মেয়েরা যে কারণে মুখ ফিরিয়ে নেয়
লাইফস্টাইল ডেস্ক : আপনার মাত্র কয়েক দিনের বা বহু দিনের গভীর ভালোবাসার সম্পর্কটি ভেঙে দিতে পারে প্রেমিকা। যেকোনো কারণ অকাট্য যুক্তি হয়ে দাঁড়াতে পারে তার মনে। মূলত দুজনের সম্পর্কের পারস্পরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার ওপর এর ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয়। ভুল সবারই থাকে। তাই বলে যেকোনো ভুলের মাসুল সম্পর্ক ছিন্ন করা দিয়ে দিতে হয় না। প্রেক্ষাপট বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞ ও গবেষকরা দেখেছেন, কিছু বিশেষ কারণে মেয়েরা জীবনের এই বড় সিদ্ধান্তটি নিতে উদ্যত হয়। ছেলেদের জন্য এখানে তুলে ধরা হলো কোন সমস্যাগুলো উদয় হলে মেয়েরা আপনার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারে।
শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি
আপনার চরিত্র যদি এমন হয় যে, আপনি ধারণা করেন আমিই সবজান্তা, তবে তার ফলশ্রুতিতে আপনার প্রেমিকাকে একতরফাভাবে আপনার সিদ্ধান্তেই চলতে হয়। চলাফেরা, ওঠা-বসা এমনকি খাবার খেতে গেলেও তার কোনো মতামত বা ইচ্ছা তেমন একটা প্রাধান্য পায় না। এ পরিস্থিতিতে মেয়েদের মনে হয়, আপনার সঙ্গে সময় কাটাতে তার দম বন্ধ হয়ে আসে। আর তারা এ শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে চায়।
আপনি তার সঙ্গে আঠার মতো লেগে থাকেন।
সব সময়, সকল কাজে তার প্রতি আপনার অতিমাত্রার সিরিয়াসনেস আসলে অতিমাত্রায় বিরক্তিকর। প্রেমিকা বা বউকে সময় দেয়ার জন্য আপনি বন্ধুমহল ত্যাগ করেছেন। অফিস বা বাইরে থেকে একটু পর পরই ফোন দিয়ে খবর নিচ্ছেন সে কেমন আছে, কী করছে, কোনো সমস্যা কি না ইত্যাদি। তার সব কথাই আপনি অবশ্যকরণীয় বল গণ্য করেন। তার চাওয়া-পাওয়ার ব্যাপারে আপনি মতামতহীন, যুক্তিহীন পাথরের মতো। এ ক্ষেত্রে তার কাছে আপনি পার্টনার নন, বরং একটা জড় পদার্থমাত্র। এমন ‘অপদার্থ’দের মেয়েরা পছন্দ করে না।
যে অন্যের ওপর নির্ভরশীল
মেয়েরা ভালোবাসা আর নিরাপত্তা চায়। যাই হোক, আপনি নিজেও আত্মনির্ভরশীল। আপনার মুখে সব সময় নিরাপত্তার আশ্বাস। আবার আপনার নিজের চাওয়া-পাওয়া, আশা-নিরাশার একমাত্র আশ্রয় যেন একজনই- আপনার প্রেমিকা বা স্ত্রী। আপনি সবকিছুতেই তার কাছে আশ্রয় খোঁজেন। ঠিক যেভাবে মায়ের আঁচল খোঁজে শিশু। কিন্তু এমন একটি মানুষ মেয়েদের দরকার নেই যাকে সবসময় চোখের পানি মুছিয়ে দিতে হবে বা তার হাত ধরে সান্ত্বনার বাণী শোনাতে হবে।
খুঁটিনাটি শুঁচিবাই
আপনি হা করেন শুধু খাবার মুখে পুরতে, পরিশুদ্ধ বাতাস ছাড়া আপনি শ্বাসই নিতে চান না, প্রেমিকার হাতে হাত রাখার আগে দেখে নেন তা যথেষ্ট পরিষ্কার কি না। এ ধরনের শুঁচিবাইগ্রস্ত ছেলেদের মেয়েরা দু’চোখে দেখতে পারে না। সবার কাছেই এমন মানুষ চরম বিরক্তিকর। আর আপনাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তগুলোতে যদি এগুলোর উদয় হয়, তাহলে আপনার কোনো নিস্তার নেই।
অতৃপ্ত যৌন জীবন
সারা দিন কাজ শেষে বাড়ি ফিরে ঘুমিয়ে যান। প্রিয়তম স্ত্রীর সঙ্গে হালকা-পাতলা খুনসুটি করেই আপনি ক্লান্ত। অথবা আপনাদের যৌন জীবনে আপনার আগ্রহ একেবারেই কম। তাছাড়া স্ত্রীও এসব বলতে চায় না। এ ক্ষেত্রে এই একাকীত্ব মেনে নেওয়া মেয়েদের পক্ষে অসম্ভব। প্রেম-ভালোবাসার কমতি মেয়েরা মেনে নিতে পারে না।
আপনি মোটেও আত্মবিশ্বাসী নন
আপনি সুদর্শন এবং স্মার্ট। আপনাকে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী মনে হয়। সুন্দরী মেয়ের সঙ্গে প্রেম করতে চান বা এমন একটি মেয়েকেই বিয়ে করার স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু তাদের সঙ্গে সময় কাটানোর অভিজ্ঞতা আপনার নেই। কথা বলার সময় আপনি খেই হারিয়ে ফেলেন। আবার অর্থনৈতিকভাবেও আপনি যথেষ্ট সবল নন যে এমন একটি মেয়েকে বিয়ে করে তাকে হাই স্ট্যাটাস দেবেন। কাজেই আপনি আগে নির্ভরশীল হোন। তারপর এগিয়ে যান। নয়তো পরে মেয়েটি আপনাকে ছেড়ে পালাতে চাইবে।
সে আপনার মনপুত নয়
চমৎকার অন্তরঙ্গ সময় কাটালেন বা আবেগীয় সময় পার করছেন দুজন। অথচ আপনি কেমন যেন নিষ্ক্রিয়। এ নির্লিপ্ততা তাকে প্রচণ্ডভাবে ব্যথিত করে। প্রিয়তমার মনে হতেই পারে যে, সে আসলে আপনার মনের মতো কেউ না। ছেলেদের এ সমস্যা দুজনের সম্পর্কের ভিত্তি গড়তে দেয় না। কাজেই ভিত্তিহীন সম্পর্ক ভেঙে পড়বেই।