শিশুদের হাতে স্মার্টফোন নয়: যুক্তরাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী
প্রাইমারি স্কুলে যাওয়া শিশুর স্মার্টফোন কিনে না দেওয়ার জন্য অভিভাবকদের আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী নর্মা ফলি।
ফলির এই প্রস্তাবনায় অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্যের মন্ত্রীসভা।
এরইমধ্যে অনলাইনেও এসেছে নতুন এই নির্দেশনা, যা যুক্তরাজ্যের সকল প্রাইমারি স্কুলেও পাঠানো হবে।
ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, এই নির্দেশনার লক্ষ্য হল, যে সকল অভিভাবক প্রাইমারি স্কুল শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন ব্যবহার বন্ধ করতে সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ নিতে চান, তাদের সমর্থন দেওয়া।
এর আগে শিশুদের স্মার্টফোন কিনে না দেওয়ার উদ্দেশ্যে এমনই এক প্রকল্প বাস্তবায়নে একমত হয়েছেন আয়ারল্যান্ডের কো উইকলো অঞ্চলের উপকুলীয় শহর গ্রেস্টোনসের আট স্কুলের অভিভাবকরা, যার ভিত্তিতে এই নির্দেশনা এল।
ফলি’র এই পরিকল্পনার পেছনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে শিশুদের স্মার্টফোনে সম্ভাব্য সাইবার বুলিয়িং, সহিংসতা ও যৌনতার মতো ক্ষতিকারক কনটেন্ট দেখার শঙ্কা।
ফলি বলেন, স্মার্টফোন কেনার নিশ্চিত সুবিধা থাকলেও শিশুদের ওপর এর সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলোও ঠেকানো দরকার।
“স্কুলের প্রিন্সিপালরা আমাকে বলেছেন, স্মার্টফোনে অনলাইন বুলিইয়িংয়ের মতো ঘটনা স্কুল পিরিয়ডের বাইরেই বেশি ঘটে।” –বলেন তিনি।
“স্কুলের বাইরে এমন ঘটলে এটি তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে না। আর, স্মার্টফোন ব্যবহারের কারণে শিশুদের এমন সহিংস ও যৌনতার কনটেন্ট দেখার ঝুঁকি রয়েছে। এমন কিছু তাদের সন্তানদের সামনে পড়ুক, কোনো অভিভাবকই সেটি চাইবেন না।”
শনিবার এ পদক্ষেপ নিয়ে নির্বাচন বিষয়ক এক টিভি শোতে এ বিষয়ে বক্তব্য রেখেছেন ফলির রাজনৈতিক দলের প্রধান মাইকেল মার্টিন।
অনুষ্ঠানে নিজ দলের সদস্যদের কাছে শিশুদের স্মার্টফোন ব্যবহার সীমিত করার গুরুত্বের কথা তুলে ধরেন তিনি।
“বর্তমানে অন্যতম চ্যালেঞ্জিং বিষয় হল, অনলাইন জগৎ নিয়ে শিশুদের দিক নির্দেশনা দেওয়া, যেখানে নতুন হুমকি আসার পাশাপাশি তাদের মানসিক স্বাস্থেও ক্ষতির ঝুঁকি রয়েছে।” –বলেন তিনি।