আনন্দ উৎসবে বর্ষবরণ
এইদেশ এইসময়, ঢাকা : নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে বাংলা নববর্ষ ১৪২১। আর এ নিয়ে প্রাণের উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে দেশবাসীর মধ্যে।
রাজধানী ঢাকা ছাড়াও জেলা শহরগুলোতে নানা আয়োজন ছিল পহেলা বৈশাখকে ঘিরে। এরমধ্যে ছিল বৈশাখি মেলা, পুতুল নাচ, ষাড়ের লড়াইসহ আরো অনেক লোকজ আয়োজন।
এদিকে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে সোমবার সকাল থেকেই রাজধানীতে ঢল নামে নানা বয়স ও নানা শ্রেণী-পেশার মানুষের।
বর্ষবরণের মূল আয়োজন শুরু হয় ভোর ছয়টার কিছু পর রমনার বটমূলে ছায়ানটের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। এবার তাদের অনুষ্ঠানের মূল ভাবনায় ছিল ‘স্বদেশ ও সম্প্রীতি’।
সকাল নয়টায় চারুকলা অনুষদ থেকে বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা । এর উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
শোভাযাত্রায় যোগ দেন হাজারো মানুষ। কারও হাতে বাঘের মুখোশ, কারও হাতে হাতপাখা, কেউবা নিয়েছেন একতারা-দোতারা। বাঙালির ঐতিহ্যকে ধারণ করে এ মঙ্গল শোভাযাত্রা। এবারের স্লোগান ছিল ‘জাগ্রত করো, উদ্যত করো, নির্ভয় করো হে’।
রাজধানীবাসী আজ পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে।
তবে সবচেয়ে বেশি ভীড় লক্ষ্য করা গেছে রাস্তার পাশে পান্তা-ইলিশের দোকানে। মানের ব্যপারে প্রশ্ন থাকলেও দাম ছিল অনেক চড়া। ১০০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন দোকানে ৩০০ টাকা পর্যন্তও রাখতে দেখা গেছে পান্তা ইলিশের দাম।
অন্যদিকে বেশ কিছু দোকানে পান্তা-ইলিশ ছাড়া বিরানি বিক্রি করতেও দেখা গেছে।
ছেলে-মেয়েদের পোষাকেও ছিল বৈচিত্র। মেয়েদের লাল শাড়িতে আর ছেলেদের লাল পাঞ্জাবি পরতে দেখা গেছে। অনেকেই পরেন বৈশাখ লেখা ফতোয়া। তবে বাহারি এসব ফতোয়া ছোট বাচ্চাদেরকে বেশি পরতে দেখা গেছে। আবার অনেককেই দেখা গেছে গালে আল্পনা এঁকে ঘুড়ে বেড়াতে।
জাতীয় প্রেসক্লাব ও ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সকাল নয়টা থেকে শুরু হয় দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সঙ্গে ছিল বিশেষ ভোজ।
বিসিক ও বাংলা একাডেমির যৌথ আয়োজনে একাডেমি প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে বৈশাখী মেলা। মেলা চলবে ১০ দিন।
এদিকে নববর্ষ উদযাপনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর রমনা ও শাহবাগের আশপাশের এলাকা ছিল নিরাপত্তারে চাদরে ঢাকা। বেশ কিছু স্থানে তল্লাশি করতেও দেখা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।
এছাড়া বর্ষবরণকে নির্বিঘ্ন করতে বেশ কয়েকটি সড়কের যান চলাচলেও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়।