দুঃসময়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের পাশে না পেয়ে ক্ষুব্ধ মাঠের কর্মীরা
১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে কোনো বিবৃতি বা ভিডিও বার্তা না দেওয়ায় কেন্দ্রীয় নেতাদের সমালোচনা করেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হালিমা আক্তার লাবণ্য। তিনি গত বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক আইডিতে লেখেন, আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী একটি দল। এই দলে এত এত নেতা, কেউ একটি বিবৃতি বা ভিডিও বার্তা দিতে পারলেন না। অথচ যে রুহুল কবীর রিজভীকে নিয়ে হাস্যরস করা হতো, তিনি কিন্তু আত্মগোপনে থেকে প্রেস রিলিজ, ভিডিও বার্তা নিয়মিত দিতেন। আসলে বেশি চর্বি ভালো না। কিছুটা খরচ করেন।
লাবণ্য লেখেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল অন্য দল ভোগ করল, আর আপনারা জাতির কাছে নিজেদের দৈন্য প্রকাশ করলেন। যাঁরা বিদেশে আত্মগোপনে, তাঁদের সমস্যা কী? কত কত প্রশ্ন যে আসে মনে। আপনাদের জন্য আজ এই পরিণতি। আত্মসমালোচনা করেন, নিষ্ঠাবান কর্মীদের সামনে এনে, এই সরকারকে সময় দিয়ে নিজেদের ভুল সংশোধন করেন। নির্বাচনের নাম মুখে আনবেন না। আর সংঘাত তৈরির উপলক্ষ হবেন না।’
প্রভাবশালী নেতাদের বিরুদ্ধে অনেকেই এখন মুখ খুলছেন। বিশেষ করে নেতাদের সমালোচনা করে ফেসবুকে অনেকে পোস্ট দিচ্ছেন। নেতাকর্মীরা তাঁদের সঙ্গে ঘটা নানা অন্যায়-অবিচারের কথাও প্রকাশ করছেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমানকে সম্প্রতি রাজধানীর সদরঘাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিন নিজের ফেসবুক আইডি থেকে এ বিষয়ে পোস্ট দেন মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক। তিনি লেখেন, ‘সঠিক তথ্য কেউ তুলে ধরেননি। চেয়ার চলে যাবে বলে আপনাদের চেয়ার ঠিক রেখে আমাকে চেয়ারবিহীন করেছিলেন। চেয়ার তো এখন সদরঘাটে লুটোপুটি খাচ্ছে। হায় রে সেলুকাস!’
আওয়ামী লীগের একাধিক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকের সঙ্গে কথা হয় কালের কণ্ঠ’র। কর্মীদের অভিযোগের বিষয়ে তাঁরা গণমাধ্যমে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
একজন নেতা কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নেতাকর্মীদের অভিযোগ তো আর মিথ্যা নয়। আমাদের তো দোষত্রুটি আছেই। তবে এখন এগুলো বলে নিজেদের মধ্যে বিভক্তির সময় নয়। আমরা আসলে প্রস্তুতির জন্য কিছুটা সময় নিচ্ছি। অতীতেও জেল-জুলুম খেটেছি। এগুলোর জন্য ভয় পাই না। তবে মাঠে নামার আগে নিজেদের তো কিছুটা আলাপ করে নিতে হবে। এখন আমরা কেন্দ্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে আলাপ চালাচ্ছি।’