বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Sunday, December 22, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » জাতীয় » আবাসিক হোটেলে গোপন বৈঠকের অভিযোগে ১৯ ইউপি সদস্য আটক

আবাসিক হোটেলে গোপন বৈঠকের অভিযোগে ১৯ ইউপি সদস্য আটক 

রাষ্ট্র সংস্কার, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও স্থানীয় উন্নয়নে তৃণমূল জনপ্রতিনিধিদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা ও মতবিনিময় সভা থেকে ১৯ জন ইউপি সদস্যকে আটক করে কক্সবাজার মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টায় কক্সবাজারের কলাতলীর একটি  রিসোর্ট থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ইউনিয়ন সদস্য সংস্থা (বাইসস) কক্সবাজার জেলা শাখার উদ্যোগে এই মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকার কথা বাইসস চেয়ারম্যান ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুনের। এছাড়া, আতাউল্লাহ খান নামে এক রাজনৈতিক ব্যক্তির উপস্থিতির কথা লিফলেটে লেখা ছিল।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফইজুল আযীম নোমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কলাতলীর ইউনি রিসোর্টে পার্বত্য এলাকা এবং কক্সবাজারের দুই শতাধিক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্যরা সভা করছেন খবর পেয়ে সদর মডেল থানা পুলিশ ও গোয়েন্দারা ঘিরে রাখেন। ৩ ঘণ্টা যাচাই-বাছাই করে সন্দেহজনক ১৯ জনকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আটকদের মধ্যে তাৎক্ষণিক দুইজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন, সদরের চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের মোহাম্মদ মিয়া ও টেকনাফ উপজেলার জহির আহমেদ। তারা দুইজনই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে।

আটকরা বলেন, জেলার ৯টি উপজেলার ইউপি সদস্যদের নিয়ে গঠিত সংগঠন ‘মেম্বার অ্যাসোসিয়েশনের আলোচনা সভা চলছিল। এ সময় পুলিশ ও অর্ধ-শতাধিক সমন্বয়ক তাদের হল রুম ঘেরাও করেন। এরপর পুলিশ ও সমন্বয়ক পরিচয়ধারীরা এসে তল্লাশি যাচাই-বাছাই শুরু করেন।

পুলিশ বলছে, আওয়ামীপন্থি ইউপি সদস্যরা গোপনে বৈঠক করছেন- এ তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

এদিকে, হোটেল ঘেরাও করায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয় আশপাশের এলাকায়। অবস্থান করা পর্যটকদের হোটেল থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়জুল আজিম নোমান বলেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত ইউপি সদস্যরা গোপন বৈঠক করছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এখানে অনেক ইউপি সদস্য আছেন। যাদের বিরুদ্ধে মামলা আছে তাদের আটক করা হবে। যাদের বিরুদ্ধে মামলা নেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

আটক হওয়া টেকনাফ সদর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য জহির আহমেদ বলেন, আজ জেলার ইউপি সদস্যের নিয়ে গঠিত সংগঠন মেম্বার অ্যাসোসিয়েশনর আলোচনা সভা ছিল। আমরা প্রায় ৭০ জন মত ইউপি সদস্য উপস্থিত ছিলাম। সেখানে দেশের ক্লান্তিকালে কীভাবে কাজ করা যায় সেটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। হঠাৎ অতর্কিতভাবে পুলিশ ও সমন্বয়করা ঢুকে আমাদের আটক করেন। আমাদের যদি গোপন বৈঠক থাকতো, তাহলে সড়কের পাশে হোটেলে এতবড় অনুষ্ঠান হতো না। আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে।

পুলিশের কাছ থেকে ছাড়া পাওয়া মহেশখালী এলাকার ইউপি সদস্য সেলিম জানান, আজ আমাদের মেম্বার অ্যাসোসিয়েশনের আলোচনা সভা ছিল। সেখানে সব রাজনৈতিক দলের মানুষও ছিল। কিন্তু আমাদের ভাইদের আটক করা হয়েছে সেটির তীব্র নিন্দা জানাই।

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone