নববর্ষে রাজধানী জুড়ে ৪ স্তরের নিরাপত্তা
এইদেশ এইসময়, ঢাকা : প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে রাজধানীতে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের নিয়ে গঠিত এই নিরাপত্তা বলয় নিয়ে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
নাশকতার বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ পুরো রমনা এলাকাকে নিয়ে আসা হয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার (সিসিটিভি) আওতায়। পাশাপাশি আকাশপথে থাকবে র্যাবের টহল।
গতবারের চেয়ে এবারের পহেলা বৈশাখের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কঠোর হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে কমিশনার বেনজীর আহমেদ শনিবার সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে নগরবাসীকে অবহিত করবেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম-কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান (ক্রাইম) জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও পহেলা বৈশাখে ডিএমপি রাজধানীর নিরাপত্তায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিশেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ পুরো রমনা এলাকায় নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে।
তিনি জানান, রাজধানীর রমনা পার্ক ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানজুড়ে অর্ধশতাধিক ক্লোজসার্কিট ক্যামেরা (সিসিটিভি) বসানো হবে। এগুলো সার্বক্ষণিকভাবে মনিটরিং করার জন্য একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হবে।
এছাড়া পহেলা বৈশাখের আগের দিন দুপুর থেকে র্যাব ও পুলিশ রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাবির টিএসসি, শাহবাগ চত্বর এলাকায় মেটাল ডিটেক্টর এবং ডগ স্কোয়াড দিয়ে নিরাপত্তামূলক সুইপিং করবে। বিকেল সাড়ে ৫টার মধ্যে সুইপিং শেষে পার্কে প্রবেশের সব গেট বন্ধ করে দেওয়া হবে। গেটে অবস্থান নেবে পুলিশ। এবারও রমনা পার্কে প্রবেশের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হবে।
একইভাবে ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবর এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। সেখানেও চলবে নিরাপত্তা তল্লাশি ও গোয়েন্দা নজরদারি।
পাশাপাশি পহেলা বৈশাখের প্রথম প্রহরে চারুকলা ইন্সটিটিউট থেকে বের হওয়া মঙ্গল শোভাযাত্রার ওপর বিশেষ নজর রাখা হবে।