছরের মধ্যে লাদাখ পর্যটকদের জন্য তুষার ভাস্কর্য উত্‍সবের আয়োজন করতে পারবে।

টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে জানা যায়, গত ১১ ফেব্রুয়ারি লাদাখে প্রথম তুষার-ভাস্কর্য কর্মশালার সমাপ্ত হয়। সাংটকচানে লাদাখ পুলিশে ও কাংডিং স্নো এবং আইস স্কাল্পচার অ্যাসোসিয়েশন এই কর্মশালার আয়োজন করে।

লেফটেন্যান্ট গভর্নর জানান, শীতের মৌসুমেও লাদাখ দেখতে আরও সুন্দর। সেই সৌন্দর্য্য পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতেই এই আয়োজন। শীতকালে লাদাখ থেকে পর্যটকরা বেরিয়ে যাওয়ার কোনও যুক্তিই নেই। এই সময়ও পর্যটন খাতে আয় করা সম্ভব। গ্রীষ্ম মৌসুমের মতো শীতের মৌসুমেও  লাদাখ দেখতে পর্যটকরা আসবে।

তুষার ভাস্কর্য গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিগুলো সরবরাহ করার প্রতিশ্রুতিও দেন গভর্নর। লাদাখের স্থানীয় যুবকদের সৃজনশীলতায় এসব ভাস্কর্য তৈরি করা সম্ভব বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। গভর্নর বলেন, ’বিশ্ব পর্যটন খাতে এটি হতে পারে অন্যতম একটি নির্দশন।

পানির নিচ থেকে জেগে উঠল ভুতুড়ে গ্রাম!

3

নদীর বুকে চর জেগে ওঠে। সেই চরে আবাসস্থল গড়ে তোলে মানুষ। আবার অনেক আবাসস্থলই নদীর বুকে বিলীন হয়ে যায়। পুরো গ্রামকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় নদীর স্রোত। সেই স্রোতের বুকেই যদি হারিয়ে যাওয়া গ্রাম জেগে ওঠে, তবে আনন্দ তো দ্বিগুণ হবেই। দেশে নয়, বিদেশের মাটিতে ঘটেছে এ ঘটনা। স্পেন ও পর্তুগালের সীমান্তে লিমিয়া নদীর পানির তলদেশ থেকে জেগে উঠেছে একটি গ্রাম। গ্রামটির নাম অ্যাসেরেডো। সবাই বলছে, এ এক ভুতুড়ে গ্রাম!

রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, স্পেনের বৃহত্তর লোবিওস নগরের ভেতরেই পড়েছে অ্যাসেরেডো গ্রামটি। প্রায় ৩০ বছর আগে স্পেনীয় এই জনপদটি নদীর বুকে তলিয়ে গিয়েছিল। সম্প্রতি পানি শুকিয়ে সেই জনপদটি উঠে এসেছে জনসমক্ষে। ভেসে উঠেছে জনপদের অতীত চিহ্ন। শঙ্কার বিষয় হলো, জেগে ওঠা গ্রামটি হচ্ছে ভুতুড়ে একটি গ্রাম। অতীতেই এটি ভুতুড়ে গ্রাম হিসেবে পরিচিত ছিল। আর এই খবর চড়াও হওয়ার পর থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।

স্থানীয়রা জানান, বড় বাঁধের অংশ ছিল গ্রামটি। বন্যায় তা প্লাবিত হয়েছিল, যা ঘটেছিল ১৯৯২ সালে। লিমিয়া রিভারবেডে বাঁধ ও জলাধার বানাতে গিয়ে গ্রামটিকে নষ্ট করা হয়। ওই সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গ্রামটির বড় অংশজুড়ে রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় বাঁধ খুলে দেওয়া হয়। আর গ্রামটি তলিয়ে যায়।

