বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Monday, October 28, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » ১৯ বছর পর সুখবর পেলেন ইসির ৪০ কর্মকর্তা!

১৯ বছর পর সুখবর পেলেন ইসির ৪০ কর্মকর্তা! 

প্রশাসনে বড় রদবদল, পদোন্নতি হচ্ছে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর। দীর্ঘদিন পদোন্নতি বঞ্চিতরা একসঙ্গে কয়েকধাপ উপরের পদ পাচ্ছেন। এর ছোঁয়া লেগেছে নির্বাচন কমিশনেও। চাকরিতে যোগ দেওয়ার ১৯ বছর পর প্রথম পদোন্নতি পেলেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ৪০ কর্মকর্তা।

এসব কর্মকর্তারা ২০০৫ সহকারী সচিব পদে যোগ দিয়েছিলেন। এরপর থেকে তারা আর পদোন্নতি পাননি।এতদিন পর এসব কর্মকর্তা ষষ্ঠ গ্রেডে সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদায় অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি পেলেন। একই সঙ্গে একজনকে পঞ্চম গ্রেডে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ। তিনি জানান, সিনিয়র সহকারী সচিব পদে ৪০ জন এবং উপসচিব পদে একজনকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।অবশ্য ২০০৫ সালে যোগ দেওয়ার পরও পদোন্নতি পাননি এমন আরো ৩১ জন কর্মকর্তা রয়েছেন। আবার চাকরিতে যোগ দেওয়ার বয়স ছয় বছর হয়েছে কিন্তু পদ শূন্য না থাকার কারণে পদোন্নতি পাননি এমন কর্মকর্তা রয়েছেন তিন শতাধিক।

এদিকে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের মধ্যে পদে বৈষম্য রয়েছে জানিয়ে এর অতিরিক্ত সচিব বলেন, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের পদবিতে বৈষম্য রয়েছে। যেমন ৬৪টি জেলার মধ্যে ১৯টি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার পদ রয়েছে উপসচিব পদমর্যাদায় সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে। বাকি ৪৫টি হলো জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা অর্থাৎ সিনিয়র সহকারী সচিব। পদগুলো একই রকম হওয়া দরকার। এখানে কেন জানি দুই রকম রাখা হয়েছে।

তিনি জানান, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হচ্ছে অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা। কিন্তু ১৯টি জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আছে উপসচিব। কিন্তু অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা হচ্ছেন সিনিয়র সহকারী সচিব। এখানে অনেক কিছুই চিন্তাভাবনা না করে করা হয়েছে। এসব বৈষম্য দূর করার জন্য ইতোমধ্যে জনপ্রশাসনে পুনরায় প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone