আমরা ছাত্র-জনতা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবো
দেশে আইনশৃঙ্খলা ফিরে না আসা পর্যন্ত আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। কোনো নাশকতা লুটপাট যেন না হয় সেজন্য আমাদের ছাত্রদের সতর্ক থাকতে হবে, পাহারা দিতে হবে। আমরা ছাত্র-জনতা দেশ গঠনের মাধ্যমে নতুন যে বাংলাদেশ সেটি বিনির্মাণ করবো। এসব কথা বলেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টার পরে বঙ্গভবনের বাইরে সাংবাদিকদের নাহিদ জানান, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই সরকার গঠন করা হবে। বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ সমন্বয়কের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আমরা সরকারের প্রধান করার সিদ্ধান্ত নিলেও এই সরকারে অন্য কারও নাম এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আমরা ১০ থেকে ১৫ জনের নাম প্রস্তাব করেছি। সবার সঙ্গে আলোচনা করে এই সরকার গঠন করা হবে।
তবে এই দশ থেকে পনেরো জনের নামের তালিকায় কারা কারা রয়েছেন সেটি ঘোষণা করেননি তিনি।
নাহিদ আরও বলেন, ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূসের নাম বৈঠকে আমরা প্রস্তাব করেছিলাম। মহামান্য রাষ্ট্রপতিও সম্মতি দিয়ে বলেছেন, তাকে প্রধান করেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করা হবে।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রূপরেখা নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনার জন্য মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টার পরপরই বঙ্গভবনে যান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ১৩ সমন্বয়ক। এ সময় সেখানে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানরাও উপস্থিত ছিলেন।
নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘সবার প্রতি আহ্বান থাকবে আজকে তিনবাহিনীর প্রধান ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের আলোচনা হয়েছে। তারা অভ্যুত্থানকারী ছাত্র–নাগরিকদের সম্মান জানিয়েছেন। পাশাপাশি দেশে যে অরাজক পরিস্থিতি চলছে, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আমরা সবার প্রতি আহ্বান জানাবো, অভ্যুত্থানকারী ছাত্র–জনতার প্রস্তাবকারী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারই দ্রুত ঘোষণা করা হবে। জনগণ যাতে সেই আস্থা রাখেন।’
ড. ইউনূস বর্তমানে ফ্রান্সের প্যারিসে রয়েছেন। তিনি দেশে কবে আসবেন সাংবাদিকরা জানতে চাইলে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘ওনার (ড. ইউনূস) একটি মাইনর অপারেশন হয়েছে। উনি আগামীকালই দেশের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন। হয়তোবা আগামীকাল রাতে অথবা পরশুদিন সকালের মধ্যে দেশে এসে পৌঁছবেন। এর মধ্যে আমাদের তালিকাটিও চূড়ান্ত হয়ে যাবে। হয়তো আমরা ২৪ ঘণ্টা কিংবা অধিক সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথের বিষয়টি করে ফেলতে পারবো।’