দীর্ঘ তিন যুগ পর নদীর তলদেশ থেকে উঠে এলো অ্যাসেরেডো। অনাবৃষ্টিতে তীব্র খরার সৃষ্টি য়। জলাধারের পানি কমে যায়। ফলে আবারও জেগে উঠেছে তলিয়ে থাকা গ্রামটি। তবে গ্রামটির আগের রূপ নেই। দীর্ঘ সময় পানির নিচে থাকায় এর বাড়িগুলোর ছাদ ধসে পড়েছে। বাড়ির দেয়াল আর দরজা-জানালাগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। রীতিমতো ভুতুড়ে রূপ ধারণ করেছে গ্রামটি। আর সেই গ্রামের ধ্বংসাবশেষ দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন লোকজন।

৬৫ বছর বয়সী ম্যাক্সিমিনো পেরেজ রোমিও গ্রামটিতে ঘুরতে আসেন। পেরেজ রোমিও বলেন, ‘মনে হচ্ছে সিনেমা দেখছি। খুবই খারাপ লাগছে। ভয় হচ্ছে। খরা ও জলবায়ু পরিবর্তন ঘটলে আরও কী ঘটবে কল্পনা করতে পারছি না।’

লোবিওস কাউন্সিলের মেয়র মারিয়া দেল কারমেন ইয়ানেজ বলেন, ‘বৃষ্টির অভাবেই খরা দেখা দিয়েছে। জানুয়ারি মাসে পরিস্থিতি বেশি সংকটময় হয়।’

 

বিশ্বজুড়ে প্রেমিক যুগলের ‘লাভ স্পট’

3

‘ভালোবেসে সখি, নিভৃতে যতনে.. আমার নামটি লিখো… তোমার মনেরও মন্দিরে’- বিখ্যাত কবি রবি ঠাকুর এই গান লিখে গেছেন সেই কবে। বেলা গড়িয়েছে, কিন্তু প্রেমিক হৃদয়ের এই আকুলতা রয়ে গেছে অকৃত্রিম। কালের পরিক্রমায় ভালোবাসার স্থান, কাল ও পাত্র পরিবর্তন হয়েছে ঠিকই কিন্তু প্রেম নিবেদনের আবেদন এখনো অটুট। প্রেমিক যুগলেরা এখনও ঘুরে ফিরে নানান পরিকল্পনায় প্রকাশ করছেন তাদের ভালোবাসা। প্রেমে পড়া মাত্রই যুগলেরা তাদের প্রেমকে অমরত্ব দিতে ছুটে যান এক স্থান থেকে আরেক স্থান। সারাবিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এমন কিছু প্রেমের দর্শনীয় স্থান। যেসব স্থান প্রেমের নির্দশনের জন্যই বহুল পরিচিত এবং সমাদৃত। রাষ্ট্র থেকে সমাজ সবার কাছেই তা পরিচিত ‘লাভ স্পট’ নামেই।

প্যারিস, ভেনিস, সুইজারল্যান্ড তো প্রেমের জন্যই বিখ্যাত। এছাড়াও পৃথিবীতে এমন অনেক  জায়গা রয়েছে যেগুলো জনসাধারণের চোখে এখনও সেভাবে পড়েনি। আবার এমন কিছু কিছু জায়গার খোঁজ পাওয়া যায় যে জাগয়াগুলোকে প্রেমের তীর্থ স্থান হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। এসব স্থানে এসে অনেক প্রেমিক যুগলই তাদের মনের ইচ্ছে পূরণের জন্য উদ্দেশ্যে নানান ব্রত ও প্রার্থণা করেন। বিশ্বব্যাপী পরিচিত এমনই কিছু লাভ স্পট নিয়ে থাকছে এই বিশেষ আয়োজন।

Clarke Quay in Singapore

Clarke Quay in Singapore

সিঙ্গাপুর

বাণিজ্যিক শহর হিসেবেই বিশ্বব্যাপী পরিচিতি সিঙ্গাপুর। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যর অদ্ভুত মিশ্রণ সিঙ্গাপুর। নানান জাতি, ধর্মের মিলনে সংস্কৃতির নানা উৎস মিলে মিশে গেছে দেশটিতে। ছোট এই দেশটি ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে অত্যন্ত প্রিয়। দিনরাত আলোর রোশনাই বিমোহিত করে আগত পর্যটকদের। তবে খাওয়া-দাওয়া  ও শপিং বাদ দিয়েও প্রেমকি যুগলদের কাছে অন্য রকম আকর্ষণীয় স্থান হলো ক্লার্ক কোয়ে। সিঙ্গাপুর নদীর পাশে অবস্থিত ক্লার্ক কোয়ের মাঝখানে বিশাল হার্ট শেপ আকৃতির একটি স্থাপনা চোখে পড়বে। সেই হার্ট শেপের গ্রিলে লাগানো রয়েছে অসংখ্য তালা। প্রেমিক যুগলেরা তাদের প্রেমকে দীর্ঘায়িত করার মনো বাসনা নিয়ে এই স্থানে তালা লাগিয়ে চাবি ফেলে দেন সিঙ্গাপুরের নদীতে। তারা বিশ্বাস করেন, এতে তাদের ভালোবাসা চিরজীবী হবে নিশ্চয়ই।
এছাড়াও, আরেকটি তীর্থ স্থানের সন্ধান সিঙ্গাপুরে পাওয়া যায়। তা হলো ফিলিপ স্ট্রিটে অবস্থিত ইউ লিওর দেবতার মন্দির। এর নাম ইউ হি চিং মন্দির। চাইনিজ দম্পতিরা বিশ্বাস করেন, দেবতার হাতে থাকা লাল সুতার একটি অংশ ছিড়ে পুরুষ এবং নারী দুইজনের হাতের ছোট আঙ্গুলে শক্ত করে বেধে রাখা যায়, তাহলে ভালোবাসার সম্পর্ক অটুট থাকবে চিরদিন।

 

5

প্যারিস, ফ্রান্স

প্যারিসকে বলা হয় ভালোবাসার শহর। প্যারিসের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ভালোবাসার রঙ। প্যারিসের সিন নদীর লাভ লক ব্রিজ বিশ্বব্যাপী পরিচিত। প্রেমিক যুগলেরাই নন এই লাভ লক ব্রিজ পরিদর্শনে প্রতিদিন কয়েক হাজার দর্শনার্থী ভিড় জমান। পেছনেই রয়েছে বিশ্ব বিখ্যাত আইফেল টাওয়ার। লাভ লক ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখতে দেখতে আপনি হারিয়ে যাবেন অন্য এক ভুবনে। চারিদিকে মনোহর পরিবেশ আর হাজার হাজার প্রেমিকের লাগানো তালার দিকে তাকিয়ে আপনার কাছেও মনে হতে পারে অপার্থিব কিছু হয়তো আছে এখানে।

 

6

ব্যাংকক, থাইল্যান্ড

আপনি যদি কখনো প্রিয়জনকে সঙ্গে করে ব্যাংকক ভ্রমণে যান তাহলে একবার হলেও ঘুরে আসুন ব্যাংকক ওয়ার্ল্ড শপিংমলের প্রেমের মন্দিরটিতে। এখানকার ত্রিমূর্তি মন্দির স্থানীয়দের কাছে বহুল জনপ্রিয়। স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, এই মন্দিরের দেবতারা আপনার প্রাণপ্রিয় সঙ্গীকে আশীবার্দ করবেন। এখানে প্রতিনিয়তই যুগলেরা হাজির হন লাল গোলাপ, লাল সুগন্ধিযুক্ত মোমবাতি, ধূপকাঠি হাতে নিয়ে। মন্দিরের বেদীতে লেখা প্রার্থনাটি পড়েন এবং তারা বিশ্বাস করেন এর মধ্য দিয়েই তারা লাভ করবেন স্বর্গীয় সুখ।

 

7

দ্য শার্ড, লন্ডন

লন্ডন কিন্তু বেশ বড় শহর। প্যারিসের চেয়ে ১০ গুণ বড়! সুসজ্জিত দালানকোঠা, দর্শনীয় স্থান, পার্ক, শপিং মল কী নেই এখানে? কোনটা রেখে কোনটায় যাবেন ভাবা মুশকিল। হয়তো প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে পুরো লন্ডন ঘুরে দেখার সময়ও আপনার নেই। চাইলেই কিন্তু আপনারা একদিনেই দেখে আসতে পারবেন পুরো লন্ডন। সেজন্য আপনাকে যেতে হবে লন্ডন শহরের সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং দ্য শার্ড এ। ডেটিংয়ের জন্য সবচেয়ে সুন্দর স্থান দ্য শার্ডের ছাদ। প্রায় নির্জন এই জায়গায় সঙ্গী নিয়ে উপভোগ করুন রাতের ঝলমলে লন্ডন। অন্য এক অভিজ্ঞতা নিয়েই ফিরবেন তা বলা যায় নিশ্চিতভাবেই।

 

8

ক্লিফস অব মোহের, আয়ারল্যান্ড

আয়ারল্যান্ডের দক্ষিণ প্রান্তে রয়েছে ক্লিফস অব মোহের। যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৮ কিলোমিটার উঁচুতে অবস্থিত। এটি আয়ারল্যান্ডের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জায়গা। কেননা এরকম দৃশ্য পৃথিবীর আর কোথাও আপনার চোখে পড়বে না। সমুদ্রের এই বিশালতার সামনে দাঁড়িয়ে আপনি যদি প্রিয়জনের হাতটি সারাজীবন ধরে রাখার প্রতিজ্ঞা করেন, বলা যায় সেও আপনার হাত আর কখনোই ছাড়বে না!

 

9

দ্য প্যাপ অব গ্লেনকো, স্কটল্যান্ড

কোনটা বেশি কঠিন? আমি তোমাকে ভালোবাসি এটা বলা? নাকি পাহাড়ের চূড়ায় চড়া? যদি দুটোই করতে চান তাহলে আপনাকে উঠতে হবে গ্লেনকোর চূড়ায়। এটি তর্কাতীতভাবে স্কটল্যান্ডে তো বটেই, সেই সঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর উপত্যকাগুলোর একটি। ৫ ঘণ্টা টানা ট্রেকিংয়ের পর আপনি পাহাড়ে চড়বেন এবং প্রিয়তমাকে আপনি কতটা ভালোবাসেন তার অভিব্যক্তি সেখানে প্রকাশ করবেন। এ এক সুন্দর অভিজ্ঞতা। বিশ্বজুড়ে প্রেমিক যুগল সেই পাহাড়ে চড়ে নিজেদের ভালোবাসার ব্যক্ত করে।

 

10

অরেঞ্জ ট্রি গার্ডেন, এভারটন হিল, রোম, ইতালি

রোমে কাউকে প্রপোজ করা মানে নিজের বিপদ নিজেই ডেকে আনা। কেননা সঙ্গীর কাছ থেকে প্রেমের প্রস্তাবে ‘হ্যাঁ’ শোনার চেয়ে আপনাকে বেশি শুনতে হবে ‘ আমাকে ছবি তুলে দাও তো!’ কষ্ট করে এতো দূরে এসে নিশ্চয়ই এটি শুনতে চাইবেন না? তাই চলে যেতে পারেন এই বিখ্যাত কমলা বাগানে। পিকনিক স্পট এবং আংটি বদলের জন্য এর চাইতে ভালো জায়গা আর কোথাও পাবেন না।

 

