গিনেস বুকে স্থান পেল ‘আমার সোনার বাংলা’
ডেস্ক রিপোর্ট : গত ২৬ মার্চ লাখো কণ্ঠে গাওয়া বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’কে স্বীকৃতি দিয়ে নথিভুক্ত করেছে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ।
বুধবার বাংলাদেশ সময় বিকেলে গিনেস বুকের ওয়েবসাইটে এ স্বীকৃতি প্রদানের কথা জানানো হয়েছে।
এই রেকর্ড গড়তে স্বাধীনতা দিবসে প্রায় তিন লাখ মানুষ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে সমবেত হয়ে একযোগে জাতীয় সংগীত গেয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রীসভার সদস্য, বিশিষ্ট নাগরিকগণ ছাড়াও স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, পোশাক শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লাখো মানুষ প্যারেড গ্রাউন্ডে উপস্থিত হয়ে জাতীয় সংগীত গেয়েছিলেন।
আনুষ্ঠানিকভাবে দেয়া ঘোষণা অনুযায়ী ২ লাখ ৫৪ হাজার ৬৮১ জন সম্মিলিত কণ্ঠে মূল অনুষ্ঠান স্থলে সমবেত কণ্ঠে গানটি গেয়েছেন। তবে এর মূল সমাবেশ স্থলের বাইরে হাজার হাজার মানুষও এতে অংশ নিয়েছিল।
তবে একই সময়ে রাজধানীর মূল অনুষ্ঠানের সঙ্গে মিল রেখে সারাদেশের শিক্ষার্থীরা ও সাধারণ মানুষও জাতীয় সংগীত গেয়েছিলেন।
বাংলাদেশের বাইরেও বহু স্থানে বাংলাদেশিরা একই সময়ে সমবেত হয়ে জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছেন।
মঞ্চের ঘোষণা অনুযায়ী সবাই গানের সঙ্গে কণ্ঠ মেলাচ্ছেন কি না এবং রেকর্ডের জন্যে অন্যান্য নিয়মাবলী ঠিকমতো পালিত হচ্ছে কি না তা দেখতে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডস রেকর্ডের প্রতিনিধিরা এ অনুষ্ঠান পর্যবেক্ষণ করেন।
সব কিছু পর্যবেক্ষণের পর অনুষ্ঠানের দুই সপ্তাহের মাথায় স্বীকৃতি দিয়ে নথিভুক্ত করেছে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড।
২৬ মার্চ ‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’র সঙ্গীত পরিচালনা করেন বিশিষ্ট সুরকার ও স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের শব্দসৈনিক সুজেয় শ্যাম।
এর আগে সবচেয়ে বেশি মানুষের অংশগ্রহণে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার আনুষ্ঠানিক রেকর্ডটি ছিল ভারতের দখলে। সাহারা গ্রুপের আয়োজনে এক লাখ ২২ হাজার মানুষের অংশগ্রহণে গত বছরের ৬ই মে এ বিশ্ব রেকর্ডটি হয়েছিল ভারত।