বাংলাদেশে প্রথম ট্যুরিজম ভিত্তিক নিউজ পোর্টাল|Sunday, December 22, 2024
সাইটে আপনার অবস্থানঃ Home » আর্ন্তজাতিক » ভারত মহাসাগরে রহস্যময় ধ্বনি!

ভারত মহাসাগরে রহস্যময় ধ্বনি! 

shomudro
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ  ভারত মহাসাগরের ভেতর থেকে ভেসে আসা নতুন সূত্রের উৎস খুঁজতে তোড়জোড় শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের আশা, এই ধ্বনিই হয়তো shomudroতাদের পৌঁছে দিতে পারে নিখোঁজ মালয়েশিয়ান বিমান এমএইচ ৩৭০-র কাছে। তবে এটাও সত্যি, এ রকম অনেক সূত্র আগেও মিলেছে। এবার তাই বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত হওয়ার আগে আশাবাদী হতে রাজি নন তাঁরা।
গত ৮ মার্চ রাতে নিখোঁজ হয়েছিল মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের বিমানটি।যাত্রী ও বিমানকর্মী নিয়ে ২৩৯ জন আরোহী ছিলেন। তিন মাসে একাধিক তত্ত্ব ও তথ্য সামনে আসলেও কোনো সন্ধান মেলেনি বিমানটির।। তোলপাড় হয়েছে ভারত মহাসাগরের একটা বিস্তীর্ণ অংশ। কিন্তু বিমানের খোঁজ মেলেনি।
গতকাল মঙ্গলবার বিজ্ঞানীরা জানালেন, নতুন যে ধ্বনির সন্ধান তাঁরা পেয়েছেন, তার উৎস অস্ট্রেলিয়ার উত্তর-পশ্চিমে প্রায় ৩০০০ মাইল দূরে। অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূলে ডুবে থাকা দুটি হাইড্রোফোনে সেটি আলাদা আলাদা ভাবে ধরা পড়েছিল বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
বিশেষজ্ঞদের অনুমান, যে সময় এমএইচ ৩৭০-র সঙ্গে উপগ্রহের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল, তারই কাছাকাছি সময়ে ওই শব্দটি ধরা পড়ে হাইড্রোফোনগুলোতে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ডুবে যাওয়া বাতাসভর্তি কোনও ‘কন্টেনার’যদি পানির চাপে দুমড়ে মুচড়ে যায় তা হলে যে শব্দ তৈরি হয়, রহস্য-ধ্বনি অনেকটা সে রকমই। অবশ্য সম্পূর্ণ বিষয়টিই অনুমান নির্ভর।
পার্থের কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমুদ্রবিজ্ঞান-বিশেষজ্ঞ অ্যালেক ডানকান বলেন, ওই শব্দের এমএইচ ৩৭০-র সঙ্গে যোগ থাকার সম্ভাবনা ২৫ থেকে ৩০%
বিশেষজ্ঞরা এও জানাচ্ছেন, যে এলাকায় শব্দের উৎপত্তি বলে মনে করা হচ্ছে সেখানে প্রায়ই মৃদু-ভূকম্পন হয়ে থাকে। ফলে রহস্য-ধ্বনির উৎস সেটিও হতে পারে। আবার অন্য কোনও প্রাণীর গতিবিধি বা বিমানের জেরেও সমুদ্রে ওই শব্দ তৈরি হতে পারে। সব চেয়ে বড় সমস্যা, যে রহস্য ধ্বনি নিয়ে নয়া উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে, তা এতটাই ক্ষীণ যে সাধারণ ভাবে সেটি মানুষের শুনতে পাওয়ার কথা নয়।
বিশেষজ্ঞদের চিন্তা বাড়াচ্ছে আরও একটি তথ্য। যে সম্ভাব্য এলাকায় বিমানটির যাত্রা শেষ হয়ে থাকতে পারে বলে ইনমারস্যাট চিহ্নিত করেছিল, নতুন ধ্বনির উৎপত্তিস্থল তা থেকে অনেকটা দূরে।
সব মিলিয়ে আশার থেকে সন্দেহের উদ্রেক এতোটাই বেশি যে নতুন এলাকায় আদৌ তল্লাশি চলবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান অস্ট্রেলীয় প্রশাসন। আপাতত আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে সেটি নিয়ে।

 

 

শেয়ার করুন !!Share on FacebookTweet about this on TwitterShare on Google+Share on LinkedInShare on RedditBuffer this pageDigg thisShare on TumblrPin on PinterestShare on StumbleUponFlattr the authorEmail this to someone