থাইল্যান্ড বানানোর ষড়যন্ত্র হচ্ছেঃড. হাছান মাহমুদ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বাংলাদেশ থাইল্যান্ডের মতো পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বিরোধী জোটকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, তাদের রাজনীতি সব সময়ই ষড়যন্ত্রের। স্বাধীনতাবিরোধীদের নিয়ে বেগম খালেদা জিয়া মানুষ হত্যা করছেন। ট্রেনের ফিশপ্লেট উঠিয়ে দিয়ে ও গাড়িতে আগুন দিয়ে নিরীহ ড্রাইভারদেরও হত্যা করেছেন।
ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, তাদের ষড়যন্ত্র থেমে নেই। তারা এখন বাংলাদেশকে থাইল্যান্ডের মতো করতে চায়।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে দেশরত্ন পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় রবিবার দুপুরে তিনি এ সব কথা বলেন।
জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর খুনের নেপথ্যে ছিলেন এমন দাবি করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘যে সেনা সদস্যরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে তাদের সহযোগিতা করেছেন জিয়া। এর পর জিয়াউর রহমানকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। তার লাশও পাওয়া যায়নি। আমার নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়ায় তার কবর আছে। সেখানে কেউ যায় না। একদিন গেলেও নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, গতকাল (শনিবার) প্রকৃতপক্ষে সমাবেশের ডাক দিয়েছেন হাইকোর্টের সামনে। হাইকোর্টের নির্দেশ উপেক্ষা করে সমাবেশ ডাক দেওয়া আদালতের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো ও অবমাননা করা। এই নির্দেশনা উপেক্ষা করে যে সমাবেশ ডেকেছেন, এ জন্য তিনি আদালতের কাছে অভিযুক্ত।
তিনি বলেন, গুম-খুনের সঙ্গে খালেদা জিয়া ও তাদের সহযোগী স্বাধীনতাবিরোধীদের সম্পৃক্ততা আছে। শুধু গুম-খুন নয়; মানুষ হত্যাসহ সব অপরাধের দায়ে তার (খালেদা) বিচার হবে।
‘আরও পচন ধরলে আন্দোলন’ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী অনেক আল্টিমেটাম দিয়েছেন। কোনোটাই কাজে আসেনি। তাদের পচা নেতারা আন্দোলনে আসেননি। তাকে আমি বলব, নিজের ও দলের গন্ধ নেন। নিজের দলের পচন ধরে উৎকট গন্ধ বেরুচ্ছে। নেতাদের মাঝে পচন ধরেছে। আপনি বলেছেন, শুদ্ধি অভিযান চালাবেন। এখনই ওই অভিযান চালিয়ে নিজের দলকে পচন থেকে রক্ষা করুন।’
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, যাদের কারণে আজ আপনার দলে পচন ধরেছে তাদের সঙ্গ ত্যাগ করুন।
সংগঠনের সভাপতি চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, শিক্ষক নেতা শাহ আলম সাজু, আওয়ামী লীগ নেতা জি এম আতিক, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ।