বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Friday, October 18, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনা এখনও প্রধানমন্ত্রী: রুমিন ফারহানা

সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনা এখনও প্রধানমন্ত্রী: রুমিন ফারহানা 

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ-সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা ঠিকই বলেছেন, দেশের বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী তিনি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।’ 

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের গ্যালারিতে আয়োজিত ‘সংবিধান: ক্ষমতার না জনতার’ শীর্ষক আলোচনায় এসব কথা বলেন তিনি।

বর্তমান সংবিধানের অধীনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ নেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘বর্তমানে দেশে কি কোনও সংবিধান আছে নাকি নেই? নেই। যদি সংবিধান না থাকে তাহলে অন্তর্বর্তী সরকার এই সংবিধানের অধীনে শপথ নিলো কী করে? এটা একটা ওপেন ডিসকাশনের জায়গা। এক হচ্ছে, যদি সংবিধান না থাকে তাহলে এই অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয় কী করে। দুই হচ্ছে, যদি এই সংবিধান থেকে থাকে তাহলে একটা ভয়ংকর খবর আমাদের সবার জন্য অপেক্ষা করছে। শেখ হাসিনা কিন্তু এখনও প্রধানমন্ত্রী। সংবিধানের ৫৭(৩) অনুচ্ছেদ অনুসারে একজন নতুন নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী দায়িত্বভার নেওয়ার আগ পর্যন্ত পূর্ববর্তী প্রধানমন্ত্রী তার পদে বহাল থাকবেন। শেখ হাসিনা যে টেলিফোনে বলেছিলেন, “চট করে ঢুকে যাবো, আমি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী”, সি ওয়াজ নট রং অ্যাকোরডিং টু দিস কনস্টিটিউশন।’

রাষ্ট্রের সঙ্গে ধর্মকে না মেলানোর আহ্বান জানিয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আপনারা নতুন প্রজন্ম। আপনাদের কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ জানাই, ধর্মকে ধর্মের জায়গায় রাখবেন। রাষ্ট্রকে রাষ্ট্রের জায়গায় রাখবেন। কোনোদিন রাষ্ট্রের সঙ্গে ধর্মকে, রাজনীতির সঙ্গে ধর্মকে মিলাইয়েন না।’

তিনি বলেন, ‘সংবিধানে ২ক অনুচ্ছেদ যুক্ত করে বলা হয়, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রধর্ম হবে ইসলাম। তবে অন্যান্য ধর্মও প্রজাতন্ত্রে শান্তিতে পালন করা যাবে। একই সংবিধানের ৮নং অনুচ্ছেদে রাষ্ট্র পরিচালনার যে মূলনীতি বলা আছে, তার একটি হলো জাতীয়তাবাদ, আরেকটি সমাজতন্ত্র, অপরটি গণতন্ত্র ও অন্যটি ধর্মনিরপেক্ষতা। সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে রেখে আপনি কী করে ধর্মনিরপেক্ষতাকে রাষ্ট্রের মূলনীতি করলেন?।’

সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘এই সংবিধান আগামী প্রজন্ম রাখবে কিনা সেটা নিয়ে আলাদা আলোচনা হওয়া দরকার। তবে এই সংবিধান কি আবারও সংশোধিত হবে, নাকি নতুন করে আমরা লিখবো, সেটা নিয়ে গণভোট হতে পারে।’

আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন অন্তর্বর্তী সরকারের শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শরমিন্দ নীলোর্মি এবং রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone