শপথ নিচ্ছেন সিসি
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ প্রাচীন সভ্যতার দেশ মিশরের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আজ বিকেলে শপথ নিতে যাচ্ছেন আব্দুল ফাত্তাহ আল সিশক
এর আগে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মুসলিম ব্রাদারহুডের জনপ্রিয় নেতা মুহাম্মদ মুরসিকে অপসারণ করে মিশরের অঘোষিত প্রেসিডেন্ট হয়ে উঠেন দেশটির সেনা প্রধান আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি।
তার এই অঘোষিত ক্ষমতাকে ঘোষণা দেয়া ছিল কেবল সময়ের ব্যাপার। অপেক্ষার প্রহর শেষ করে গত মাসের ২৬, ২৭ এবং ২৮ তারিখে নামে মাত্র নির্বাচন দিয়ে ৯৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হন তিনি।
দেশটির প্রধান রাজনৈতিক দল মুসলিম ব্রাদারহুডসহ অন্যান্য সকল ইসলামী দলগুলো ওই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে জনগণকে ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান করে। ফলে নির্বাচনকে ঘিরে সৃষ্টি হয় উত্তেজনা। তারই ধারাবাহিকতায় আজ শপথ অনুষ্ঠানকে ঘিরে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা।
তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয়ে রাখা হয়েছে বিশ হাজার পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে। কায়রোর ‘কসরুল জামহুরিয়া’য় অনুষ্ঠিত হবে এই শপথ অনুষ্ঠান।
শপথ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে তাহরির স্কয়ারসহ কায়রোর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে বসানো হয়েছে চেক পোস্ট। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সড়ক।
এদিকে সিসির শপথ অনুষ্ঠানে দাওয়াত করা হয়েছে ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. রুহানিসহ অসংখ্য বিশ্বনেতাদের। অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে আমন্ত্রিত বিদেশি অতিথিরা অনেকেই চলে এসেছেন।
যারা থাকছেন শপথ অনুষ্ঠানে:
তমাস সানুর নেতৃত্বে আমেরিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একদল প্রতিনিধি, দক্ষিণ সুদানের প্রেসিডেন্ট সালভা কির কায়াদ্রিত, আব্দুল লতিফ আল রাশেদ সেক্রেটারি জেনারেল অফ গাল্ফ কর্পোরেশন কাউন্সিল, কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ডেনিস সাসো নাগো এসো, শায়েখ মুহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহইয়ান, সহকারী আমীর ইউনাইটেড আরব আমিরাত, কুয়েতের আমির শেখ সবাহ আল আহমদ আল জাবের, মৌরিতানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমদ তিগুদি, তারেক ইবনে আব্দুল করিম পররাষ্ট্রমন্ত্রী তিউনিসিয়া।
এছাড়া সিসির শপথ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য রাশিয়া, গিনি, ইরাক, সুইজারল্যান্ড, আলজেরিয়া, জুঝুল কামার, মালি, সোমালিয়া, চীনসহ অসংখ্য দেশের প্রতিনিধিরা ইতিমধ্যে কায়রো অবস্থান করছেন।
অন্যদিকে গতকালও দেশটির বিভিন্ন স্থানে মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা-কর্মীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে।
এদিকে মি. সিসি নিজেকে প্রেসিডেন্ট পদ প্রার্থী হিসবে ঘোষণা করার পর তার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে মিশরের সাধারণ জনগণও।
এমন অবস্থায় মিশরে নতুন যুগের সূচনা হতে যাচ্ছে সিসি’র হাত ধরে। কতদূর যেতে পারে এই সাবেক সেনা প্রধান সেটাই দেখতে চায় সারা বিশ্ব।