বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Sunday, December 22, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের নেপথ্যে গভীর ষড়যন্ত্র

পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের নেপথ্যে গভীর ষড়যন্ত্র 

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমের আহ্বানে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচী আগামী রোববার পর্যন্ত স্থগিত করেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীরা। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারা এ কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা দেয়ার পর সারা দেশে সমিতির অধীনস্থ এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়। আন্দোলনের সমন্বয়ক, পল্লী বিদ্যুতের এজিএম আব্দুল হাকিম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী দাবির বিষয়ে আলোচনার জন্য সময় চেয়েছেন। মামলা প্রত্যাহার এবং আটকদের ছেড়ে দেয়াসহ কোনো প্রকার হয়রানি না করার আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে মাহফুজ আলম বলেন, ‘পল্লী বিদ্যুতের শ্রমিকরা কর্মবিরতিতে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। আমরা বলব আমাদের সাথে আলোচনায় আসতে।’

বাসস জানিয়েছে, বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে রাজধানীর খিলক্ষেত থানায় দায়েরকৃত পৃথক দুটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) ছয় কর্মকর্তার তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- মুন্সীগঞ্জের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার রাজন কুমার দাস, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া, কুমিল্লার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দীপক কুমার সিংহ, মাগুরার শ্রীপুর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রাহাত, নেত্রকোনার সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মনির হোসেন ও সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর বেলাল হোসেন। এদের মধ্যে বেলাল হোসেন এক মামলার আসামি। অপর পাঁচজন আরেক মামলার আসামি। গতকাল তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর খিলক্ষেত থানার পরিদর্শক আশিকুর রহমান দেওয়ান তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরী তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে চান্দিনা (কুমিল্লা) সংবাদদাতা জানান, বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ আন্দোলনের নামে জনদুর্ভোগ ও রাষ্ট্রবিরোধী আচরণের অভিযোগে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ১৫৬ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। মামলাটি করেন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিল্টন ঘোষ।
এর আগে বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে ১৭ অক্টোবর খিলক্ষেত থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড খিলক্ষেত থানার পরিচালক প্রশাসন (আইন শাখার) আরশাদ হোসেন। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ ও সাইবার নিরাপত্তা আইনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ২৮ জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির কিছু বিপথগামী কর্মকর্তা/ কর্মচারী একত্রিত হয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি পরিচয়ে পরস্পর যোগসাজশে জরুরি সেবা বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রের সাথে মিলে এবং বিগত সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী, এমপি ও প্রভাবশালীদের মদদে নানান অযৌক্তিক দাবি দাওয়ায় ষড়যন্ত্র করে পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করছে। বিভিন্ন ধরনের ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত আছে। তাদের এ ধরনের কার্যকলাপ ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারকে চরমভাবে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা করার শামিল। তাদের এ সব কর্মকাণ্ড বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ভাবমূর্তি ক্ষুণ করা, বোর্ডের কর্মকর্তাদের সম্মানহানি এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থা অচল করে দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে জনমনে বিদ্বেষ সৃষ্টি করার মাধ্যমে সরকারকে চরমভাবে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলা, যা দেশদ্রোহিতার শামিল।

ইতিমধ্যে পল্লী বিদ্যুত সমিতির (পবিস) কর্মীরা সারা দেশে ব্ল্যাক আউট কর্মসূচি পালন করেছে। প্রথমে দাবি আদায়ের কথা বলে গত বৃহস্পতিবার বেশ কয়েকটি জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় পবিসের কর্মকর্তারা। ওই সব এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ কয়েক ঘণ্টা চরম দুর্ভোগে ছিলেন। কল কারখানার উৎপাদন থেকে হাসপাতালের সেবাও বন্ধ থাকে। এ ঘটনায় কয়েকস্থানে পবিসের কয়েকজন কর্মকর্তাকে হেফাজতে নেয় যৌথ বাহিনী। মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের চার কর্মকর্তাকে হেফাজতে নিয়েছে যৌথ বাহিনী। গ্রেফতার করা হয়েছে নেত্রকোনায় পল্লী বিদ্যুতের এজিএম মনির হোসেনকে।

গত বুধবার জার্মানভিত্তিক অনলাইন মিডিয়া ‘দ্য মিরর এশিয়া’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৮-২৮ অক্টোবর সময়ে দেশে পরিকল্পিতভাবে লোডশেডিং করার পরিকল্পনা করছে পবিসে কর্মরত আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, যাতে করে তাদের পরবর্তী লং মার্চের সময় সরকারের ওপর সাধারণ মানুষের ক্ষোভ তৈরি হয়।
মিরর এশিয়ার প্রতিবেদনে শঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) ব্যানারে দেশকে অস্থিতিশীল করতে নভেম্বরে ঢাকামুখী লং মার্চের পরিকল্পনা করছে আওয়ামী লীগ। তাদের আমলে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগপ্রাপ্তদের সবাইকে লং মার্চে যোগ দেয়ার জন্য দলটির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে। কয়েকটি ব্যর্থ চেষ্টার পর এবার সারা দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্ন ঘটিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চাইছে আওয়ামী লীগ।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, রাষ্ট্রীয় একটি গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, পলাতক শেখ হাসিনার আমলের অবৈধ সুবিধাভোগী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অন্তত ১৬ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমন চক্রান্তে জড়িত। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাম্প্রতিক এই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী এসব কর্মকর্তার মধ্যে সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম রাজন কুমার দাস। তিনি নিজেকে শেখ হাসিনার ছেলে বলে পরিচয় দিতেন। ৫ আগস্টের পর তিনি ঘাপটি মেরেছিলেন। বর্তমানে এই রাজন দাসই পুরো আন্দোলনটির সমন্বয় করছেন।

এ ছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পবিসের সিনিয়র এজিএম মো: মকবুল হোসেন, নোয়াখালী পবিসের ওয়্যারিং পরিদর্শক সালাম জাবেদ, সিরাজগঞ্জ পবিসের ডিজিএম মো: বেলাল, ঢাকা পবিস-১ এর এজিএম আব্দুল হাকিম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর পবিসের ডিজিএম আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া, কুমিল্লা পবিস-১এর ডিজিএম দীপক কুমার সিংহ, নেত্রকোনা পবিসের এজিএম মনির হোসেন, ঝালকাঠি পবিসের এজিএম ইয়াসির আরাফাত, ঢাকার বান্দুরা সাব অফিসের এজিএম মো: সালাহ উদ্দিন, ঢাকা পবিস-১ এর সিনিয়র জিএম আবুল হোসেন, কুমিল্লা পবিস-৪ এর সিনিয়র জিএম মো: জাকির হোসেন, বরিশাল পবিস-১ এর জিএম মো: হুমায়ুন কবির, ঠাকুরগাঁও পবিসের জিএম মো: মাহফুজুর রহমান ও নওগাঁ পবিসের জিএম শাহ মো: রাজ্জাকুর রহমান এই ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত রয়েছেন।

আগামী সপ্তাহের (১৮-২৮ অক্টোবর) কোনো একদিন এই লং মার্চের ডাক দেয়া হবে। তার জন্য পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অনেকের কাছে হোয়াটসঅ্যাপে একটি লিফলেট ও মেসেজ (বার্তা) পাঠানো হয়েছে। সবাইকে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশে অগ্রিম যাতায়াত খরচ দেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়। আওয়ামী লীগ আমলে রাজনৈতিক বিবেচনায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে নিয়োগপ্রাপ্তদের সবাইকে লং মার্চে যোগ দেয়ার জন্য দলটির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হচ্ছে। ভারতের কলকাতা থেকে এক আওয়ামী লীগ নেতা ও গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর দুই কর্মকর্তা পুরো পরিকল্পনাটির তদারকি করছে বলে জানতে পেরেছে দ্য মিরর এশিয়া।

বাংলাদেশের একটি গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা দ্য মিরর এশিয়াকে জানিয়েছেন, নতুন এই পরিকল্পনার সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছেন পবিসের এক সহকারী সাধারণ ব্যবস্থাপক (এজিএম)। ওই এজিএমের নেতৃত্বে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে নানা গুজব উসকে দেয়া হচ্ছে। অস্থিরতা তৈরির জন্য ভারতের শিল্পগ্রুপ আদানি অর্থায়ন করছে বলেও জানতে পেরেছে তারা। জানা গেছে, বাংলাদেশের স্বার্থবিরোধী একচেটিয়া যে চুক্তি আদানির সাথে শেখ হাসিনা সরকার করেছে তা পুনর্বিবেচনার কথা ভাবছে অন্তর্বর্তী সরকার। এটি জানতে পেরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মাধ্যমে বিদ্যুৎ খাতে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে আদানি। আর এতে মূল ভূমিকায় রয়েছেন ওই এজিএম। বাংলাদেশের ওই গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যমতে, শুধু ভারতের আদানি গ্রুপই নয়, দেশের অভ্যন্তরে অস্থিরতা তৈরির নতুন এই পরিকল্পনায় সহায়তা করছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালাইসিস উইং (র)।

সর্বশেষ নেত্রকোনার বারহাট্টা পল্লী বিদ্যুতের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) মনির হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে। পরে শুক্রবার সকালে তাকে ঢাকার খিলক্ষেত থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নিয়েছে। বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বাপবিবো) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) জন্য অভিন্ন সার্ভিস কোড চালু ও একীভূত করার দাবির যৌক্তিক সমাধানে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। লাইন ক্রুদের শূন্য পদের বিপরীতে নিয়মিত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে পবিসের সাপ্তাহিক ছুটি ২ দিন করা হয়েছে এবং ৫ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা কার্যকর করা হয়েছে।
দেশের ৬৪টি জেলায় ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে প্রায় ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত আছেন। দেশের মোট গ্রাহকের হিসাবে এটি প্রায় ৮০ শতাংশ। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বোর্ডের কাছে কিছু দাবি জানিয়ে আসছিলেন। দাবি আদায়ে প্রায় ১০ মাস ধরে তারা আন্দোলন করছেন। এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন এমন ২০ জন কর্মকর্তাকে গত বুধবার চাকরিচ্যুত করা হয়। এরই প্রতিবাদে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিভিন্ন জেলায় ব্ল্যাক আউট কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলনে অংশ নেয় পবিস কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

আন্দোলনকারীরা জানান, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে একীভূত করে অভিন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়ন এবং চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিতদের চাকরি নিয়মিত করাসহ বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এরই মধ্যে বুধবার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ১০ জন এবং বৃহস্পতিবার আরো ১০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি থেকে অবসান করা হয়। এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নামেন তারা। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানান তারা।
তবে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দাবি, জরুরি সেবা বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করা, নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের নির্দেশনার প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন এবং দাফতরিক শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকায় বিধি অনুযায়ী চিঠির মাধ্যমে তাঁদের চাকরি অবসান করা হয়েছে। আন্দোলনটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।

পাথরঘাটা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জোনাল ম্যানেজার আব্দুস সালাম জানান, গ্রামীণ বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি (পবিস) একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং সব চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। গ্রামীণ বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) তাদের ক্ষমতা ক্ষুণ্ন হয়ে যাবে তাই তারা এটা চাচ্ছে না। তারা খারাপ মিটার, তারসহ বিভিন্ন খারাপ মালামাল কিনে আমাদের দিচ্ছে আর বদনাম হচ্ছে আমাদের। দুটি একই প্রতিষ্ঠান একই নিয়মে চলবে। এ আন্দোলনের মধ্যেই আমাদের ২০ জন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে এবং অনেক কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। এগুলো প্রত্যাহার করতে হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম গ্রেফতার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি ঁজানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী মহাব্যবস্থাপক, তথ্য ও প্রযুক্তি (এজিএম, আইটি) সাকিল আহমেদকে গ্রেফতার করেছে যৌথ বাহিনী। গতকাল সকাল ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোজাফফর হোসেন জানান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে অস্থিতিশীল করার অভিযোগে রাজধানীর খিলক্ষেত থানায় পৃথক দু’টি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়েছে। আটক এজিএম সাকিল আহমেদ একটি মামলার ২ নম্বর আসামি। গতকাল সকালে পুলিশসহ যৌথ বাহিনীর অভিযানে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়।
রাত ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আটক এজিএম সাকিল আহমেদকে ঢাকার খিলক্ষেত থানায় পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone