বেসরকারি ফল ৬১টি: আওয়ামী লীগ ৩৫, বিএনপি ১৫, জামায়াত ৩, অন্যান্য ৮
এইদেশ এইসময়, ঢাকা : উপজেলা নির্বাচনের চতুর্থ ধাপের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে ভোট গণনা। বিভিন্ন উপজেলা থেকে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফল আসছে। এখন পর্য।ন্ত ৬১টি উপজেলার ফল পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত প্রার্থীরা ৩৫টিতে, বিএনপি-সমর্থিত ১৫টি ও জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থীরা ৩টিতে নির্বাচিত হয়েছেন।
এ ছাড়া কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বিএনপির সংস্কারপন্থী নেতা গিয়াস উদ্দিন, তাড়াইলে জাতীয় পার্টির বিদ্রোহী প্রার্থী কামাল উদ্দিন, পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবু বকর সিদ্দিক, রাঙামাটির জোড়াছড়িতে জেএসএসের উদয় জয় চাকমা, পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় জাতীয় পার্টির (জেপি) হাকিকুল ইসলাম, হবিগঞ্জ সদরে স্বতন্ত্র সৈয়দ আহমদুল হক, লাখাইয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী অ্যাডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদ ও আজমেরিগঞ্জে আতর আলী মিয়া বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
আওয়ামী লীগ-সমর্থিত বিজয়ীরা
ভোলার মনপুরায় সেলিনা আক্তার, তজমুদ্দিনে ওয়াহিদউদ্দিন জসিম, দৌলতখানে মঞ্জুর আলম খান। ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় ফারুক শিকদার, নলছিটিতে ইউনুছ লস্কর। ফেনীর ফুলগাজীতে একরামুল হক, সোনাগাজীতে জেড এম কামরুল আনাম। চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে আবু মোহাম্মদ আবদুল লতিফ অমল। কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে মো. আবদুস শহীদ ভূঁইয়া, ইটনায় মো. কামরুল ইসলাম চৌধুরী, কটিয়াদীতে আবদুল ওহাব আইন উদ্দিন। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ফিরোজ আল মামুন। পাবনার ফরিদপুরে খলিলুর রহমান সরকার। খুলনার বটিয়াঘাটায় আশরাফুল আলম খান, দাকোপে শেখ আবুল হোসেন, তেরোখাদায় শরফুদ্দিন বিশ্বাস, ফুলতলায় এস এম আকরাম, রূপসায় কামাল উদ্দিন । সাতক্ষীরার কলারোয়ায় ফিরোজ আহমেদ স্বপন। যশোরের সদর উপজেলায় শাহীন চাকলাদার। কুমিল্লার মেঘনায় মো. আবদুস সালাম। টাঙ্গাইলের কালিহাতিতে মাজহারুল ইসলাম ঠান্ডু, মধুপুরে সারোয়ার আলম খান, ভূঞাপুরে অ্যাডভোকেট আবদুল হালিম । চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে আতাউল হক, রাউজানে এহসানুল হায়দার চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়ায় মো. আলী শাহ। দিনাজপুরের বোচাগঞ্জে ফরহাদ হোসেন চৌধুরী। পিরোজপুর সদরে মুজিবুর রহমান, মঠবাড়িয়ায় আশরাফুল ইসলাম। সিলেটের সদরে আশফাক আহমেদ। বরিশালের বানারীপাড়ায় গোলাম ফারুক। হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে আলমগীর চৌধুরী। মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে রণবীর কুমার ও কমলগঞ্জে রফিকুর রহমান।
বিএনপি-সমর্থিত বিজয়ীরা
বরগুনার বেতাগীতে শাহজাহান কবির। চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে দেলোয়ার হোসেন মিয়াজী। নেত্রকোনার মদনে এম এ হারেস। সুনামগঞ্জের শাল্লায় গণেন্দ্র চন্দ্র সরকার, ধর্মপাশায় মোতালিব খান । সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে আবদুল্লাহ আল-মামুন। শেরপুরের নলিতাবাড়ীতে মোখলেছুর রহমান। দিনাজপুরের ফুলবাড়িতে খুরশিদ আলম মতি। ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে আবদুল মজিদ। নাটোরের বড়াইগ্রামে একরামুল আলম। কক্সবাজারের রামুতে আহমেদুল হক চৌধুরী। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ইঞ্জিনিয়ার মোসলেম উদ্দিন। সিলেটের কানাইঘাটে আশিক চৌধুরী। টাঙ্গাইলের নাগরপুরে আবদুস সালাম দুলাল। ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে জিয়াউল ইসলাম জিয়া।
জামায়াত-সমর্থিত বিজয়ীরা
পিরোজপুরের জিয়ানগরে মাসুদ বিন সাঈদী। জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে মোস্তাফিজুর রহমান। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে তোফায়েল আহমেদ।
রোববার চতুর্থ উপজেলা নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে নির্বাচনী সহিংসতায় মারা গেছেন চারজন। কেন্দ্র দখল, জাল ভোট, হামলাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে নয়টি উপজেলায় বিএনপি ও জামায়াত-সমর্থিত প্রার্থীরা ভোট বর্জন করেছেন। ভোট বর্জন করেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীও।
এদিন দেশের ৪৩টি জেলার ৯১টি উপজেলায় ভোট নেয়া হয়। সকাল আটটায় মোট পাঁচ হাজার ৮৮২টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে তা চলে বিকেল চারটা পর্যন্ত। সহিংসতা ও অনিয়মের অভিযোগে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে ৩৩টি কেন্দ্রে ।
এবার ভোটার ছিলেন এক কোটি ৩৮ লাখ ৫৯ হাজার ২৭৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬৯ লাখ ৭ হাজার ৯৫৬ ও নারী ভোটার ৬৯ লাখ ৫১ হাজার ৩১২ জন।
চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা চেয়ারম্যান পদে মোট এক হাজার ১৮৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৩৮৯ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৮৫ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ছিলেন ৩১২ জন।