ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে আসছে পরিবর্তন
অনলাইন ডেস্ক : মোবাইল মেসেজিংয়ের ক্ষেত্রে আলাদা অ্যাপ ব্যবহারে জোর দিচ্ছে ফেসবুক। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে স্মার্টফোনের অ্যাপ থেকে ফেসবুকের ইন্সট্যান্ট মেসেজিং ফিচার সরিয়ে নেওয়া হবে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ফেসবুকের মাধ্যমে কেউ মেসেজ আদান-প্রদান করতে চাইলে তাকে ফেসবুকের আলাদা মেসেঞ্জার অ্যাপ (নতুন) ইন্সটল করতে হবে।
ব্রিটেন, ফ্রান্স ও স্ক্যান্ডেনেভিয়ান দেশগুলোতে প্রথম এই পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অন্য দেশে প্রক্রিয়াটির কার্যক্রম শুরু হবে।
ফেসবুক মেসেঞ্জারের পরিবর্তে ব্যবহারকারীরা মেসেজিংয়ের জন্য স্ট্যান্ডালোন নামে নতুন এক মেসেঞ্জার ব্যবহার করতে পারবেন। নতুন এ মেসেঞ্জার অ্যাপের মাধ্যমে নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ের ওপর গ্রুপ মেসেজও আদান-প্রদান করা যাবে।
এ বিষয়ে ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ বলেন, মেসেজিংয়ের ক্ষেত্রে ফেসবুকের বর্তমান প্রক্রিয়াটি একটি দ্বিতীয় শ্রেণীর (সেকেন্ড ক্লাস) প্রক্রিয়া, যা বিভিন্ন সময় জটিলতা তৈরি করে। নতুন এ প্রক্রিয়া ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা।
স্ট্যান্ডালোন অ্যাপের যাত্রা শুরুর ফলে থাকছে না আর ফেসবুক মেসেঞ্জারের ব্যবহার। আর কেউ ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে মেসেজ আদান-প্রদান করতে পারবেন না।
ফেসবুকের কর্মকর্তা পিটার মার্তিনাজ্জি জানান, নতুন এ প্রক্রিয়ার ফলে আপনি আগের চেয়ে দ্রুত মেসেজ আদান-প্রদান করতে পারবেন। যা আগের চেয়ে ২০ গুণ দ্রুত গতিসম্পন্ন।
নতুন এ মেসেঞ্জারে হোয়াটস্ অ্যাপসহ থাকছে মেসেজের আধুনিক সব ধরনের অ্যাপ। এছাড়া থাকছে দ্রুত ছবি, ভয়েস পাঠানোর সুবিধা। আর ছবির মাধ্যমে কোনো কিছু বোঝাতে চাইলে থাকছে তার জন্যও সংশ্লিষ্ট প্রতীক (ইমো)।
তিনি আরও বলেন, নতুন এ অ্যাপ ফেসবুকের মূল অ্যাপকে আরও সমৃদ্ধ করবে। এর মাধ্যমে আপনি দ্রুত সেবা পাবেন। যারা এ অ্যাপটি নিযে কাজ করছেন তারাও এ বিষয়ে ব্যাপক উৎসাহ দেখাচ্ছেন।
এ ধরনের পরিবর্তনে প্রাথমিকভাবে হয়তো অনেকে স্তম্ভিত বা বিস্মিত হতে পারেন, বিশেষত যারা ফেসবুক অ্যাপ কম ব্যবহার করেন বা যারা কম সুবিধা সম্পন্ন হ্যান্ডসেট ব্যবহার করে থাকেন।
ফেসবুকের আরেক কর্মকর্তা ডেরিক মেইনস বলেন, আমরা সবসময় নতুনত্ব ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বিষয়ে জোর দেই। পার্থক্য শুধু এটাই কীভাবে তা করছি।
তবে নতুন এ পরিবর্তনের জন্য ফেসবুক গ্রাহকদের দু’সপ্তাহের সময় দিয়ে নোটিশ দেবে।
নতুন এ মেসেঞ্জারে ব্যবহারকারী কোন স্থান থেকে মেসেজ আদান-প্রদান করছেন তাও জানা যাবে।
অ্যাপটি একবার ব্যবহারের ফলে মেসেজিং আগের চেয়ে অনেক বেড়ে যাবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। এর ফলে স্ট্যান্ডলোন অ্যাপ মেসেজে আপনি প্রতিটি মুর্হূতেই নিজেকে প্রমাণের সুযোগ পাবেন।