ফিটনেসহীন গাড়ি উচ্ছেদ ও সিগন্যাল কার্যকরে আবারো আশ্বাস
রোকন উদ্দিন, ঢাকা : মার্চের প্রথম দিকে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সড়ক উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম বৈঠক শেষে বলেছিলেন, ২৬ মার্চের পর ফিটনেসবিহীন গাড়ি ও সিগন্যাল কার্যকরে কাজ শুরু হবে। কিন্তু এক মাস পেরিয়ে গেলেও কোনো কার্যক্রম শুরু হয়নি। বৃহস্পতিবার ফের সুর পাল্টিয়ে টাস্কফোর্স গঠনের কথা বলেন যোগাযোগমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেছেন, আগামী ৬ মাসের মধ্যে ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, সিগন্যাল কার্যকর ও ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যানকে প্রধান করে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। আগামী ৬ মাসের মধ্যে তারা ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সড়ক উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থায় রাতারাতি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আশা করছি না। তবে তা ক্রমান্বয়ে করতে পারবো বলে আশা করছি। তিনি বলেন, সবগুলো গাড়ি একবারে তুলে নিলে যাত্রীদের নানা দুর্ভোগসহ বিভিন্ন সংকট সৃষ্টি হবে। সে কারণে মোটামুটি টলারেবল গাড়িগুলো রেখে দেওয়া হবে। পর্যায়ক্রমে এসব গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওযা হবে।
যোগাযোগমন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে ঢাকার রাস্তায় বড় বাসের সংখ্যা ৭ হাজার থেকে ৪ হাজারে নেমে এসেছে। রাস্তায় যাত্রীদের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় বাস চালু করা যাচ্ছে না। এখনই রাস্তার সকল ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিলে সমস্যা সৃষ্টি হবে। তিনি আরো বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ি উচ্ছেদ করার পাশাপাশি নতুন বাস আমদানির জন্য অর্থমন্ত্রীর সঙ্গেও তিনি কথা বলবেন। এক্ষেত্রে যাতে মালিকরা ব্যাংক সুবিধা পান সে বিষয়টিও দেখতে হবে। মন্ত্রী জানান, গাড়ি উচ্ছেদের বিষয়ে বিভিন্ন বাস টার্মিনালে জনসচেতনতা ও সতর্কতামূলক প্রচারণাও চালানো হবে।
রাজধানীর সিগন্যাল সিস্টেম ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, রাজধানীর সিগন্যাল সিস্টেম একটি পাইলট প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে।
বৈঠকে নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গাসহ পরিবহন ব্যবসায়ী ও শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।