স্বামীর শপথ গ্রহণ এক বিশেষ আনন্দের মুহূর্তঃযশোদাবেন
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ দীর্ঘ অন্তরাল৷ তাঁকে ঘিরে নানা জল্পনা-কানাঘুষো৷ অবশেষে সেই সব রহস্যের পার্দা ভেদ করে স্বামীর কলমের খোঁচায় তাঁর আকস্মিক আত্মপ্রকাশ৷ পুরোটাই যেন এক সাজানো চিত্রনাট্য৷ আর এই চিত্রনাট্যের ট্র্যাজেডি কুইন যশোধাবেন চিমনলাল৷ ভারতের নয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্ত্রী৷
মোদী বিবাহিত, না অবিবাহিত তা নিয়ে নানা সময়ে নানা তথ্য উঠে এসেছে৷ কেউ বলেছেন উনি ব্যাচেলর৷ কেউ বলেছেন বিবাহিত৷ তাঁকে ঘিরে ঘুরপাক খেয়েছে যশোদাবেনের নামও৷ এতদিন মুখে কুলুপ আঁটলেও, লোকসভা ভোটের আগে তাঁর মনোনয়নপত্রে স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দেন যশোধাবেনকে৷ কিন্তু এখন প্রশ্ন উঠেছে স্বীকৃতির পর তাঁকে কি দেখা যাবে মোদীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে?
যশোদাবেন অবশ্য জানিয়েছেন, আমন্ত্রণ পেলে স্বামীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আপত্তি নেই তাঁর৷ শুক্রবার গুজরাতের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে সাক্ষাত্কার দেওয়ার সময় একথা জানান তিনি। স্বামীর তরফে এখনও আমন্ত্রণপত্র আসেনি৷তবে আমন্ত্রণ না-পেলেও অভিযোগ করবেন না তিনি৷ তাঁর বিশ্বাস, সময় হলে স্বামীর সঙ্গে কোনও না কোনও দিন তাঁর দেখা হবেই৷
এদিন তিনি আরও বলেন, ‘স্বামীর শপথ গ্রহণ আমার কাছে এক বিশেষ আনন্দের মুহূর্ত। আমি তাঁর স্ত্রী হিসেবে গর্বিত। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, উনি যেন এভাবেই এগিয়ে যান।’পাশাপাশি স্ত্রীর স্বীকৃতি দেওয়ায় জন্যও নরেন্দ্র মোদীকে কৃতজ্ঞতা জানান তিনি। দেশের সেবা করতে স্ত্রী ও পরিবারকে ছেড়ে গিয়েছিলেন মোদী। তাই স্বামীর প্রতি খেদ নেই তাঁর৷ দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে আলাদা রয়েছেন তাঁরা৷ ১৯৬৮ সালে যশোদাবেনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর৷তখন যশোদাবেনের বয়স ছিল মাত্র ১৭। এর পর আরএসএসের সক্রিয় কর্মী হিসেবে সংসার-ধর্ম ত্যাগ করেন মোদী। তারপর আর যশোদাবেনের খোঁজ রাখেননি মোদী। যশোদাবেনও চলে যান গুজরাতের মেহসানা জেলার ঈশ্বরওয়ারা গ্রামে তাঁর পরিবারের কাছে। সেখানে একজন স্কুল শিক্ষিকা হিসেবে জীবন কাটান তিনি৷
Posted in: আর্ন্তজাতিক