অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের ক্ষেত্রে যে ১০ রকম পুরুষ
লাইফ স্টাইল ডেস্কঃ আজকাল অবশ্য অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের ক্ষেত্রে অ্যাফেয়ার ম্যারেজই বেশি হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে পুরুষরা অবশ্যই তার মেয়ে বন্ধুটির পছন্দের মতই হয়ে থাকেন। স্মার্ট, দেখতে সুদর্শন, রুচিবোধসম্পন্ন হয়ে থাকেন। তবে অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ যে একেবারে হয় না সেটা মোটেও নয়। এবং আজকাল অনেকের জন্যই এটা বেশ বিব্রতকর অভিজ্ঞতা। দেখা যায় পাত্রের সাথে দেখে করতে গিয়ে তার কিছু অদ্ভুত স্বভাব নারীদেরকে বেশ বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দেয়। অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ করতে চলেছেন? তাহলে যে জেনে নিন যে ১০ রকম বিচিত্র পুরুষের মুখোমুখি হতে পারেন আপনি!
১. অতিখাদক :
অ্যারেঞ্জ ম্যারেজে এমন অনেক পুরুষের পাল্লায় পড়ে থাকেন যারা অনেক বেশি খাদক হয়ে থাকেন। জীবনে তাদের একমাত্র কাজ যেন খাওয়া আর খাওয়া। খাওয়ার জন্যই যেন তাদের বেঁচে থাকা। এসব পুরুষদের নারীরা একেবারেই পছন্দ করেন না।
২. বাচাল :
আবার এমন অনেক পুরুষদের পাল্লায়ও নারীরা এই অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের ক্ষেত্রে পড়ে থাকেন যারা যার শেষ নেই বাচাল হয়ে থাকেন। এরা অনবরত কথা বলতেই থাকেন, কথা বলতেই থাকেন। এদের কথাতে নারীরা একসময় অতিষ্ঠ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়ে থাকেন। কথা বলতে এরা এত বেশি পছন্দ করেন যে সময়ে অসময়ে তারা আরেকজনকে জ্বালাতন করে থাকেন। এসব পুরুষদেরও নারীরা একেবারেই পছন্দ করেন না।
৩. মিথ্যাবাদী :
মিথ্যাবাদী পুরুষদেরও দেখা পাওয়া যায় এই অ্যারেঞ্জ ম্যারেজে। অবশ্য অ্যাফেয়ার ম্যারেজেও এই ধরনের মিথ্যাবাদী পুরুষদের অহরহ দেখা মেলে। এই ধরনের পুরুষেরা অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের ক্ষেত্রে ঘটককে এবং মেয়ে পক্ষকে নানা ধরনের মিথ্যা কথা বলে থাকেন। তাদের যা কিছু আছে তার চেয়ে অনেক বেশি বাড়িয়ে বলে থাকেন। এতে করে বিয়ের পরে সংসারে এক ধরনের ঝামেলা তৈরি হয়। মিথ্যা একটা সংসারকে ধূলোয় গুড়িয়ে দিতে পারে। এ কারণে মিথ্যাবাদী পুরুষদেরও নারীরা একেবারেই পছন্দ করেন না।
৪. আত্ম অহংকারী :
এমন অনেক পুরুষ আছেন যারা ক্যারিয়ারে হয়ত অনেক বেশি সফল কিন্তু তাদের মাঝে এক ধরনের দাম্ভিকতা কাজ করে। তারা তাদের ক্যারিয়ার নিয়ে অনেক বেশি অহংকার করে থাকেন। পরবর্তী পর্যায়ে স্ত্রীকেও যথার্থ সম্মান করে থাকেন না এবং কথায় কথায় তার অবস্থানের কথা বলে বিভিন্ন কথা শুনিয়ে থাকেন। এদের সাথে সংসার করে কোনো নারীই সুখী হতে পারেন না।
৫. পৃথিবী ঘৃণাকারী :
এই পৃথিবীতে বিচিত্র ধরনের মানুষ বসবাস করে থাকেন। এখানে এমন ধরনের পুরুষও বিদ্যমান যারা এই সুন্দর পৃথিবীটাকে প্রচন্ড ঘৃণা করেন। এদেরকে মানসিকভাবে অসুস্থ বলা যেতে পারে। মা বাবা ভাবেন বিয়ে দিলে হয়ত এদের মস্তিষ্কের বিকৃতি কিছুটা থেমে যাবে। অ্যারেঞ্জ ম্যারেজে এই ধরনের পুরুষও দেখা যায় যাদের বিয়ে করলে নারীদের জীবনটা ধ্বংস হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না।
৬. লাজুক পুরুষ :
অ্যারেঞ্জ ম্যারেজে এমন কিছু লাজুক পুরুষ দেখা যায় যাদের মাঝে পৌরুষত্ব বলতে আসলে কিছু নেই। এদের কোনো কাজে সাহস থাকে না। এরা এত বেশি লাজুক হয়ে থাকে যে বিয়ের পরে বৌ এর আঁচলের নিচে থাকতেই বেশি পছন্দ করে। নারীরা এই ধরনের পুরুষও একেবারেই পছন্দ করেন না।
৭. অতিরিক্ত মা-দরদী ছেলে :
পুরুষরা মা কে ভালোবাসবে এটা স্বাভাবিক কিন্তু নিজের একেবারে কোনো ব্যক্তিত্বই থাাকবে না এটা ঠিক না। এসব মেরুদন্ডহীন পুরুষ নিজে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না মায়ের উপরে সমস্তটাই নির্ভরশীল। এসব পুরুষরা জীবনে কোনোদিন সুখী হতে পারেন না পাশাপাশি নারীরাও এদের খুব একটা পছন্দ করেন না।
৮. রাগান্বিত পুরুষ :
পৃথিবীতে আরও এক ধরনের পুরুষ দেখা যায় যাদের অনেক বেশি রাগ থাকে। এই অতি রাগের কারণে হয়ত তারা কোনোদিন অ্যাফেয়ারই করতে পারেন নি। এদের মাঝে ভালোবাসা বলতে আসলে কিছুই নেই। নারীরা এই ধরনের পুরুষদেরও পছন্দ করেন না।
৯. ছিঁচকে কাঁদুনে পুরুষ :
কিছু পুরুষ আছেন যারা কোনো কিছু হলেই মেয়েদের মত ছিঁচকে কান্না শুরু করে দেন। কান্নাকাটি করা এদের বদঅভ্যাস। অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের ক্ষেত্রে এ ধরনের পুরুষও দেখা যায়। নারীরা এই ধরনের ছিঁচকে কাঁদুনে পুরুষদের একেবারেই পছন্দ করেন না।
১০. আন-রোমান্টিক পুরুষ :
অ্যারেঞ্জ ম্যারেজে এমনও পুরুষ দেখতে পাওয়া যায় যারা প্রচন্ড পরিমাণে আন-রোমান্টিক হয়ে থাকেন। ভালোবাসায় পরিপূর্ণতা না থাকলে কোনো নারীই সেই পুরুষকে বেশিদিন পছন্দ করেন না। নারীরা সবসময় এক ধরনের চমক চায়। সেই চমক দেয়ায় ক্ষমতা যে পুরুষটির মাঝে নেই সেই পুরুষকেও নারীরা একেবারেই পছন্দ করেন না।