বগুড়ায় যমুনার পানি বেড়ে সারিয়াকান্দির চরাঞ্চল প্লাবিত
বগুড়ার যমুনার নদীর পানি বেড়ে সারিয়াকান্দির চরাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনার পানি ৫৩ সেন্টিমিটার বেড়েছে।
বগুড়া পনি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, মঙ্গলবার ঘণ্টায় দুই সেন্টিমিটার করে বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে সারিয়াকান্দিতে যমুনার পানিতে উপজেলার চরাঞ্চলের নিচু জায়গা প্লাবিত হয়েছে। তবে সারিয়াকান্দিতে যমুনা পয়েন্টের ঝুঁকিপূর্ণ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের এলাকায় সতর্কতার জন্য লোক দেয়া হয়েছে। বন্যা মোকাবিলার সকল রকম প্রস্তুতি আছে এনমটাই জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: নাজমুল হক।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানান, মঙ্গলবার দেখা গেছে পানি ঘণ্টায় দুই সেন্টিমিটারের বেশি বেড়েছে। তাদের ধারণা, এভাবে পানি বাড়লে বগুড়ার কাছে যমুনার পানি বৃহস্পতিবার বিপৎসীমা স্পর্শ করবে। যমুনা পয়েন্টে আজ বুধবার নদীর পানি ১৫ দশমিক ৬৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রাবাহিত হচ্ছে।
তিনি আরো জানান, সারিয়াকান্দির কর্নিবাড়ি, কামালপুর, হাটশেরপুর, ফুলবাড়ি, চালুয়াবাড়ির চরাঞ্চলের নিচু জায়গা তলিয়ে গেছে।
এ দিকে সারিয়াকান্দির ইছাদহ গ্রামের চার শ’ মিটার এবং শিমুলতাইড় ছয় শ’ মিটার ভাঙন এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ও টিও ব্যাগ ফেলে নদী ভাঙান রোধের কাজ শুরু হয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে লোক দিয়ে পাহারা দেয়া হচ্ছে। হঠাৎ বাঁধে ভাঙন দেখা দিলে যাতে তাৎক্ষণিকভাবে বাঁধ নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেয়া যায়। বাঁধের আশেপাশের জনগণকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
বগুড়া জেলা প্রশাসক মো: সাইফুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসনের সব ধরনের প্রস্তুতি আছে। বন্যা মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে চাহিদাপত্র দেয়া হয়েছে।
জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া জানান, অতি জরুরিভাবে পাঁচ শ’ মোট্রকটন চাল, ১০ লাখ টাকা ও দুই হাজার প্যাকেট শুকনা খাবারের চাহিদাপত্র দেয়া হয়েছে। আশা কারা যাচ্ছে, দুয়েক দিনের মধ্যে সেগুলো পৌঁছে যাবে।
সূত্র : বাসস