11

লেক অব লাভ, বুর্জেস

লেকসাইড পিকনিকের জন্য উপযুক্ত জায়গা হলো এই ‘লেক অব লাভ’। কেননা এই লেকের চারপাশ বিল্ডিং এবং সবুজ গাছপালা দিয়ে ঘেরা। এই লেকের নামকরণের পেছনে একটি ইতিহাস রয়েছে। লোকমুখে শোনা যায়, অনেক দিন আগে মীনা নামের স্থানীয় এক মেয়ে তার বিরোধী উপজাতি দলের এক ছেলেকে ভালোবাসতো। কিন্তু এই বংশের বিরোধীতা তাদের এক হতে দেয়নি। তাই তার ভঙ্গুর হৃদয় নিয়ে মেয়েটি এই লেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে। প্রচলিত আছে যে, যদি কেউ লেকটির ব্রিজ দিয়ে পার হয়ে ওপারে গিয়ে নিজের ভালোবাসার মানুষটিকে চুম্বন করে আসে, তাহলে তারা সারাজীবন একসঙ্গে থাকবে।

 

11

নর্দান লাইটস, আইসল্যান্ড

আইসল্যান্ডের নর্দান লাইটসের নিচের জায়গাটি হলো প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা। তবে, এখানে আসার আগে সময়টা ঠিকঠাক করে নিতে হবে। উপযুক্ত সময় হলো সেপ্টেম্বর থেকে এপ্রিল মাস। কেননা, এই সময় আকাশ একদম মেঘমুক্ত থাকে। আর আকাশে মেঘ যত কম হবে, তত বেশি আলোর খেলা  দেখা যাবে। প্রিয়জনের হাত ধরে এই আলোর মায়া দেখার চেয়ে শান্তির আর কিছুই নেই!

 

12

ইমেরোভিগলি, সান্তোরিনি, গ্রিস

সূর্যাস্তের সবচাইতে সুন্দর দৃশ্য দেখা যায় গ্রিসের সান্তোরিনিতে। মাত্র ৪শ’ ৭০টি বাড়ি রয়েছে এই জায়গায়। শ্বেত শুভ্র বাড়িগুলোকে দেখলে মনে হবে প্রকৃতিরও কোনো অংশ এই শহরটি।  সবসময়ই শান্ত-শীতল পরিবেশ এখানে বিরাজ করে। সঙ্গীর সাথে একদম একান্তে কিছু সময় কাটানোর জন্য সঠিক জায়গা হলো এই নীল গম্বুজের শহরটি। সাদা আর নীলের ছোঁয়ায় আপনার মনের গতিকে করে দিবে মন্থর। অস্থিরতার এই যুগে প্রেমের জন্য এর চেয়ে উপযুক্ত স্থান আর কোথায় মিলবে?

হাগে, দক্ষিণ কোরিয়া

বসন্তকে বলা হয় ঋতুরাজ। প্রায় প্রতিটি দেশেই বসন্তের আবহাওয়া সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর হয়। বসন্তে প্রকৃতি নানান রঙের ছোঁয়ায় হয়ে উঠে অনন্য। বসন্ত তাই ভ্রমণপিপাসুদের জন্য মহার্ঘ্যকালই বলা চলে। হুয়াগে শহর বসন্তের চেরিফুলে ছেয়ে যায়। চারিদিকে চেরিফুল আর মৃদু মন্দ বাতাস যেন মন্ত্রমুগ্ধের মতোই আছন্ন করে রাখে। মার্চ-এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া এই বসন্তে চারিদিকে উৎসবের আমেজ চলতে থাকে দক্ষিণ কোরিয়ার এই শহরটিতে। নানান উৎসব আর আনুষ্ঠানিকতায় ভরপুর থাকে পুরো সময়টা। হাগের সবচেয়ে আকর্ষণীয় হলো দুপাশে সারি সারি চেরি ফুলের বেষ্টিত চেরি ব্লুসম রোড। যা বিখ্যাত ওয়েডিং রোড হিসেবেও। কথিত আছে, এই সড়কে প্রিয়জনের হাত ধরে হেঁটে বেড়ালে তা প্রণয় থেকে পরিণয়ে রূপ পায় এবং তারা অত্যন্ত সুখেই তাদের জীবন অতিবাহিত করেন। তাই প্রেমকিদের জন্য তাদের মনোবাসনা পূরণের এটা একটি বিশাল সুযোগ বলা যেতে পারে।

 

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone