ঘুরে আসুন নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন লেক
ডেস্ক রিপোর্ট : পাহাড়কন্যা বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা। এখানকার অন্যতম আকর্ষণ প্রকৃতির নৈসর্গিক সৌন্দর্যের নিদর্শন নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন লেক। চারপাশে উপজাতি ও বাঙ্গালি অধ্যুষিত এলাকায় প্রাকৃতিক এ লেকের স্বচ্ছ জলরাশি, গাছগাছালি সুশোভিত নয়নাভিরাম সৌন্দর্য ভ্রমনপিপাসুদের বিমোহিত করবেই।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত এ লেকে রয়েছে একটি দৃষ্টিনন্দন ঝুলন্ত সেতু। রয়েছে কার্পেটিং করা পাহাড়ি সেতু হয়ে উপরে উঠে পাহাড়কন্যা নাইক্ষ্যংছড়ি মনোরম ছায়ানিবিড় সৌন্দর্য অবলোকনের সুযোগ। যা ভ্রমনার্থীদের আনন্দের মাত্রা বাড়িয়ে দেবে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে কাছ থেকে উপভোগ করতে চাইলে আপনিও ঘুরে আসতে পারেন এ লেকে।
বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় উপবন লেক ও ঝুলন্ত সেতু দেখতে সারাবছর জুড়েই থাকে পর্যটকের সরব উপস্থিতি।
এছাড়া স্থানীয় এবং আশপাশের জেলা-উপজেলার শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, পারিবারিক ও অন্যান্য সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের পিকনিক আয়োজনে শীত মৌসুমের শুরু থেকে মুখর থাকে লেকের পরিবেশ।
এটি কৃত্রিম হৃদ। এখানে আসা ভ্রমনার্থীরা লেকটির সৌন্দর্য দেখে বিমোহিত হন। তবে লেকটির সৌন্দর্য বর্ধনসহ পর্যটনখাত বিবেচনা তরে এর উন্নয়নে আরো কিছু উদ্যোগ নেওয়া হলে প্রকৃতি, পর্যটক, পর্যটন শিল্প আর সরকারের রাজস্ব আয়সহ সবখাতে সফলতা আসবে।
জানা গেছে, এ লেকে শৌখিন মৎস্য শিকারিরা বড়শি দিয়ে মাছ ধরে থাকেন। উপজেলা পরিষদের ব্যবস্থাপনায় বছরজুড়ে থাকে মৎস্য শিকারের এ আয়োজন। তবে মাছ শিকারের জন্য উপজেলা পরিষদ থেকে নির্দিষ্ট ফি দিয়ে টিকেট সংগ্রহ করতে হয়।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপবন লেকের চারপাশে রয়েছে বাঙ্গালী ও পাহাড়ি অধিবাসীদের বসতি। বিশেষ করে লেকের পূর্বপাশে ঝুলন্ত সেতুটি পার হলেই চোখে পড়বে পাহাড়ি উপজাতিদের বসতি। সারি সারি কাঠের বাড়ি আর তাদের ভাষা-সংস্কৃতি আদি এ জনগোষ্ঠির জীবনচিত্রের ভিন্নতা তুলে ধরবে।
যেভাবে যাবেনঃ
যে কোন এলাকা থেকে বাস যোগে এসে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম সড়কের রামু বাইপাস নামতে হবে। এরপর বাস বা যে কোন ছোট যানবাহন নিয়ে ১৩ কিলোমিটার দুরত্বে নাইক্ষ্যংছড়ি ষ্টেশনে এসে পায়ে হেটে বা রিক্সা নিয়ে একটু দক্ষিন দিকে গেলেই উপবন লেক।