বাংলাদেশ সরকারকে চাপে রাখতে চানঃমোদি
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ ভারতের ভাবী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশিদের ‘অনুপ্রবেশ’ ঠোকাতে আলাদা দপ্তর খোলার যে নির্দেশ দিয়েছেন, তার নানা ব্যাখ্যা চলছে। অনেকের ধারণা, নির্বাচনের আগে ও পরে মোদির বাংলাদেশ বিরোধী অবস্থান একই রয়েছে।
মঙ্গলবার কলকাতা থেকে প্রকাশিত একটি দৈনিকের খবরে বলা হয়, মোদি সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে একটি পৃথক বিভাগ ও দপ্তর খোলা হবে। আর ঐ দপ্তরের প্রধান দায়িত্ব হবে আসাম, পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার মতো রাজ্যগুলোতে ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ’ ঠেকানোর রূপরেখা ও ‘অনুপ্রবেশকারী’ চিহ্নিত করা। একইভাবে পাঞ্জাব, রাজস্থান ও কাশ্মিরে পাকিস্তানি অনুপ্রবেশ রোধ করাই এ দপ্তর খোলার উদ্দেশ্য।
এ খবরে বাংলাদেশে স্বাভাবিকভাবেই আবারো নতুন করে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘নির্বাচনের আগে-পরের বিষয় নয়। মোদি মূলত তার রাজনীতিই করছেন।’
তিনি বলেন, ‘একদিকে তিনি বাংলাদেশ সরকারকে চাপে রাখতে চান ট্রানজিটসহ নানা সুবিধা আদায়ের জন্য। অন্যদিকে তিনি চান পশ্চিমবঙ্গ এবং আসামকে নিয়ন্ত্রণে আনতে। পশ্চিমবঙ্গ এবং আসামে মোদির ফরমুলা এবার কাজে লাগেনি।’
‘বাংলাদেশ বিরোধী প্রচারণা বা ‘বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারী’ ইস্যু ব্যবহার করে তিনি একেবারেই সুবিধা করতে পারেননি। পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জির দুর্গ অক্ষত আছে। তাই মোদি এখন চাইছেন, ২০১৬ সালে রাজ্য সরকারের নির্বাচনে তার ইস্যুগুলো কাজে লাগাতে।’
ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশ কেন ভারতের নাগরিকরাও বিভিন্ন দেশে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করেন। এছাড়া অবৈধ অনুপ্রবেশ করলে আইনি ব্যবস্থার বিধান আছে সব দেশেই। এক দেশের নাগরিকরা আরেক দেশে অনুপ্রবেশ করলে সেটা ব্যক্তিগতভাবে করেন। কোনো সরকার এটাকে উৎসাহিত করে না। তাই এটা নিয়ে মোদির বাড়াবাড়ি রাজনীতিরই অংশ। বাংলাদেশ সরকারকে তা বুঝতে হবে। কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার না করে সমমর্যাদার ভিত্তিতে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য কাজ করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘এজন্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য থাকতে হবে। নয়ত এর সুযোগ নেবে মোদি সরকার। কারণ, বাংলাদেশে রাজনৈতি অনৈক্য তো সবাই জানে।’
ড. আহমেদ বলেন, ‘ভারতের অনেক অভ্যন্তরীণ সমস্যা আছে। মাওবাদী, কাশ্মির, উত্তর-পূর্ব ভারত নিয়ে অনেক ঝামেলা আছে। তাই সামনের দিনগুলোতে কেন্দ্রের সঙ্গে মমতার লড়াই তীব্রই হবে।
Posted in: আর্ন্তজাতিক