বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Friday, September 20, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » দুর্নীতি তদন্তে দুদকে চিঠি দিল পিএসসি (৫ কর্মকর্তা–কর্মচারীর)

দুর্নীতি তদন্তে দুদকে চিঠি দিল পিএসসি (৫ কর্মকর্তা–কর্মচারীর) 

প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় গ্রেপ্তার পিএসসির পাঁচজনের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি। এ পাঁচজন হলেন পিএসসির উপপরিচালক মো. আবু জাফর ও জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির, পিএসসির কর্মচারী ডেসপাস রাইডার খলিলুর রহমান এবং অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলাম।

গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় পিএসসি থেকে দুদকের সচিব বরাবর এ চিঠি পাঠানো হয়। পিএসসির প্রশাসন শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব জামিলা শবনম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী পদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র অবৈধ উপায়ে সংগ্রহ, পরীক্ষার পূর্বে প্রশ্নপত্র প্রকাশ এবং বিতরণ করে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারী হিসেবে অপরাধ সংঘটনে জড়িত অভিযোগে কর্ম কমিশনের পাঁচজনসহ অন্যদের আসামি করে পল্টন থানার মামলা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন কর্মচারী গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। তাঁদের নিজ নামে ও তাঁদের পরিবারের সদস্যের নামে অসাধু উপায়ে অর্জিত ও তাঁদের জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির দখলে রয়েছেন বা মালিকানা অর্জন করেছেন মর্মে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে এবং হচ্ছে। এভাবে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির মালিকানা অর্জন দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে অপরাধ হওয়ায় দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্তপূর্বক উপযুক্ত আদালতে বিচারার্থ মামলা করার লক্ষ্যে সাক্ষ্যপ্রমাণাদি সংগ্রহের ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন। তাই এসব অভিযোগ তদন্ত করে কমিশনকে অবহিত করতে অনুরোধ করেছে সংস্থাটি।

প্রশ্নপত্র ফাঁসে গ্রেপ্তার উপপরিচালক মো. আবু জাফর ও জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির এবং পিএসসির কর্মচারী ডেসপাস রাইডার খলিলুর রহমান ও অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলামসহ পাঁচজনকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে পিএসসি। ওই পাঁচজনকে চাকরি আইন অনুসারে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁরা বিধি অনুসারে খোরপোষ ভাতা পাবেন।

এ মামলায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন পিএসসির সাবেক গাড়িচালক প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে চাকরিচ্যুত সৈয়দ আবেদ আলী, খলিলুর রহমান, সাজেদুল ইসলাম, মিরপুরের ব্যবসায়ী আবু সোলায়মান মো. সোহেল, ব্যবসায়ী সাখাওয়াত হোসেন, ব্যবসায়ী সাইম হোসেন ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র লিটন সরকার।

আর কারাগারে থারা ১০ আসামি হলেন আবেদ আলীর ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান, মো. আবু জাফর ও জাহাঙ্গীর আলম, মো. আলমগীর কবির, সাবেক সেনাসদস্য নোমান সিদ্দিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও অডিটর প্রিয়নাথ রায়, ঢাকার ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অফিসে কর্মরত মো. মামুনুর রশিদ, নারায়ণগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসের নিরাপত্তাপ্রহরী মো. শাহাদত হোসেন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের টেকনিশিয়ান নিয়ামুল হাসান ও জাহিদুল ইসলাম।

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টি ফোর গত রোববার পিএসসির অধীনে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে পিএসসির কর্মকর্তারা প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়। তদন্তসংশ্লিষ্ট সিআইডি কর্মকর্তাদের ভাষ্যমতে, পিএসসির কোনো নিয়োগ পরীক্ষা এলেই এই চক্রের সদস্যরা প্রশ্নপত্র ফাঁস করে অর্থ নিতেন। ৫ জুলাই (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত রেলওয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেন তাঁরা। চক্রের সদস্যরা ওই পরীক্ষার আগের রাতে তাঁদের চুক্তি করা শিক্ষার্থীদের অজ্ঞাতনামা স্থানে রেখে ওই প্রশ্নপত্র ও তাঁর উত্তর দিয়ে দেন।

 

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone