বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Friday, October 25, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » তৈরি হচ্ছে ডিসিদের ফিটলিস্ট, (পদায়ন নীতিমালা শিথিল )

তৈরি হচ্ছে ডিসিদের ফিটলিস্ট, (পদায়ন নীতিমালা শিথিল ) 

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিতে ফিটলিস্ট তৈরির কাজ শুরু করেছে সরকার। দীর্ঘদিন ধরে পদায়ন ও পদোন্নতি বঞ্চিত কর্মকর্তাদের সুযোগ দিতে ডিসি পদায়ন নীতিমালা শিথিল করা হচ্ছে। নতুন এ তালিকা করতে ৬১৭ জন উপসচিব পদমদর্যার কর্মকর্তাকে আলোচনায় রাখা হয়েছে। আজ শনিবার থেকে ডিসি ফিটলিস্টের মৌখিক পরীক্ষা হবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে তার সভাকক্ষে ২৪ ব্যাচের ৬০ জন কর্মকর্তার এই সাক্ষাৎকার নেয়া হবে। সম্প্রতি ভাইভায় অংশ নিতে একটি নোটিশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।

এর আগে গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় জেলা প্রশাসক পদে নিয়োগের জন্য কর্মকর্তা বাছাই কমিটির প্রস্তুতিমূলক সভা মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাস্থ্য ও সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব। সভায় অংশ নেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব।

জেলা প্রশাসক পদায়ন নীতিমালায় বলা হয়েছে, উপপরিচালক, স্থানীয় সরকার/অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক/সচিব, জেলা পরিষদ/প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, পৌরসভা এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উভয় পদে মোট দুই বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কিন্তু টানা ১৫ বছরে হাসিনা সরকারের সময়ে প্রশাসনে বিএনপি জামায়াতের ট্যাগ লাগিয়ে জেলা প্রশাসক পদে নিয়োগের জন্য বঞ্চিত করা হয় বহু কর্মকর্তাকে। এমনকি মাঠ প্রশাসনে কাজ করার সুযোগ দিয়ে নীতিমালা অনুযায়ী যোগ্য হতেও দেয়া হয়নি। এমন প্রায় অর্ধশত কর্মকর্তা রয়েছেন। যাদের নিয়ে আসতে নীতিমালা শিথিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দিন প্রশাসন ক্যাডারের ২৪ ব্যাচের ৬০ জন উপসচিবের ভাইভা নেয়া হবে। এবার ডিসি ফিটলিস্টের ভাইভার জন্য ২৪, ২৫ ও ২৭ ব্যাচের ৬১৭ জন উপসচিবকে ডাকা হচ্ছে। এই তালিকা তৈরিতে মূলত কর্মকর্তাদের মাঠপ্রশাসনে কাজ করার অভিজ্ঞতা, শারীরিক যোগ্যতা, দক্ষতা ও যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দেয়ার ক্ষমতা দেখা হয়। এরই মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে বাছাইকৃত কর্মকর্তাদের শৃঙ্খলা প্রতিবেদন ও দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে দুর্নীতিসংক্রান্ত প্রতিবেদন জোগাড় করা হয়েছে।

ডিসি নিয়োগের ফিটলিস্ট তৈরির জন্য আজ যেসব কর্মকর্তাকে ডাকা হয়েছে তারা হলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রের একান্ত সচিব শাব্বির আহমেদ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম নজরুল, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব মো: রফিকুল ইসলাম, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো: আবুল আমিন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. মো: ফরিদুর রহমান, আলাউদ্দিন আলী, সুরক্ষা বিভাগের উপসচিব তাহনিয়া রহমান চৌধুরী, পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক মুহা: আহসান হাবিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার একান্ত সচিব মুফিদুল আলম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক রফিকুল আলম, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব শরিফুজ্জামান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব পিকেএম এনামুল করিম, পরিকল্পনা বিভাগের উপপ্রধান মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের আঞ্চলিক পরিচালক কাজী মাহবুবুর রশিদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. মো: রাজ্জাকুল ইসলাম, আইএমইডির উপসচিব মো: আনোয়ার ইমাম, অর্থবিভাগের উপসচিব মো: রুহুল আমিন, দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল, পরিকল্পনা বিভাগের উপপ্রধান মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক আইনুর আক্তার পান্না, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আহমেদ জামিল, ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আমিনুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উপদেষ্টার একান্ত সচিব আবু সালেহ মোহাম্মদ ওবায়দুল্লাহ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব বানানী বিশ্বাস, স্থানীয় সরকার বিভাগের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো: লোকমান হোসেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের ম্যানেজার মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মো: সাবেত আলী, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপসচিব মো: অহিদুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মাহবুবা আইরীন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আলমগীর হোসেন, দুর্নীতি দমন কমিশনের পরিচালক মো: মিজানুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ নাহিদ ইসলাম,

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক একেএম মনিরুজ্জামান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেন হাওলাদার, অর্থবিভাগের উপসচিব খন্দকার সাদিয়া আরাফিন, পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক সৈয়দ ফরহাদ হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পরিচালক মোস্তাক আহমেদ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব ড. মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উপসচিব মো: শাহীনুর আলম, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালের পরিচালক মো: মুস্তাফিজুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মো: হাবিবুর রহমান, কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কামরুল হাসান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের পরিচালক মো: মাসুদ হোসেন বিপিএএ, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শারাবান তাহুরা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আশরাফুর রহমান, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপসচিব ড. শাহ আবদুল সাদী, নৌ-পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহ: আমিনুর রহমান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সংযুক্ত খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ফর ভলান্টেয়ারি স্টেরিলাইজেশনের প্রশাসক মো: আবদুল ওয়াদুদ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ মহসীন উদ্দীন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উপসচিব এসএম শফিক, ওয়ারপোর পরিচালক বদরুল হাসান লিটন, জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির পরিচালক জিয়া আহমেদ সুমন, বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পরিচালক মোহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসাইন, পরিকল্পনা বিভাগের উপ প্রধান মো: রবিউল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব জেসমিন পারভীন, অর্থবিভাগের উপসচিব মো: আব্দুর রহমান।

 

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone