হজযাত্রীরা যাবেন সমুদ্রপথেও: একান্ত সাক্ষাৎকারে ধর্ম উপদেষ্টা
কালের কণ্ঠ : দেশের আলেম-ওলামা ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের দাবি ছিল হজ এবং ওমরাহর খরচ কমানো। দায়িত্ব নিয়ে আপনিও হজের খরচ কমানোর কথা বলেছিলেন। একটু খুলে বলবেন কি?
ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন : ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসেছে।
ড. খালিদ হোসেন : আমাদের দেশের হজ কোটা এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। গত বছর (২০২৪) একজন হাজির জন্য সৌদি সরকারকে এক লাখ ৬৫ হাজার ১৭১ টাকা দিতে হয়েছে। এগুলো জেদ্দা, মক্কা ও মদিনায় হাজিদের সেবাখাতের খরচ। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বের সৌদি আরব যাচ্ছি। সেখানে সৌদি হজ এবং ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করব। নিশ্চয় তাঁরা আমাদের যৌক্তিক প্রস্তাব মেনে নেবেন।
* কোন কোন খাতে আপনারা খরচ কমানোর প্রস্তাব দেবেন?
ড. খালিদ হোসেন : আমরা এরই মধ্যে কিছু খাতের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করে ‘টকিং পয়েন্ট’ প্রস্তুত করেছি। সৌদি মন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। এর মধ্যে আছে—হজযাত্রীদের বায়োমেট্রিক ভিসা প্রসেসের খরচ ও মোনাজ্জেম ভিসা ফি কমানোসহ আনুষঙ্গিক খরচ কমানো, মিনা ও আরাফার ময়দানে হাজিদের অবস্থান, শোয়ার বা বসার জায়গা অনেক সংকীর্ণ; সেটা বাড়াতে অনুরোধ করব। হজের পাঁচ দিন হাজিদের খাবার সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছে থেকে নেওয়া বাধ্যতামূলক। এ জন্য আমাদের মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হয়। আমরা এটা বাতিলের প্রস্তাব দেব। এতে খরচ অনেক কমবে। ৯ জিলহজ পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হয়। ৩ জিলহজ পর্যন্ত হজ ফ্লাইট পরিচালনা করার অনুমতি দেওয়ার জন্য প্রস্তাব থাকবে।
* আকাশপথের পাশাপাশি সমুদ্রপথে হাজি পাঠানো হবে কি না?
ড. খালিদ হোসেন : হ্যাঁ। এবার পরীক্ষামূলকভাবে সমুদ্রপথে তিন হাজার হজযাত্রী পাঠানোর প্রস্তাব রয়েছে। এতে এক থেকে দেড় লাখ টাকা কম লাগবে। সৌদি সরকার রাজি হলে হজযাত্রীদের এবার সমুদ্রপথেও পাঠানো হবে।
* ভবিষ্যতে কী ধরনের হজ প্যাকেজ আসতে পারে?
ড. খালিদ হোসেন : আমরা আগামীতে দুই ধরনের প্যাকেজ ঘোষণা করব। একটি হলো মক্কার হেরেম শরিফ ও মিস ফালাহ এবং এর আশপাশের দেড় কিলোমিটারের মধ্যে বাড়িভাড়াসহ একটি প্যাকেজ। এর মূল্য একটু বেশি হতে পারে। আর অপরটি হবে আজিজিয়া প্যাকেজ। এটি হলো মক্কা থেকে দুই-তিন কিলো দূরে আজিজিয়া ও সারে খলিল নামক স্থানে এই প্যাকেজের হাজিদের রাখা হবে। সেখান থেকে হেরেম শরিফে যাতায়াতের জন্য বাস বা যানবাহন থাকবে। এই প্যাকেজের বাড়িভাড়া কম হওয়ায় প্যাকেজমূল্যও কম হবে।