কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বহালতবিয়তে বিতর্কিত দুই ডেপুটি গভর্নর
- পদ খালির তিন মাস আগেই নিয়োগ পান নূরুন নাহার
- আর্থিক খাতের প্রকৃত চিত্র ঢেকে রাখতেন হাবিবুর রহমান
ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবের পর অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ দুই মাস পার হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ দুই পদে এখনো বহলাতবিয়তে রয়েছেন শেখ হাসিনা সরকারের বিশেষ বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার ও ড. হাবিবুর রহমান। তাদের অপসারণ না করায় যে কোনো সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির আভাস মিলেছে। গত বুধবার এ দুই ডেপুটি গভর্নরের পদত্যাগসহ আরও কিছু দাবিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে গভর্নরকে স্মারকলিপি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকার্স প্ল্যাটফর্ম খ্যাত ‘দুর্নীতিমুক্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক গঠন পরিষদ’। এই পরিষদের কর্মকর্তাদের আন্দোলনের মুখেই জ্যেষ্ঠ দুজন ডেপুটি গভর্নরসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের চার শীর্ষ কর্মকর্তা পদত্যাগ করেছিলেন। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া এবং ব্যাংক লুটেরাদের সহচর ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার ও ড. হাবিবুর রহমানকে দ্রুত সময়ে পদত্যাগ করতে হবে।’ এর আগে ডেপুটি গভর্নর জাকির হোসেন চৌধুরীর দপ্তরে এসব কর্মকর্তার পক্ষে জমা হওয়া এক চিঠিতে বলা হয়েছিল, ‘পতিত ফ্যাসিবাদী সরকারের রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্ত অবশিষ্ট দুজন ডেপুটি গভর্নরের পদত্যাগ বা প্রত্যাহার ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়ন না করায় যে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ দায়ী থাকবে না’।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পূর্বে ডেপুটি গভর্নর-২ ছিলেন নূরুন নাহার। আর ডেপুটি গভর্নর-৪ ছিলেন ড. হাবিবুর রহমান। দুই ডেপুটি গভর্নর পদত্যাগ করলে নূরুন নাহার ডেপুটি গভর্নর-১ হন এবং হাবিব হন ডেপুটি গভর্নর-২। অর্থাৎ, তারা আরও প্রতাপশালী হয়ে ওঠেন। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য নিযুক্ত হয়েছেন হাবিবুর রহমান।
এদিকে দুই পুরোনো ডেপুটি গভর্নর তাদের পদে থেকে গিয়ে আরও শক্তিশালী হওয়ায় ব্যাংক খাতে স্বস্তি ও অস্বস্তির মেলবন্ধন ঘটেছে। আওয়ামী সরকারের আমলে যারা ব্যাংক খাতে লুটপাট চালিয়েছেন, তাদের স্বস্তি দিচ্ছে নূরুন নাহার ও হাবিবুর রহমানের চেয়ার। অন্যদিকে অস্বস্তিতে পড়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেশাদার কর্মকর্তারা, যারা বিগত ১৫ বছর নানা প্রতিবন্ধকতায় স্বাধীনভাবে কাজ করতে পরেননি। কারণ, মানবসম্পদ বিভাগসহ গুরুত্বপূর্ণ অধিকাংশ বিভাগ রয়েছে নূরুন নাহারের অধীনে, যিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সুপারিশে বিশেষ সুবিধায় নিয়োগপ্রাপ্ত।
যেভাবে ডেপুটি গভর্নর হলেন নূরুন নাহার ও হাবিবুর রহমান : বাংলাদেশ ব্যাংকের ইতিহাসে ডেপুটি গভর্নর নিয়োগ নিয়ে যত বিতর্ক আছে, কোনোটিই নূরুন নাহারের চেয়ে বেশি নয়। পুরো চাকরি জীবনে গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিভাগে দায়িত্ব পালন না করেও অভিনব ও বিতর্কিত পন্থায় ডেপুটি গভর্নরের পদে আসেন নূরুন নাহার, চাকরি জীবনের প্রথম দিন থেকেই বিতর্ক পিছু ছাড়েনি যার।
১৯৬৫ সালে জন্মগ্রহণকারী এই কেন্দ্রীয় ব্যাংকার ‘মাত্র ১৯ বছর বয়সে’ ১৯৮৪ সালে বিএসসি সম্পন্ন করেন। এর পাঁচ বছর পর ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকে সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। তাঁর চাকরির পরীক্ষার খাতায় নম্বর ঘষামাজার অভিযোগ থাকলেও এর সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি। বিএসসির পর পেশাগত জীবনে আর মাত্র একটি একাডেমিক ডিগ্রি রয়েছে তার, যেটি পেছনের সারির একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০১ সালে অর্জিত এমবিএ ডিগ্রি। শিক্ষা ও কর্মদক্ষতায় তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে থাকায় পুরো চাকরি জীবনে গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিভাগের দায়িত্ব আসেনি নূরুন নাহারের কাছে। চাকরি জীবনের ১২ বছরই কেটেছে বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমিতে। তবে ২০২৩ সালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের ‘সুদৃষ্টিতে’ ভাগ্যের চাকা ঘুরে যায় নূরুন নাহারের। পরে বিশেষ আনুকূল্য লাভ করেন পলাতক সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের। এ সময়ে ডেপুটি গভর্নর পদে নূরুন নাহারের নিয়োগের ক্ষেত্রে অভাবনীয় ঘটনার জন্ম দেয় অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংক। যে পদে তাকে নিয়োগ দেয়া হবে, সেটি খালি হওয়ার প্রায় তিন মাস পূর্বে ২০২৩ সালের ১২ এপ্রিল নূরুন নাহারকে ডেপুটি গভর্নর হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। অথচ ওই পদটি খালি হয় ২০২৩ সালের ১ জুলাই। এখানেই শেষ নয়। পদে বসার ১২ দিন আগেই ২০ জুন ডেপুটি গভর্নর হিসেবে নূরুন নাহারের দায়িত্ব বণ্টন হয়। ওই সময় তাকে সর্বাধিক ১৪টি বিভাগের দায়িত্ব দেয়া হয়, যেখানে অন্য তিন জ্যেষ্ঠ ডেপুটি গভর্নরের দায়িত্বাধীন বিভাগের সংখ্যা ছিল ১১ থেকে ১২টি। এবারও মানবসম্পদ বিভাগ তার হাতেই থাকে। এ সময় ক্ষমতাচর্চার ‘অভূতপূর্ব নিদর্শন’ দেখান তিনি। মানবসম্পদ বিভাগে প্রভাব বিস্তার করে একপ্রকার নিজেই নিজেকে পদোন্নতি দিয়ে নির্বাহী পরিচালক গ্রেড-১ হন। ২২ জুন নূরুন নাহারকে নির্বাহী পরিচালক (গ্রেড-১) পদোন্নতি দিয়ে নির্দেশ জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। আবদুর রউফ তালুকদারের আস্থাভাজন হয়ে একের পর এক ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়ে ২০২৩ সালের ২ জুলাই দুপুরে আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব গ্রহণ করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের এই দ্বিতীয় নারী ডেপুটি গভর্নর।
এদিকে চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি ডেপুটি গভর্নর পদে নিয়োগ পান তৎকালীন গ্রেড-১ নির্বাহী পরিচালক ড. হাবিবুর রহমান। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, হাবিবুর রহমানের নিয়োগের ক্ষেত্রে ওরিয়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান ওবায়দুল করিম তৎকালীন গভর্নর রউফ তালুকদারের কাছে সুপারিশ করেছিলেন। পাশাপাশি তার জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সুপারিশ করেছিলেন তার বেসরকারি শিল্প ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে, বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গে বিশেষ ঘনিষ্ঠতা রয়েছে হাবিবুর রহমানের। বৈবাহিক সূত্রে চট্টগ্রাম আওয়ামী পরিবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত তিনি। এসব বিষয়ই তার ডেপুটি গভর্নর পদ নিশ্চিতে ভূমিকা রেখেছে।
অনিয়মের খতিয়ান : ২০২২ সালের ১১ ডিসেম্বর থেকে নির্বাহী পরিচালক হিসেবে ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের (বিআরপিডি) দায়িত্ব পান নূরুন নাহার। ডেপুটি গভর্নর পদে আসার পরও এখন পর্যন্ত এ বিভাগ তার অধীনেই রয়েছে। ব্যাংক খাতের সব বিধিবিধান এই বিভাগ থেকে প্রণয়ন, পরিবর্তন ও পরিমার্জন করা হয়। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিতর্কিত শিল্পগোষ্ঠীগুলোকে ব্যাংক দখল থেকে শুরু করে ঋণের নামে অর্থ লুটপাট ও ঋণ পুনঃতফসিলের নামে অর্থ ফেরত না দেয়ার সুযোগ করে দিয়েছে বিআরপিডি। এই বিভাগের শীর্ষ দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে এসবের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই নূরুন নাহারের— এমন বক্তব্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনেক কর্মকর্তার। সাম্প্রতিককালে ডলার-টাকা বিনিময় হার পুনর্নির্ধারণের সুযোগ নিয়ে কমিশনের বিনিময়ে প্রায় ৫৫ কোটি টাকা ক্ষতি করে ইসলামী ব্যাংকের কাছে ডলার বিক্রি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ওই লেনদেন সম্পাদনের সময় ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্টের (এফআরটিএমডি) দায়িত্বে ছিলেন ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গবেষণা ক্যাডারের কর্মকর্তা হওয়ায় বড় কোনো অনিয়মের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ ছিল না ডেপুটি গভর্নর হাবিবুর রহমানের। তবে শেখ হাসিনার সরকার দেশের আর্থিক খাতের প্রকৃত চিত্র ঢেকে রাখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যেসব অসত্য তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করার কথা, তা ড. হাবিবের হাতেই ‘উৎপাদিত’ হতো। বাংলাদেশ ব্যাংকের একাধিক কর্মকর্তা আমার সংবাদকে জানান, নতুন গভর্নর দায়িত্বে এলে ওই দুই ডেপুটি গভর্নর মিলে অতীতে সংঘটিত বিভিন্ন অনিয়ম ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন। যে কারণে আওয়ামী সরকারের পতনের পর আর্থিক খাতে সংঘটিত নজিরবিহীন লুটপাটের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের অভ্যন্তরে সংঘটিত বিভিন্ন নজিরবিহীন অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র গণমাধ্যমে প্রকাশ পেলেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এমনকি কোনো তদন্ত কমিটি গঠনেরও দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংকের যেসব কর্মকর্তা লুটেরাদের সহযোগিতা করেছেন, তারা জবাবদিহির বাইরে রয়েছেন এই দুই ডেপুটি গভর্নরের ছত্রছায়ায়। পাশাপাশি সাবেক গভর্নর রউফ তালুকদারের সময়ের মতো এখনো তথ্য না দেয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তাদের ওপর চাপ তৈরি অব্যাহত রেখেছেন এই দুই কর্মকর্তা, যাতে সাবেক সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের জালিয়াতির তথ্য কিছুতেই বেরিয়ে আসতে না পারে। এছাড়া শেখ হাসিনা সরকারের পতনের চার দিন আগে বিশেষ সুবিধায় ন্যাশনাল ব্যাংকে বসুন্ধরা গ্রুপের ২৩০০ কোটি টাকা ঋণ মওকুফের ঘটনায় হাবিবুর রহমান ও নূরুন নাহারের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকে অস্বস্তি : ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার ও হাবিবুর রহমানকে নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা। তাদের পক্ষে-বিপক্ষে দুটি দল দাঁড়িয়ে গেছে। এক দলের দাবি— এই দুই শীর্ষ কর্মকর্তা আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়নে তৎপর রয়েছেন। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ডেপুটি গভর্নর নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘কোনো ধরনের যোগ্যতা যাচাই ছাড়াই সাবেক রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের নির্দেশে নিয়োগ পান নূরুন নাহার। সাধারণত তিন-চারজনের নাম প্রস্তাব করে সার্চ কমিটি। সেখান থেকে একজনকে নিয়োগের সুপারিশ করেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু নজিরবিহীনভাবে নূরুন নাহারের বেলায় একক নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। তিনি বর্তমানে ডেপুটি গভর্নর-১ হওয়ার সুবাদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে তার ভালো যোগাযোগ রয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গোপনীয় সিদ্ধান্তগুলো আগেই জানতে পারেন লুটেরারা। আমাদের কর্মকর্তারা তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগই নিয়ে আসেন। তিনি নাকি তাদের বলেছেন, ‘বেশি কাজ করার দরকার নেই, আগে দেখো পরিস্থিতি কোন দিকে যায়’।
ওই ডেপুটি গভর্নর আরও বলেন, ‘কর্মকর্তাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে। তারা কয়েকবার বিক্ষোভ প্রদর্শনও করেছেন। গভর্নর বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন। যে কোনো মুহূর্তে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে পারে। আগের দুই ডেপুটি গভর্নরের বেলায় যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছিল, এবার যাতে এমন কিছু না হয়— সে চেষ্টাই আমাদের সবাইকে মিলে করতে হবে।’
এদিকে ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার ও হাবিবুর রহমানের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে কিনা জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর আমার সংবাদকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি এখন কোনো মন্তব্য করব না।