বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Thursday, September 19, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » Uncategorized » কোটা নিয়ে তিন সুপারিশ করেছিল মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বাধীন সেই কমিটি

কোটা নিয়ে তিন সুপারিশ করেছিল মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বাধীন সেই কমিটি 

Screenshot_5

আদালতের রায় ও নির্দেশনা এবং শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের বিষয়ে এখন নানা আলোচনা চলছে। তবে কোটা সংস্কার, পর্যালোচনা বা কোটার প্রয়োগপদ্ধতি সহজ করার আলোচনা ও সুপারিশ বেশ পুরোনো। প্রায় দেড় দশক আগে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) এ বিষয়ে কিছু সুপারিশ করেছিল। আবার ছয় বছর আগে তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বাধীন কমিটি এ নিয়ে কিছু সুপারিশ করেছিল। বিভিন্ন গবেষণাও হয়েছে বিষয়টি নিয়ে। সেগুলোতে নানাভাবে কোটা সংস্কার বা পর্যালোচনার কথা এসেছে। এ বিষয়ে তিন পর্বে প্রতিবেদন প্রকাশ করছে প্রথম আলো। দ্বিতীয় পর্ব প্রকাশিত হলো।

প্রায় ছয় বছর আগে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীদের আন্দোলনের একপর্যায়ে নবম থেকে ১৩তম গ্রেডের (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি) সব কোটা বাতিল করে সরকার। বাতিলের আগে তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে যে কমিটি করা হয়েছিল, তারা এই পাঁচ গ্রেডে কোটা বাতিলের সুপারিশ করেছিল।

ওই কমিটি কোটা বাতিলের ফলে কোটার সুবিধাভোগী জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক অবস্থার ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ প্রভাব সম্পর্কে পর্যালোচনা করে পাওয়া পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ারও সুপারিশ করেছিল। এর মানে হলো, ওই কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী কোটা পর্যালোচনা করে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ আছে।

২০১৮ সালের অক্টোবরে সরকারি চাকরিতে নবম থেকে ১৩তম গ্রেডের সব কোটা বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল সরকার। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, কোটা বাতিলের আগে তৎকালীন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বে কমিটি করেছিল সরকার। ওই কমিটি তিনটি সুপারিশ করে। প্রথম সুপারিশ ছিল নবম থেকে ১৩তম গ্রেডে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া। দ্বিতীয় সুপারিশ ছিল, এসব গ্রেডে বিদ্যমান কোটাপদ্ধতি বাতিল করা এবং তৃতীয় সুপারিশ ছিল, কোটা বাতিলের ফলে কোটার সুবিধাভোগী জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক অবস্থার ক্ষেত্রে ভবিষ্যৎ প্রভাব সম্পর্কে নির্দিষ্ট সময়ে পর্যালোচনা করে প্রাপ্ত পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া; অর্থাৎ প্রথম দুটি সুপারিশের মূলকথা হলো, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদে কোটা থাকবে না। এসব পদে নিয়োগ হবে সরাসরি মেধার ভিত্তিতে। আর ওই কমিটির তৃতীয় সুপারিশটির ব্যাখ্যা হলো, সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে যদি কোনো পরিবর্তন দেখা দেয় যে কোটা অপরিহার্য, তবে সরকার ব্যবস্থা নিতে পারবে। বিষয়টি অনগ্রসর সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

শেষের সুপারিশের ব্যাখ্যা জানতে চাইলে ওই কমিটির প্রধান সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম গতকাল শুক্রবার প্রথম আলোকে বলেন, সেই সুপারিশের ব্যাখ্যা হলো, কোটা বাতিলের পর কী প্রভাব পড়েছে, সেটি পর্যালোচনা করে প্রয়োজন অনুযায়ী সমন্বয় করা।

এদিকে কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালের জারি করা পরিপত্র গত ৫ জুন অবৈধ ঘোষণা করেছিলেন হাইকোর্ট। রায়ের মূল অংশ গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে। এই রায়ের মূলকথা হলো, সব কোটা বজায় রাখতে হবে। তবে প্রয়োজনে বাড়ানো-কমানো যাবে। অবশ্য আপিল বিভাগ কোটার বিষয়ে পক্ষগুলোকে চার সপ্তাহের জন্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন।

‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর ব্যানারে কোটা সংস্কার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। এই প্ল্যাটফর্মের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, তরুণ প্রজন্মের জন্য, রাষ্ট্রের জন্য কোটাব্যবস্থা একটা বড় সমস্যা। তাঁদের দাবি, সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে কোটাব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কার।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone