বৈশাখকে বাড়ছে ইলিশের দাম
এইদেশ এইসময়, ঢাকা : পয়লা বৈশাখকে সামনে রেখে বাড়ছে ইলিশের দাম। বিগত সপ্তার তুলনায় আকার ভেদে বেড়েছে ইলিশ মাছের দাম।
অপর দিকে আদার ঝাঁজ কমছেই না। লাগামহীন পাগলা ঘোড়ার মতো লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ছেই। চায়না আদার দাম প্রতিকেজি ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি আদার কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা। অধিকাংশ সবজির দাম প্রতিকেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকার মধ্যে আছে।
তবে গত সপ্তাহের তুলনায় চাল ডাল তেলের দাম তুলনামূলক স্থিতিশীল রয়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে পেঁয়াজের। প্রতি কেজি পেঁয়াজ খুচরা বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১ টাকা বেড়েছে।
গত সপ্তার তুলনায় পাইকারী বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ২ টাকা কমেছে। কারওয়ান বাজারে প্রতি পাল্লা (৫ কেজি) পেঁয়াজ ১০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। ভারতীয় পেঁয়াজের পাল্লা পাইকারি ১০ টাকা বেড়ে ৯০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। চালের বাজার রয়েছে স্থিতিশীল।
শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, মিনিকেট চাল পাইকারি ৫০ থেকে ৫১ টাকা, খুচরা ৫২ থেকে ৫৩ টাকা, বিআর (২৮) পাইকারি ৪৪ থেকে ৪৬ টাকা, খুচরা ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা, পারিজা পাইকারি ৩৭ থেকে ৩৮ টাকা, খুচরা ৩৯ থেকে ৪০ টাকা, নাজিরশাইল পাইকারি মান ভেদে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা, খুচরা ৫৩ থেকে ৫৫ টাকা। স্বর্ণা পাইকারি ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা, খুচরা ৩৬ থেকে ৩৭ টাকা, গুটি পাইকারি ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা, খুচরা ৩৬ থেকে ৩৭ টাকা, মোটা চাল ৩১ থেকে ৩২ টাকা, খুচরা ৩৩ থেকে ৩৪ টাকা।
এছাড়া বরবটি, পটল, করলা, ঝিঙা, ঢেঁড়সের দাম কমেছে। প্রতি কেজি আলুর দাম পাইকারি ১১ থেকে ১২ টাকা, খুচরা ১৪ থেকে ১৫ টাকা। পটলের কেজি ৪০-৪৫ টাকা, ঝিঙার কেজি ছিল ৩০ টাকা, ঢেঁড়সের কেজি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া গোল বেগুন ৪০ টাকা, লম্বা বেগুন ২০-২৫ টাকা, উস্তা ২০-২৫ টাকা, ফুলকপি আকার ভেদে ২৫ থেকে ৩৫ টাকা, বাঁধা কপি ২৫ টাকা, শিম মানভেদে ২০-২৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ টাকা, বরবটি ৩০ টাকা, ঝিঙ্গা ২৫ টাকা, মাঝারি আকারের লাউ ১৫ থেকে ২০ টাকা, শশা ৩০ টাকা, খিরাই ২০ টাকা, টমেটো ২৫ টাকা, পেঁপে ১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ ৩০-৪০ টাকা, গাজর ১৫-২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১০০ টাকা। সুপার ৮৫ টাকা। পামওয়েল ৯০ টাকা।
এদিকে প্রতিকেজি পেঁয়াজ খুচরা বিক্রি হচ্ছে ২৭-২৮ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ২০-২২ টাকা, চায়না বড় রসুন ৭০-৮০ টাকা, দেশি রসুন ৪৫-৫০ টাকা, দেশি আদা ২০০ থেকে ২২০ টাকা, শুকনা মরিচ পাইকারি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, খুচরা ১৮০ টাকা, হলুদ ১২০ টাকা, মশুর ডাল দেশি ১০৫-১১০ থেকে ১১৫ টাকা। মোটা দানা মশুর ডাল ৮০ টাকা, খেসারি ডাল ৪৪ টাকা, মুগডাল ১৩০ টাকা, ছোলা ৫৫ টাকা, অ্যাংকর ডাল ৪২ টাকা, মাষকলাই ১২০ টাকা, বুট ৬০ টাকা, প্রতি হালি ডিম ২৬-২৭ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মশলার বাজারে কেচিপ্রতি দারুচিনি ৩০০ টাকা, এলাচি ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকা, জিরা ৩৫০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা, খোলা চিনি ৪৪ টাকা, প্যাকেট চিনি ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে বরাবরের মতই দাম বাড়ার দিকে। এ সময়ে বাজারে প্রচুর মাছ থাকার কথা থাকলেও পয়লা বৈশাখকে সামনে রেখে বিশেষ করে ইলিশের মূল্য বৃদ্ধি ঘটছে। ৫০০ গ্রাম ওজনের বেশি ইলিশ প্রতিকেজি ৫০০-৫৫০ টাকা, ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের বেশি ইলিশ প্রতিকেজি ৭৫০ টাকা, জাটকা মাঝারি ৩৫০-৪০০ টাকা। কাতল মাছ ৩৫০ টাকা, ৭০০ গ্রাম ওজনের রুই মাছের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, বড় রুই মাছ ২৮০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, চিংড়ি (বড়) ১ হাজার ২০০ টাকা, সিলভার কার্প ১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
গরুর গোশত প্রতিকেজি ২৮০ টাকা, খাসির গোশত ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৪০-১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।