হিরণের কফিনে সর্বস্তরের জনতার শ্রদ্ধাঞ্জলি
নিজস্ব প্রতিবেদক : জনতার ঢল নেমেছে আধুনিক বরিশাল নগরীর রূপকার সদর আসনের সংসদ সদস্য ও সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র শওকত হোসেন হিরণের মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। জনতার ভিড় যেন কোন ভাবেই সামাল দিতে পারছেন না দলীয় সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ আইন শৃঙ্খলার কাজে নিয়োজিত পুলিশ প্রশাসন। ফুলে ফুলে ঢেকে গেছে হিরণের কফিন।
শুক্রবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে হিরণের মরদেহ তার আলেকান্দার বাসভবন থেকে সোহেল চত্বরের আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সম্মুখে আনা হয় সর্বস্তরের জনতার শেষশ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য।
প্রতিটি আন্দোলন, সংগ্রাম কিংবা দলীয় কর্মসূচিতে নগরীর সোহেল চত্বরস্থ যে কার্যালয়ের (আ’লীগের) সম্মুখের মঞ্চে দাঁড়িয়ে হিরণ নেতৃত্ব দিয়েছেন, সেই একইস্থানের মঞ্চে শুক্রবার নিয়ে আসা হয়েছে তার নিথর দেহ।
তার সেই নিথর দেহে (কফিনে) পর্যায়ক্রমে শিল্পমন্ত্রী আমীর হোসেন আমু-এমপি, বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন-এমপি, নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান-এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ-এমপি, জাহাঙ্গীর কবির নানক-এমপি, আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাসিম-এমপি, এডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস-এমপি, শেখ মোঃ টিপু সুলতান-এমপি, অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালক এডভোকেট বলরাম পোদ্দার, মহানগর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আফজালুল করীম ফুলের তোড়া দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর জেলা ও মহানগর বিএনপি, জাতীয় পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, ন্যাপ, গণফোরাম, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, ছাত্রইউনিয়ন, ছাত্রমৈত্রীসহ বিভিন্ন পেশাজীবী, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, আইনজীবী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ সাধারন জনতা প্রিয় নেতার কফিনে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় অনেকেই প্রিয় নেতাকে হারিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালক এডভোকেট বলরাম পোদ্দার জানান, দলীয় কার্যালয় থেকে হিরণের মরদেহ নেয়া হবে সিটি কর্পোরেশনে। সেখানেও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করবেন এক সময়ের তার সহযোদ্ধা ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা। এরপর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জুম্মার নামাজের পর বেলা আড়াইটায় দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে মুসলিম গোরস্তানে তার মায়ের কবরের পাশে হিরণকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে।