যে অভ্যাসে আপনি হবেন পরিপূর্ণ সুখী
লাইফস্টাইল ডেস্ক : তন্ন তন্ন করে সুখ খুঁজেও সুখের দেখা পান না অনেকেই। আবার কেউ কেউ খুব অল্পেই সুখী মনে করেন নিজেকে। কিন্তু কেন? সুখের মাপকাঠির এই তারতম্যের কারণ কি? সুখী মানুষদের আছে কিছু নিজস্ব বৈশিষ্ট্য। নিজস্ব কিছু অভ্যাস কিংবা স্বভাবের কারণে মানুষের মাঝেই জন্ম নেয় সুখ। এই অভ্যাস আয়ত্ব করতে পারলে সুখের পেছনে ঘোরার আর প্রয়োজন নেই, সুখই খুঁজে নেবে আপনাকে। আসুন জেনে নেয়া যাক সুখী মানুষদের অভ্যাস সম্পর্কে।
সকালে ঘুম থেকে ওঠা
পৃথিবীর অধিকাংশ সুখী মানুষই ভোর বেলায় ঘুম থেকে ওঠে। প্রতিদিন সকালের সূর্য ওঠার সুন্দর দৃশ্য দেখলে যে কোনো মানুষের মনটাই ভালো হয়ে যাবে। সেই সঙ্গে আগের দিনের সকম দুঃখ ভুলে গিয়ে নতুন করে জীবন শুরু করার উৎসাহ পাওয়া যাবে। নিজের রাতজাগা অভ্যাস বদলে শুরু করে সকাল বেলার পাখি হতে।
ইতিবাচক মনোভাব
সুখী মানুষদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো ইতিবাচক মনোভাব পোষন করা। পরিস্থিতি যত কঠিনই হোক না কেন জীবনের প্রতি সব সময়েই ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করা উচিত। জীবনের ব্যাপারে হতাশ হয়ে গেলেই জীবন থেকে সুখ নামক শব্দটি হারিয়ে যায় খুব সহজেই। নিজেকে সবসময় “পজেটিভ” রাখুন।
সবার সাথে হাসি খুশি আচরণ
সুখী মানুষেরা সাধারণত সবার সাথেই হাসিখুশি আচরণ করে। আর তাই সবার সাথে সম্পর্ক ভালো থাকে সুখী মানুষদের। সুখী হতে চাইলে সবার সাথে ভালো আচরণ করুন। আন্তরিক হাসি বিনিময় করুন নিজের পাশে পাশের মানুষদের সাথে। তাহলে খুব সহজেই সুখ খুঁজে পাবেন আপনার পাশেপাশের মানুষদের সান্নিধ্যেই।
মন খুলে কথা বলা
সুখী মানুষেরা সব সময় মন খুলে কথা বলে। কোন বিষয়ে কষ্টে থাকলে কিংবা মন খারাপ থাকলে সেই বিষয়টি আশেপাশের বন্ধুদেরকে মন খুলে বলে ফেলে। এতে অন্যদের সহযোগীতা পাওয়ার পাশাপাশি নিজের মনের কষ্টও হালকা হয়ে যায়। ফলে মন ভালো থাকে এবং সুখের অনুভূতির সৃষ্টি হয়।
ক্ষমা করার প্রবণতা
ক্ষমা করার প্রবণতা না থাকলে কখনো সুখী হওয়া যায় না। কেউ মনে কষ্ট দিলেও তাকে ক্ষমা করে দেয়ার চেষ্টা করা উচিত। বহুদিন পর্যন্ত মনে কষ্ট ও ক্ষোভ চেপে রাখলে নিজের সুখটাই হারিয়ে যায় কোথায় যেন।aa