বিতর্কিত ইরানী নায়িকা
বিনোদন ডেস্কঃ পরনে হালকা সাদা রঙের স্কার্ট-ব্লাউজ। রুপোলি কাজ করা গোটা পোশাকে। ইরানি মেয়েদের সচরাচর যে বেশভূষায় দেখতে পাওয়া যায়, তা একেবারেই নয়। এমনকী হিজাবও নেই। তার বদলে মাথা ঢেকে রেখেছে নকশা করা টুপি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ হেন ‘বিদ্রোহিনী’নারীটিকে অভিবাদন জানাতে এগিয়ে গিয়েছিলেন কান চলচ্চিত্র উৎসবের প্রেসিডেন্ট গিলস জেকব। ফ্রান্সের প্রথা মাফিক অভিনেত্রী লায়লা হাতামি-র গালে গাল লাগিয়ে চুমু খান ৮৩ বছর বয়সি জেকব। আর তাতেই হইচই পড়ে গিয়েছে ইরানে। তাদের দাবি, এমন ‘গর্হিত’ কাজ করে ইরানের মেয়েদের ‘পবিত্রতা’নষ্ট করা হয়েছে।
লায়লার পরিবারও ফিল্মি দুনিয়ার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এমন এক বাড়ির মেয়ে আর পাঁচটা ইরানি মেয়ের থেকে একটু আলাদা ভাবেই বড় হয়েছেন।
২০১২ সালে লায়লা অভিনীত ‘এ সেপারেশন’সিনেমাটি বিদেশি ছবির বিভাগে অস্কার পায়। তার পরই আত্মর্জাতিক ফিল্ম জগতেও ছড়িয়ে পড়ে তার অভিনয়ের সুখ্যাতি। এ বছর কান চলচ্চিত্র উৎসবে বিচারক হিসেবে মনোনীত হন লায়লা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিন গিলস জেকব এগিয়ে গিয়ে চুমু খান। ইরানের এক টিভি চ্যানেলে ধরা পড়ে সে দৃশ্য। সমালোচনার ঝড় ওঠে মুহূর্তে।
ইরানের সরকারি টিভিতে সে দেশের উপ-সংস্কৃতি মন্ত্রী হোসেন নৌশাবাদি বলেন, ‘এ ধরনের আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে ইরানের মেয়েদের পবিত্রতার বিষয়টি মাথায় রাখবেন। যাতে এ দেশের নারীদের ভাবমূর্তি কোনও ভাবে নষ্ট না হয়।”
ইরানের শরিয়তি আইন অনুযায়ী, কোনও নারী তাঁর পরিবারের বাইরের কোনও পুরুষকে স্পর্শ করতে পারেন না। নৌশাবাদির ভাষায়, ইরানের মেয়েরা পবিত্রতা ও সারল্যের প্রতীক। লায়লার আপত্তিকর ব্যবহার আমাদের দেশের ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে খাপ খায় না।”
অভিনেত্রী যদিও এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।
গিলস জেকব অবশ্য এ হেন ‘গর্হিত’কাজের দায় নিতে রাজি নন। তিনি বলেন, আমি লায়লার গালে চুমু খেয়েছিলাম। সে মুর্হূতে তিনি কিন্তু আমার চোখে আগে ইরানের ফিল্ম দুনিয়ার এক জন প্রতিনিধি ছিলেন। পরে অভিনেত্রী। পশ্চিমী দুনিয়ায় এ ভাবেই অভিবাদন জানানো হয় পরস্পরকে। একটা সাধারণ প্রথা মাত্র। এ নিয়ে এত হইচইয়ের কোনও কারণ দেখছি না।
Posted in: বিনোদন