তিতাস-বাপেক্স কর্মকর্তাদের দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ
এইদেশ এইসময়, ঢাকা : পেট্রোবাংলার অধীনস্ত প্রতিষ্ঠানে জনবল নিয়োগে অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানের স্বার্থে তিতাস ও বাপেক্স এর চার কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সকাল পৌনে ১০টা থেকে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. আহসান আলী। জিজ্ঞাসাবাদ বিকেল পর্যন্ত চলবে জানান তিনি।
যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তারা হলেন- তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নওশাদ ইসলাম, বাপেক্স-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল বাকী, প্রকল্প পরিচালক মেহেরুন হাসান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক (প্রশাসন) সাইফুজ্জামান।
দুদক সূত্র জানায়, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হোসেন মনসুর সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সংস্থার অধীন ১৩টি প্রতিষ্ঠানে লোক নিয়োগে অনিয়মের মাধ্যমে গত চার বছরে ব্যাপক সম্পদ অর্জন করেছেন। এ নিয়োগ বাণিজ্যে শত কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন হয়েছে। আর এ নিয়োগ প্রক্রিয়ার সাথে তিতাস গ্যাস কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বাপেক্স এর ব্যবস্থাপনাসহ ওই ১৩টি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সম্পৃক্ত রয়েছেন। তাই এ নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য এই কর্মকর্তাদের করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ২৪ মার্চ এই চার কর্মকর্তাসহ পেট্রোবাংলার অধীনস্ত প্রতিষ্ঠানের ১৩ কর্মকর্তাকে তলব করে নোটিশ দিয়েছিল কমিশন।
দুদকে আসা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পেট্রোবাংলার অধীন বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড, তিতাস গ্যাস ও কর্ণফুলি গ্যাস বিতরণ কোম্পানির জনবল নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানির নিয়োগের ক্ষেত্রে খোদ কোম্পানির বোর্ডে অনুমোদন পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। কোম্পানির জিএম কমিটির নিয়োগ সংক্রান্ত সভায় তিনটি পদের জন্য ৩১টি শূন্য পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত হলেও শেষ পর্যন্তু এই পদে লোক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ১৪৩ জন। নিয়োগের ক্ষেত্রে জেলা কোটা, মুক্তিযোদ্ধা কোটা, প্রতিবন্ধী কোটা এবং নারী কোটা যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হয়নি। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ থাকা সত্ত্বেও কম্পিউটার অপারেটর পদের মূল্যায়নে অভিজ্ঞতার জন্য কোনো নম্বর দেওয়া হয়নি যা এই পদের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে নষ্ট করেছে। নিয়োগপ্রাপ্ত অধিকাংশ প্রার্থীই ছিলেন অধ্যাপক হোসেন মনসুরের পছন্দের লোক। যার ফলে যোগ্যতা কিংবা দক্ষতা কিছুই লাগেনি।