মার্স আতঙ্কে চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় পড়েছে সৌদি প্রবাসীরা
এই দেশ এই সময়,ঢাকাঃ মিডল ইস্ট রিস্পারেটরি সিনড্রম (মার্স) তথা করোনা ভাইরাসের কারণে মারাত্মক আতঙ্কে আছেন বাংলাদেশের ২৬ লাখ সৌদি প্রবাসী। মাত্র নয়দিনের ব্যবধানে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে নিহতের সংখ্যা ১১৫ থেকে বেড়ে ১৫০ ছাড়িয়েছে। এতে চরম উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় পড়েছে সৌদি প্রবাসীরা।
আতঙ্কে রিয়াদের শপিং সেন্টার, পার্ক ও রেস্তোরা গুলোতে আগের মতো স্থানীয়দের ভীড় নেই বললেই চলে। মার্স আতঙ্কে রাস্তা-ঘাট অনেকটা ফাঁকা। প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের মধ্যেও রয়েছে ব্যাপক হতাশা। বেশি সময় বাহিরে থাকার কারণে ভাইরাস আতঙ্কে ক্ষুদ্র ও মাঝারী ব্যবসায়ীরাও আছেন বিপাকে।
অথচ এ ব্যাপারে দূতাবাসের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে না। ভাইরাসের লক্ষণ, ধরণ, ঝুঁকি এড়ানোর উপায়সহ বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ নেওয়া হচ্ছে না সতর্কতা মূলক কোন প্রচার কর্মসূচি। এতে আরো বেশি হতাশ হয়ে পড়েছেন প্রবাসীরা।
মার্স ভাইরাস সম্পর্কে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সর্তক করতে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কি না? মুঠোফোনে এমন প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার কাউন্সিলর মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, ভাইরাসের ব্যাপারে প্রবাসীদের সচেতন করতে রিয়াদ দূতাবাসে নোটিশ টাঙানো হয়েছে।
এদিকে কয়েকজন প্রবাসী ও স্থানীয় চিকিৎসক বলেছেন, রিয়াদ, জেদ্দা, মক্কাসহ সৌদি আরবের বিভিন্ন শহরে কর্মরত প্রবাসীদের অবস্থা এমন হয়েছে যে একটু কাশি হলেও তারা ডাক্তারের কাছে ছুটে যায়। ভাইরাসের চেয়ে প্রবাসীরা আতঙ্কিত বেশি। বাংলাদেশি, ইন্ডিয়ান ও পাকিস্থানিদের মধ্যে এর পরিমাণ বেশি।
বাংলাদেশ সরকারের উচিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের আতঙ্ক কমানোর জন্য দেশীয় স্যাটেলাইট চ্যানেলগুলোতে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো। তা না হলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যেভাবে আতঙ্ক বাড়ছে তাতে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ভয়ে অনেক শ্রমিক দেশে চলে যেতে পারে। এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে রেমিট্যান্সে।
প্রবাসী ডা.আমিনুল বলেন, সৌদি আরবের অতিরিক্ত গরমে কাজ করে বাসায় ফিরে অনেকে সাথে সাথে গোসল করায় সামান্য সর্দি বা কাশিতে আক্রান্ত হয়। এতে মার্স ভাইরাসের ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে হাসপাতালে ছুটছেন তারা।
তিনি আরো বলেন, ভাইরাসের লক্ষণ, ভাইরাসের ঝুঁকি এড়ানোর উপায়সহ সতর্কতা মূলক একটি প্রচার কর্মসূচি বাংলাদেশ সরকারের গ্রহণ করা উচিত।
প্রায় ২৬ লাখ প্রবাসী সৌদি আরবের বিভিন্ন শহরে অবস্থান করছেন। তাদের সবার সচেতনতার জন্য শুধু মাত্র রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের মধ্যে একটি নোটিশই কি যথেষ্ট? এমন প্রশ্ন করছেন সচেতন প্রবাসীরা।