বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Sunday, December 22, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » বিনোদন » জিয়া খানের নিঃশব্দ মৃত্যু

জিয়া খানের নিঃশব্দ মৃত্যু 

jia

বিনোদন ডেস্কঃ  এক বছর আগে ৩ জুন ভোর রাতে পাওয়া গিয়েছিল তার নিঃসঙ্গ, নিথর দেহ। এক বছর কেটে গেলেও এখনো রহস্যই রয়ে গেছে জিয়া খানের নিঃশব্দ মৃত্যু। এখনো প্রতিদিন তার মৃত্যু সম্পর্কে উঠে আসে নতুন তথ্য। সেরকমই কিছু তথ্য-
jia
জিয়া খান-সুরজ পাঞ্চোলি প্রেম কাহিনী- জিয়া সুরজের সঙ্গে গভীর সম্পর্কের দাবি করলেও তার মৃত্যুর মাত্র ১০ মাস আগে তাদের আলাপ হয় ফেসবুকে। একটি সাক্ষাৎকারে সুরজ জানিয়েছিলেন, জিয়ার অবস্থার প্রতি সমব্যথী হয়েই তার প্রেমে পড়েন সুরজ। কাজ না পাওয়া, পরিবারের সঙ্গে খারাপ সম্পর্ক সবকিছু গভীর অবসাদের মধ্যে ঠেলে দিচ্ছিল জিয়াকে। তার বাবাও ত্যাজ্য করেছিলেন জিয়াকে। জিয়ার থেকে চার বছরের ছোট ছিলেন সুরজ। জিয়ার সঙ্গে মাঝে মধ্যেই কথা বলে তার অবসাদ কাটানোর চেষ্টা করতেন সুরজ। জিয়ার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের কথা স্বীকার করলেও জিয়ার দাবি করা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার ব্যাপারে কিছু জানতেন তিনি। জিয়ার মৃত্যুর পর তার লেখা চিঠির ভিত্তিতে সুরজকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই চিঠিতেই গর্ভপাতের কথা লিখেছিলেন জিয়া।
জিয়াকে মেনে নেননি আদিত্য পাঞ্চোলি- সুরজের বক্তব্য অনুযায়ী জিয়ার সেক্সি ইমেজের জন্য প্রথমে তাকে মেনে নেননি আদিত্য। জিয়ার মৃত্যুর পর সুরজকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও বিরক্ত হয়েছেন আদিত্য। এমনকি, জিয়ার শেষকৃত্যে প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে এক সাংবাদিককে হেনস্থাও করেন তিনি। যদিও আদিত্যর নিজেরও রয়েছে বিতর্কিত অতীত। প্রেমিকা কঙ্গনা রনওয়াতকে হেনস্থার অভিযোগেও খবরে আসেন তিনি।
জিয়া আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ দাবি করলেও উঠে এসেছে এমন কিছু তথ্য যা বলছে খুনও করা হয়ে থাকতে পারে তাকে। ফরেনসিক রিপোর্টে জিয়ার নখের তলায় পাওয়া গেছে মাংসপিণ্ড। যা প্রমাণ দেয় মৃত্যুর আগে ধস্তাধস্তির। এমনকি তার অন্তর্বাসেও পাওয়া গেছে রক্তের চিহ্ন। জিয়ার মা রাবিয়া খান কখনই মেনে নেননি আত্মহত্যার তত্ত্ব। মেয়ের মৃত্যুর তদন্ত করতে বৃটিশ পুলিশেরও সাহায্য চেয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, জিয়ার মৃত্যুর ৩ মাস কেটে যাওয়ার পর এই দাবিকে আদিত্য পাঞ্চোলি বিমা দাবি করার পথ হিসেবে দেখেছেন। যদিও, রাবিয়া জানান এরকম কোনো জীবনবিমা তার নেই। শুধমুাত্র আদিত্যই এভাবে টাকার কথা ভাবতে পারে। আদিত্যর স্ত্রী জারিনা ওয়াহাবের সঙ্গেও বচসায় জরিয়ে পড়েন রাবিয়া। এমনকি, বিতর্কে জরান সলমনও। তিনি নাকি সুরজকে জিয়ার থেকে দূরে থাকতে বলেছিলেন।
জিয়ার অন্য প্রেম-নিঃশব্দ ছবিতে অভিনয়ের আগে নিজের নাম নফিসা রিজভি খান থেকে পরিবর্তন করে জিয়া রেখেছিলেন। ২০১২ সালে আবার নাম বদলে রাখেন নফিসা খান। সুরজের আগে প্রযোজক বান্টি ওয়ালিয়ার ছোট ভাই জসপ্রিত ও কনিশ গঙ্গওয়ার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁর। হলিউড অভিনেতা অরল্যান্ডো ব্লুমকেও কিছুদিন ভেনিসে ডেট করেছিলেন জিয়া।
ডান্সিং কুইন-খু কম লোকই জানেন অপেরা সঙ্গীতে জিয়ার তালিমের কথা। মাত্র ১৬ বছর বয়সে ৬টা পপ ট্র্যাক রেকর্ড করেছিলেন তিনি। বন্ধুদের নিয়ে একটা গোটা অ্যালবামের পরিকল্পনা ছিল তাঁর। রেগ্গি, বেলি ডান্সিং, লাম্বাডা, সালসা, কত্থক, জ্যাজ ও সাম্বারও তালিম ছিল জিয়ার।
কোন ছবি হারিয়েছিলেন জিয়া- ২০০৪ সালে মুকেশ ভটের ছবি তুমসা নহি দেখাতে আত্মপ্রকাশ করার কথা ছিল জিয়ার। কিন্তু জিয়া নিজেই সরে দাঁড়ান ছবি থেকে। তাঁর বদলে আসে দিয়া মির্জা। ২০১০ সালে চান্স পে ডান্স ছবির জন্যও কেন ঘোষের প্রথম পছন্দ ছিল জিয়া। সেই ছবিও চলে যায় জেনেলিয়া ডি`সুজার হাতে।
আত্মপ্রকাশ-মাত্র ১৮ বছর বয়সে অমিতাভ বচ্চনের বিপরীতে নিঃশব্দ ছবিতে আত্মপ্রকাশ করেন জিয়া। ছবির বিতর্কিত বিষয়বস্তু জিয়াকে নিয়ে আসে শিরোনামে। সেরা নতুন মুখের নমিনেশনও পান জিয়া। কিন্তু হেরে যান দীপিকা পাডুকোনের কাছে।
নিতান্তই শিশু বয়সে ঊর্মিলা মাতোন্ডকরের রঙ্গিলা দেখে অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন জিয়া। ১৯৯৮ সালে দিল সে ছবিতে মনীষা কৈরালার ছোটবেলার চরিত্রেও অভিনয় করেন জিয়া।  সূত্র: ওয়েবসাইট

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone