বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Sunday, December 22, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » গোপন তদন্তের মুখে আওয়ামী লীগ আমলের পুলিশ ক্যাডাররা

গোপন তদন্তের মুখে আওয়ামী লীগ আমলের পুলিশ ক্যাডাররা 

Screenshot_3

ছয়টি বিসিএসে নিয়োগ পাওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ খুঁজতে তাদের বিষয়ে আবারও পুলিশ ভেরিফিকেশন শুরু হচ্ছে। এজন্য সম্প্রতি নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশের বিশেষ শাখা। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে পুলিশে নিয়োগ পাওয়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের খুঁজে বের করতে সরকারের এই উদ্যোগ।

জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

পুলিশ ভেরিফিকেশন হতে যাওয়া ছয়টি বিসিএস হলো ২৮, ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৪০ ও ৪১তম। এসব বিসিএসে নিয়োগ পাওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের আটটি তথ্য যাচাই করা হবে। পাশাপাশি তার রাজনৈতিক পরিচয়, পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড ও ক্যাম্পাস রাজনীতিতে ভূমিকা দেখা হবে।

গত ২০ অক্টোবর পুলিশের বিশেষ শাখা (এসসি) থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।

চিঠিতে উল্লিখিত ছয়টি বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের জীবনবৃত্তান্ত পুনরায় যাচাই-বাছাই করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একজন সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কম নয় এমন একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে সর্বোচ্চ গোপনীয়তা বজায় রেখে দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে কর্মকর্তার নাম, জন্ম তারিখ, জাতীয় পরিচয়পত্র, সচল একাধিক ফোন নম্বর, ই-মেইল, ফেসবুক, টিআইএন নম্বর এবং পাসপোর্ট নম্বর সংযুক্ত করতে বলা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, গোপনীয় প্রতিবেদনে কর্মকর্তা যে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন তার নাম, সেশন ও অধ্যয়ন করা বিষয় এবং অবস্থান/আবাসিক হলের তথ্য দিতে হবে। ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার তথ্য ছাড়াও প্রার্থী অন্য জেলায় অধ্যয়ন করে থাকলে সংশ্লিষ্ট জেলায় যোগাযোগ পূর্বক তার রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নিশ্চিত করতে হবে। (রক্ষিত মূল ভেরিফিকেশন নথি থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম সংগ্রহ করে পুনরায় অধ্যয়নকালীন রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার তথ্য সংগ্রহ করতে হবে)।

এ ছাড়া কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন করে বন্ধুর নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর, সংশ্লিষ্ট থানার রেকর্ড (সিডিএমএসের তথ্য) যাচাই করে দিতে হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

আরও বলা হয়, প্রার্থীর রাজনৈতিক সংশ্লেষ ছাড়াও কোনোরূপ জঙ্গি সংশ্লিষ্টতায় জড়িত কি না সেই তথ্য দিতে হবে। প্রার্থী সম্পর্কে এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, গ্রহণযোগ্যতা আছে এমন জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক এবং তার সমসাময়িক বন্ধু-বান্ধবদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে তার ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দিতে হবে।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone