নিমতলীর দুঃসহ স্মৃতি ভুলতে পারছে না, স্বজনহারা মানুষ
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পুরান ঢাকার ভয়াল নিমতলী ট্রাজেডির চতুর্থ বার্ষিকী আজ মঙ্গলবার। ২০১০ সালের ৩ জুন নিমতলীতে আগুনের লেলিহান শিখায় দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়ে ছিলেন ১২৭ জন। পঙ্গুত্ববরণ করেছেন অনেকেই। সেই দুঃসহ স্মৃতি মুহূর্তের জন্যও ভুলতে পারছেন না ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, আহত ব্যক্তি, কিংবা স্বজনহারা মানুষ।
অগ্নিকাণ্ডের শিকার হয়ে যারা বেঁচে আছেন তারা এখনও আঁৎকে ওঠেন সেই দুঃসহ স্মৃতির কথা মনে করে। তবে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে ভালো আছেন তার সেই তিন কন্যা রুনা, রত্না আর শান্তা। সেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণে। ট্রান্সফরমার থেকে আগুনের স্ফুলিঙ্গ ৪৩/১, নবাব কাটরার সেই পাঁচতলা বাড়ির গোডাউনে রাখা রাসায়নিক দ্রব্যের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তেই দাউ দাউ আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনে। সেদিন আগুনের কাছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও এলাকাবাসী ছিল অসহায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ভবন থেকে বের করে আনা হয় সম্পূর্ণ কিংবা আংশিক ভস্মীভূত ১২৭ লাশ। ঘটনার দিন ছিল ওই ভবনের বাসিন্দা উম্মে ফারওয়া আক্তার রুনার বিয়ের পান-চিনি অনুষ্ঠান। অগ্নিকাণ্ডের পর পরিবার-পরিজন সবাই মারা গেলেও বেঁচে যান রুনা। নিঃস্ব রুনা ও একই ভবনে তারই মতো নিঃস্ব রত্না এবং শান্তাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাছে টেনে নেন। নিজের কন্যা পরিচয় দিয়ে গণভবনে মহাধুমধামে নিজে উপস্থিত থেকে তাদের বিয়ে দেন। এখন মোটামুটি সুখেই কাটছে তিন কন্যার সংসার।
চাঁনখারপুলের হোসনী দালান রোডের শিয়া গলির ১৮/১০, বাড়ির দোতলায় থাকেন রুনা।
নিহতদের স্মরণে নিমতলীতে নির্মাণ করা হয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ। আজ নিমতলী ট্রাজেডি দিবসে নিহতদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। নিহতদের স্মরণে এলাকায় শোকসভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
নিহতদের স্মরণে নিমতলীতে নির্মাণ করা হয়েছে স্মৃতিস্তম্ভ। আজ নিমতলী ট্রাজেডি দিবসে নিহতদের স্মরণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। নিহতদের স্মরণে এলাকায় শোকসভা ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
Posted in: বিশেষ সংবাদ